পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালা বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন, খবরটা আগেই পৌঁছে গিয়েছিল খুনিদের কাছে। গত ২৯ মে দুই বন্ধু গুরবিন্দর এবং গুরপ্রীতকে নিয়ে বারনালাতে অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন সিধু। তখনই রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে।সূত্রের খবর, সিধু বাড়ি থেকে বেরোনোর ঠিক আগেই এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সিধুর সঙ্গে সেলফি তোলার আবদার করেন তিনি। সেলফি তোলাও হয়। তার পরই খুন হন পঞ্জাবি গায়ক। ওই ব্যক্তির আসা, সেলফি তোলার সঙ্গে সিধুর খুনের একটা যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
সিধু তাঁর দুই সঙ্গীকে নিয়ে যখন আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন, তখন জাওয়াহারকে গ্রামের কাছে একটি টয়োটা কোরোলা গাড়ি থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় এক সূত্রের দাবি, নিজের লাইসেন্সড পিস্তল থেকে পাল্টা গুলি চালান সিধু। তার পরই একটি বোলেরো গাড়ি সিধুর গাড়িকে ওভারটেক করে এগিয়ে যায়। সেই গাড়ি থেকে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সিধু ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর দুই বন্ধু জখম হন।
সিধুকে খুনের পর বোলেরো গাড়ি নিয়ে খুনিরা পালাতে গেলে সেটি খারাপ হয়ে যায়। এর পরই তারা টয়োটা কোরোলা গাড়িতে চেপে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর সেই গাড়িটিও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় রাস্তা দিয়ে একটি অল্টো গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁকে জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে সেই গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে খুনিরা। কিন্তু কিছু দূর এগোতেই সেই গাড়িটিও খারাপ হয়ে যায়। আর কোনও উপায় না পেয়ে খুনিরা হেঁটেই পালায়।
কোরোলা গাড়ির নম্বরপ্লেট থেকে মালিকের খোঁজ পায় পুলিশ। মনপ্রীত নামে এক ব্যক্তিকে দেহরাদূন থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মনপ্রীত পুলিশকে জানিয়েছে, গ্যাংস্টার স্বরাজের নির্দেশে খুনিদের গাড়ি দিয়েছিল সে। তার পরই পুলিশ স্বরাজ এবং মনপ্রীতকে গ্রেফতার করে।