দমদম বিমানবন্দর থেকে ৩০টি গাড়ির রাজকীয় কনভয় নিয়ে গোলপার্কের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য কানন ৩০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে যেন বার্তা দিতে চাইলেন “দিদি” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। কারণ বিজেপিতে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতা পুলিশ তাঁকে দেওয়া যাবতীয় নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে। কিন্তু তাতেও যে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বাংলা রাজনীতিতে এতটুকু কমেনি। তা বোঝাতেই এদিন নিরাপত্তা বেষ্টিত কনভয় নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে গোলপার্কের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
বিজেপিতে যোগদানের পর রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পা রাখলেন একদা মমতা ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দমদম বিমানবন্দরে নামার পর শোভনকে ঘিরে তাঁর অনুগামী ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের উৎসাহ ও উদ্দিপনা ছিল চোখে পড়ার মত। কেউ ফুলের মালা, আবার কেউ ফুলের তোরা। কেউ বা আবার উপহারের ডালি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিমানবন্দরে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ আগষ্ট দলের পক্ষ থেকে রাজ্য দপ্তরে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও এই সম্বর্ধনা সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে খবর। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়েছে। সেখানে পুরোনোদের কোনও স্থান নেই। ভুল ধরিয়ে দিলেই হয় কোণঠাসা হতে হবে, নয়তো বেরিয়ে যেতে হবে।” তৃণমূলের কাজকে বাম জমানার সঙ্গে তুলনা করেন একসময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট কানন।
রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন বিমানবন্দরে শোভন-বৈশাখীকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এছাড়াও রাজ্য দপ্তর থেকে সাউথ সাবারবান জেলা নেতৃত্বকেও বিমানবন্দরে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো তারাও এদিন বিমানবন্দরে হাজির থেকে স্বাগত জানান শোভনকে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির সাউথ সুবারবান জেলার অন্তর্গত মেটিয়াব্রুজ, কলকাতা বন্দর, বেহালা পূর্ব ও পশ্চিম এবং যাদবপুর বিধানসভা। নিজের রাজনৈতিক জীবনের কর্মকাণ্ডে এই সমস্ত বিধানসভা এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বেহালা পূর্বের বিধায়কের।