দেশে ক্রমেই বাড়ছে মেয়েদের দত্তক নেওয়ার আগ্রহ। ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’-এর তরফে দেওয়া তথ্য বলছে, গত তিন আর্থিক বছরে পুত্র সন্তানের থেকে ৩০ শতাংশ বেশি কন্যা সন্তানকেই দত্তক নিতে চেয়েছেন অভিভাবকরা। মূলত দেশে লিঙ্গের হারের দিক থেকে পুত্র সন্তানরা এগিয়ে থাকলেও, দত্তক সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে ছবিটা আলাদা দেখা যাচ্ছে।
২০২১-২২ আর্থিক বছরে ১,৬৭৪ কন্যা সন্তান দত্তক হিসাবে গৃহিত হয়েছে, যেখানে ১২৭৬ জন পুত্র সন্তানকে গ্রহণ করা হয়েছে দত্তক হিসাবে। পরিসংখ্যান বলছে পুত্রদের থেকে কন্যাদের ৩০ শতাংশ বেশি রয়েছে দত্তক গ্রহণের সংখ্যা। ২০২০-২১ সালে কন্যা সন্তান দত্তকের সংখ্যা ছিল ১,৮৫৬, পুত্র সন্তান দত্তকের পরিসংখ্যান ছিল, ১,২৮৬। সেই সময়ের হিসাব অনুযায়ী, দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে,পুত্রদের তুলনায় কন্যা সন্তানদের ৪৪ শতাংশ বেশি ছিল। উল্লেখ্য, শিশু ও নারী কল্যাণের ক্ষেত্রে ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’ যাবতীয় তথ্যের খতিয়ান রাখে। দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রে এটিই নিয়ামক প্রতিষ্ঠান। সংস্থার পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও যদি ভিন দেশ থেকে দত্তক গ্রহণের বিষয়টি আসে, তাহলে সেক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে পুত্র সন্তানদের থেকে কন্যা সন্তানদেরই বেশি গ্রহণ করতে আগ্রহী অভিভাবকরা। সমলিঙ্গের সঙ্গিনীকে জোর করে দূরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে সরব মহিলা! কাঠগড়ায় কে?
তবে অনেকেই বলছেন, এই দত্তক গ্রহণের মানসিকতা বা ইচ্ছা থেকে কিছুতেই বলা যাবে না যে, সমাজ পরিবর্তনের চিহ্ন এই ঘটনা থেকে দেখা যাচ্ছে। কারণ, বাস্তর করুণ সত্য এটাই যে, পুত্রের থেকে কন্যা সন্তানের পরিত্যাজ্য হওয়ার ঘটনাই বেশি এদেশে। ফলে দত্তক গ্রহণের ক্ষেক্রে পুত্রের থেকে কন্যা সন্তানের সংখ্যাও বেশি থাকায়, সেদিকেই ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে অভিভাবকদের। মহিলা ও নারী কল্যাণ বিভাগের এক অফিসারের মতে, ‘যেহেতু কন্যা সন্তানের ত্যাজ্য হওয়ার সংখ্যা বেশি, তাই দত্তক গ্রহণের ক্ষেত্রেও তাদের সংখ্যা বেশি।’ ফলে সমাজের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন একই জায়গায় থেকে যাচ্ছে।