India-Pakistan Backchanneling: বন্ধুত্বের সেতু বন্ধনে নজর পাকিস্তানের, পিছনের দরজা দিয়ে আলোচনার টেবিলে ভারত

 পাকিস্তানের মসনদে রদবদল হয়েছে বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। ইমরান খানকে সরিয়ে ইসলামাদে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ক্ষমতায় এসেই পাক সংসদে দাঁড়িয়ে কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেছিলেন শেহবাজ। তবে দিয়েছিলেন সম্প্রীতির বার্তাও। আর এই আবহে এবার পিছনের দরজা দিয়ে ফের একবার শান্তির জন্য আলোচনা শুরু করল ভারত-পাকিস্তান। যদিও এখনই সমাধানসূত্র পাওয়ার কোনও দিশা খুঁজে পাচ্ছে না দুই দেশ। তবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে দুই দেশই।

এর আগে এই ‘ব্যাক চ্যানেলিং’ আলোচনার ফলেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছিল। প্রয়াত সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে এরপরই পাকিস্তানের নজর ঘুরে যায় আফগানিস্তানের দিকে। কাবুলের মসনদে তালিবানকে বসানোর দিকে বেশি মনোনিবেশ করে পাকিস্তান। এরপর এখন ফের একবার এই আলোচনা শুরু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে এই আলোচনাগুলে বিভিন্ন সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বা ইউরোপের কোনও দেশে হত। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই ব্যাকচ্যানেল যোগাযোগের সুবিধা করে দিয়েছে দুই দেশকেই।

হিন্দুস্তান টাইমসকে সূত্র জানিয়েছে, বিগত দুই বছর ধরে চলা এই আলোচনার পরও বহু ক্ষেত্রেই দুই দেশএর মতবিরোধ রয়েছে। এদিকে ভারতও নিশ্চিত নয় যে ইমরানকে সরিয়ে মসনদে বসা শেহবাজ ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিজের মেয়াদ শএষ করতে পারবেন কি না। পাশাপাশি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদকে নিয়েও ভারতের উদ্বেগ রয়েছে। এদিকে পাকিস্তানি পক্ষ ভারতের কাছ থেকে ‘কাশ্মীর ইস্যু’ নিয়ে কোনও একটি ‘ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা’ আশা করছে। মূলত কাশ্মীরের ‘ডেমোগ্রাফি’ যাতে না বদলে যায়, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে পাকিস্তান। যদিও এই বিষয়ে নয়াদিল্লির বিষয়ে কোনও শব্দ খরচ করা হয়নি এখনও।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের পর থেকে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কোনও আনিষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। এদিকে ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থএকে দুই দেশের বাণিজ্যও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে ২০০৩ সালের সংঘর্ষ বিরতি ফের চালু করায় দুই দেশের আলোচনায় কিছুটা ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও ইমরান জমানার পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি দুই দেশের এই আলোচনার বিরোধী ছিলেন। তবে শেহবাজের সরকার নিয়ে আপাতত ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে ভারতের তরফে। এরপর দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত কোন দিকে মোড় নেবে, তা সময়ই বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.