চারধাম যাত্রা শুরুর ২৫ দিনের মধ্যে ৯৯ পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল উত্তরাখণ্ড। শনিবার আরও আট পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, “পুণ্যার্থীদের মৃত্যু আটকাতে আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করছি। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই বয়স্ক মানুষ। চারধাম যাত্রার গোটা পথেই আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী মোতায়েন করা আছে। জায়গায় জায়গায় স্বাস্থ্যশিবিরও করা হয়েছে।”
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, শনিবারই রুদ্রপ্রয়াগে পাণ্ডব শেরায় ট্রেক করতে গিয়ে সাত জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের খোঁজে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।
গত ৩ মে চারধাম যাত্রা শুরু হয়েছে। কেদারনাথের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রদীপ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, পুণ্যার্থীদের মৃত্যুর পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করেছে। অনেকের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না, বিশেষ করে কোভিডের পর অনেকেই সেই সমস্যায় ভুগছেন। সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব ইত্যাদিও রয়েছে। তা ছাড়া অত উচ্চতায় গিয়ে অনেকেই সেই পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের শরীরকে খাপ খাওয়াতে পারছেন না। পোশাকও এ ক্ষেত্রে কিছুটা দায়ী। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় সঠিক পোশাক নিয়ে না যাওয়ার কারণেও নানা শারীরিক সমস্যার মুখে পড়তে হয় পুণ্যার্থীদের।
ওই আধিকারিক বলেছেন, কেদারনাথে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হাইপোথার্মিয়ায় মৃত্যু হয়েছে পুণ্যার্থীদের। আবার দেখা গিয়েছে, অনেকে কোভিড থেকে সেরে উঠে এই সফরে এসেছেন। ফলে তাঁদের শরীর এই ধকল নিতে পারেনি।
এক সমীক্ষা বলছে, ২০১৯ সালে চারধাম যাত্রায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, ২০১৮-তে ১০২ জনের এবং ২০১৭-তে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।