কেকে-র প্রয়াণে কাঁদছে গোটা দেশ। বাংলার মন ভারাক্রান্ত। এই শহরে এর আগে কতবার এসেছেন কেকে। প্রতিবার বাংলার মানুষ তাঁকে ভালোবাসা উজার করে দিয়েছে। কে জানত এইবার আর পায়ে হেঁটে ফেরা হবে না, তার বদলে ফুল-মালা দিয়ে সাজানো কাঁচের গাড়িতে মুম্বইয়ের বিমান ধরতে রওনা দেবেন কেকে! মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান শেষে অসুস্থবোধ করছিলেন কেকে, মিনিট কুড়ির মধ্যেই পৌঁছান ধর্মতলার পাঁচতারা হোটেলে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব শেষ। হোটেলের রুমে ঢুকেই মুখ থুবড়ে পড়ে সংজ্ঞা হারান গায়ক, আর চোখ খোলেননি!
এদিন কেকে-কে গান স্যালুটের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানালো বাংলা। রবীন্দ্র সদনে কেকে-কে বিদায় জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া সফর কাটছাঁট করে দুপুরেই রবীন্দ্র সদন এসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। এসএসকেএম হাসপাতালে কেকে-র মরদেহের ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্র সদনে। রাজ্য সরকারের তরফে পূর্ণ মর্যাদায় শেষবিদায় জানানো হয় শিল্পীকে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে গান স্যালুট দেওয়া হয় কেকে-কে। উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি এবং পুত্র নকুল। এদিন মমতার পাশাপাশি রবীন্দ্র সদনে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা।
কেকে-র স্ত্রী ও পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান মমতা। এরপর মা উড়ালপুল ধরে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় গায়কের মরদেহ। আজ বিকাল ৫.১৫-র বিমানে কেকে-র মরদেহ নিয়ে মুম্বই রওনা দেবে পরিবার।