সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে আধ ঘণ্টা কথা হয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মোদী অভইযোগ করেন, পাকিস্তানের কয়েকজন নেতা খুব গরম গরম বিবৃতি দিচ্ছেন। কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেওয়াই তাঁদের উদ্দেশ্য। এর পরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ফোন করেন ট্রাম্প। তাঁকে বলেন, কাশ্মীর নিয়ে এমন কোনও বিবৃতি দেবেন না যাতে উত্তেজনা বাড়ে। জম্মু-কাশ্মীরে উত্তেজনা কমানো দরকার। এই নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্প দু’বার ইমরানকে ফোন করলেন।
তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন, গরম গরম কথা না বলে কীভাবে কাশ্মীরে উত্তেজনা কমানো যায়, তা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, ইমরানের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যিক ও আর্থিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরে জোর দেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মোদী সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ গড়ার ওপরে জোর দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, কাশ্মীরে অশান্তি থামাতে হলে আগে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের ঢোকা বন্ধ করতে হবে।
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, মোদী বলেছেন, কেউ যদি কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চায়, ভারতের বিরুদ্ধে হিংসায় উস্কানি দেয়, তা শান্তি প্রতিষ্ঠার সহায়ক হবে না। গত রবিবার ইমরান বলেন, ভারতের পরমাণু অস্ত্রাগার সারা বিশ্বের কাছেই চিন্তার কারণ।
গত মাসে ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে। তাতে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ পায়। এর পরে পাকিস্তান বলে, তারা কাশ্মীরিদের ‘আত্মনিয়ন্ত্রণের’ লড়াইকে সাহায্য করার জন্য যতদূর যেতে হয় যাবে। তখনই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।