জামা মসজিদের নীচে মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দিরের কৃষ্ণ মূর্তি পোঁতা আছে। তা খুঁড়ে বের করে আনা হোক। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে এমনই আইনি নোটিস পাঠালেন আইনজীবী।
নোটিশ অনুযায়ী, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির থেকে কৃষ্ণমূর্তিগুলি সরিয়ে রাজধানী আগ্রার জামা মসজিদের সিঁড়ির নিচে রেখেছিলেন। সেগুলি উদ্ধারের দাবিতে মথুরার আইনজীবী মহেন্দ্র প্রতাপ সিং নোটিশটি পাঠিয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তিনি।
অনেক ঐতিহাসিক এবং লেখকই উল্লেখ করেছেন যে ঔরঙ্গজেব কৃষ্ণের বিভিন্ন মূর্তি পেয়েছিলেন। সেগুলি তিনি আগ্রা ফোর্টের কাছে জামা মসজিদের সিঁড়ির নিচে সমাহিত করেছিলেন। উক্ত জামা মসজিদটি ঔরঙ্গজেবের বোন জাহান আরা ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছিলেন। এটি আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তাই জামা মসজিদে স্থানান্তরিত এই মূর্তিগুলিকে খনন করে বের করতে হবে।
প্রসঙ্গত ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের লেখা বই ‘অ্যানেকডোট অফ ঔরঙ্গজেব অ্যান্ড হিস্টোরিক্যাল এসেস; গ্রন্থের ১১-১২ পৃষ্ঠায় পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে, চরম অত্যাচারী মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেব ১৬৭০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে মথুরার শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। তারপর সেই মূর্তি আগ্রা নিয়ে আসেন ঔরঙ্গজেব এবং জাহানারা মসজিদের সিঁড়ির নীচে পুঁতে দেন। কারণ হিসেবে যদুনাথ সরকার উল্লেখ করেছেন যে, যাতে মুসলিমরা নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় তা মাড়িয়ে যেতে পারেন। প্রসঙ্গত, আগ্রার জাহানারা মসজিদই স্থানীয়দের মধ্যে জামা মসজিদ নামে পরিচিত।