অস্বাভাবিক কোনও কারণে মৃত্যু হয়নি গায়ক কেকে-র। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে তাঁর। SSKM-এ প্রয়াত গায়কের দেহের ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই জানালেন চিকিৎসকরা। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট ৭২ ঘণ্টা পর পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের বিচিত্রানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশনের পর দ্রুত হোটেলে ফিরে যান কেকে। রাত ১০টা নাগাদ মধ্য কলকাতার ৫ তারা হোটেল থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কেকে-কে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হঠাৎ কী করে তাঁর মৃত্যু হল জানতে দেহের ময়নাতদন্ত করানোর সিদ্ধান্ত নেন পুলিশকর্তারা। সারা রাত বেসরকারি হাসপাতালেই শায়িত ছিল গায়কের দেহ।
বুধবার বেলা বাড়লে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় SSKM হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে হয় ময়নাতদন্ত। ময়নাতদন্ত শেষে রবীন্দ্র সদনে গান স্যালুট দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। এর পর বিমানবন্দরে পৌঁছয় কেকের কফিনবন্দি দেহ।
বিকেলে SSKM হাসপাতালের মেডিকো লিগাল বিভাগের তরফে প্রকাশ করা হয় কেকে-র দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কোনও অস্বাভাবিকতা নেই কেকের মৃত্যুতে। স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে তাঁর। তবে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কেকের মৃত্যুতে তদন্ত দাবি করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, নজরুল মঞ্চে চরম অব্যবস্থার জেরেই মৃত্যু হয়েছে কেকের। শাসকদলের নেতা ও কলকাতা পুলিশকে এজন্য কাঠগড়ায় তুলেছে তারা। ওদিকে অভিযোগ মানতে রাজি নয় শাসকদল তৃণমূল ও তার ছাত্র সংগঠন।