শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের দরজা কবে খুলবে? এই প্রশ্ন এখন আমজনতার। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের ইচ্ছা–অনিচ্ছার উপর গোটা বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তর না মিললেও সূত্রের খবর, মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত উদ্বোধন হচ্ছে না শিয়ালদহ মেট্রোর। অর্থাৎ ১৪ জুনের আগে কিছু ঘটছে না। শীর্ষস্তর থেকে রেল বোর্ডকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগে ঠিক কী ঘটেছিল? এই শিয়ালদহ মেট্রোর চাকা দ্রুত গড়াবে ইঙ্গিত দিয়ে গত মার্চ মাসে মেট্রো চালানোর ছাড়পত্র দিতে শিয়ালদহের নতুন স্টেশন পরিদর্শন করেছিলেন কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) লতিফ খান। তিনি ট্রেন চালানোর সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন ২৮ মার্চ। কিন্তু প্রায় তিন মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও খুলল না। এমনকী গত ৩০ এবং ৩১ মে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কলকাতায় থাকলেও শিয়ালদহ মেট্রোর ধারে কাছে যাননি।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? মেট্রো সূত্রে খবর, শিয়ালদহ চালু হয়ে গেলে দৈনিক এক লক্ষ যাত্রী মেট্রো পরিষেবা ব্যবহার করবে। তাই গত মার্চের শেষ থেকে মেট্রোর চাকা শিয়ালদহ পর্যন্ত গড়ালে আয় একধাক্কায় অনেক বেড়ে যেত। প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি আয় করত রেল। স্বভাবিকভাবেই রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে শিয়ালদহ মেট্রো চালু না হওয়ায়।
জানা গিয়েছে, লতিফ খানের পরামর্শ মেনে শিয়ালদহ মেট্রোয় ‘ফাইন টাচ’ দিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন। তাহলে কেন উদ্বোধন আটকে? সূত্রের খবর, এই স্টেশনের সিভিল ওয়ার্ক মূলত মাটির নীচে কাজের জন্য খরচ হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। রেল ট্র্যাক, বিদ্যুৎ সংযোগ, স্টেশন পরিকাঠামো গড়তে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা গলে গিয়েছে। লিফট, সিগন্যালিং ব্যবস্থা, এস্কালেটর, অগ্নিনির্বাপণ–সহ নানা পরিষেবার জন্য খরচ হয়েছে আরও ২৫ কোটি টাকা। কেন্দ্রের তুঘলকি সিদ্ধান্তের জন্যই পরিষেবা থেকে আপাতত ব্রাত্যই থেকে গেলেন যাত্রীরা। এখনই উদ্বোধন করা হবে না বলে রেল বোর্ডকে জানানো হয়েছে।