1/5মুম্বইতে কেরিয়ার শুরুর আগেই কেকে-র সঙ্গে বিয়ে হয় জ্যোতি লক্ষ্মী কৃষ্ণর। সালটা ১৯৯১। তবে জ্যোতিকে কেকে প্রথম দেখেছিলেন ক্লাস সিক্সে পড়ার সময়। আর সেই সময় কিশোর কুমারের গাওয়া গান গেয়ে হবু বউকে পটিয়েছিলেন তিনি।
2/5২০১৭ সালে ‘সুরিলি বাত’ শো-তে এসে কেকে গেয়ে শুনিয়েছিলেন ‘প্যায়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায়’। আর তারপর বলেছিলেন ‘আশা করি আমার বউ এই শো দেখছে। যখন ওকে পটিয়েছিলাম, এই গানটাই গেয়েছিলাম। আমার মনে আছে আমাদের কলোনির বার্ষীক অনুষ্ঠানে প্রতি বছর এই গানটা গাইতাম।’ যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, জ্যোতির দিকে তাকিয়েই গান গাইতেন কি না, উত্তর আসে, ‘তখন ওসব করার ক্ষমতা ছিল না আমাদের। কারণ আমাদের মা-বাবারও ওখানে থাকত। গানের মাঝে আমরা একটু চার চোখ এক করে নিতাম’
3/5ক্লাস সিক্স-সেভেনে পড়াকালীনই কেকে জ্যোতিকে বলে দিয়েছিলেন, ‘ও বুঝত আমি ওকে ভালোবাসি। আমি তো তখনই ওকে বলে দিয়েছিলাম তোমাকে আমার জীবনের সঙ্গী হিসেবে পেতে চাই।’
4/5এরপরই কেকে মস্করা করে সেই শো-তে জানিয়েছিলাম আজকাল বাড়িতে গান গাইলে ও আমাকে মাঝেমাঝেই বলে, ‘প্লিজ ইয়ার, আমাকে এখন বিরক্ত করো না। এটা প্রায়ই হয়। আর আমি ওকে বলি, ‘জানো আমি যখন বাইরে গান গাই, কত মেয়ে আমাকে একবার ধরতে চায়!’ মিথ্যেই বলি। এসব আমার সঙ্গে খুব একটা হয় না। আর ও উত্তর দেয়, মাথা খাওয়া বন্ধ করো। তবে মাঝে মাঝে ওর আমার গান ভালো লাগে। চুপটি করে বসে, আর আমি ওকে একটার পর একটা গান গেয়ে শোনাই।’
5/5মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে শো শেষ করে হোটেলে ফিরেই হৃদরোগে মারা যান কেকে। কলকাতাতেই ময়না তদন্ত হয় গায়কের। তারপর বুধবার মরদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। মুম্বইয়ে ভারসোভা শ্মশানে কেকে-র শেষকৃত্যে সম্পন্ন হল বৃহস্পতিবার। ছেলে নকুলের হাতের মন্ত্রপুত আগুনে পরপারে যাত্রা করলেন গায়ক।