1/4সাধারণত তখনই বর্ষা আগমনের ঘোষণা করা হয় যখন কেরল, লক্ষদ্বীপ এবং কর্ণাটকের আটটি স্টেশনে পরপর দুই দিন সর্বনিম্ন ২.৫ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। তবে হত গত ২৯ মে আইএমডি বর্ষা শুরুর ঘোষণা করলেও রবিবার মাত্র পাঁচটি জায়গায় ২.৫ মিমির অধিক বৃষ্টি হয়েছিল।
2/4এর আগে বর্ষা আগমনের ঘোষণায় এমন হঠকারিতা আইএমডি কখনও করেনি। এদিকে ‘ভুল’ স্বীকার করতে নারাজ আইএমডি। আইএমডির কথায়, ‘২.৫ মিমি-র নিয়ম’ যে প্রতি বছর মিলবে তার কোনও কথা নেই। তাছাড়া শনিবার এই জায়গাগুলিতে ২.৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল। রবিবার সেই সব জায়গাগুলিতে বৃষ্টি না হলেও সোমবার ফের এই সবকটি জায়গাতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
3/4যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ রিডিং-এর একজন স্বাধীন আবহাওয়াবিদ এবং ডক্টরাল গবেষক অক্ষয় দেওরাস এই বিষয়ে বলেন, ‘কেরলে বর্ষার সূচনা একটি সুনির্দিষ্ট ঘটনা। সূচনার মানদণ্ড পাঁচ দশক ধরে চলা একাধিক গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এই মডেল বর্ষার বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থানকে কেরলের বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সুন্দরভাবে যুক্ত করে। সুতরাং, সূচনা ঘোষণায় অনুমানের জন্য কোনও জায়গা থাকা উচিত নয়।’
4/4স্কাইমেট ওয়েদারের ভাইস প্রেসিডেন্ট (জলবায়ু পরিবর্তন এবং আবহাওয়াবিদ্যা) মহেশ পালাওয়াত বলেন, ‘বর্ষা শুরুর ঘোষণা মানদণ্ড পূরণ করেনি। এটি ব্যর্থ হয়েছে। বর্ষার সেখানে ঢোকেনি। আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কর্ণাটক, কেরল, তামিলনাড়ুতে ব্যাপক ভারী বৃষ্টিপাত দেখব না। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে বর্ষার অগ্রগতির সম্ভাবনাও কম। যেহেতু আইএমডি বর্ষা শুরু হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে তাই আমরা এটিকে বর্ষা বলছি কিন্তু এটি বৃষ্টির প্রাক-মৌসুমী ধাঁচ। তাহলে তো প্রকৃতপক্ষে, বর্ষাকাল ২৩ বা ২৪ মে-এর আগে ঘোষণা করা যেতে পারত। তখন ভারতীয় উপদ্বীপে ভারী এবং ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছিল।’