1/5স্বপ্ন ছিল চিকিত্সক হওয়ার। কিন্তু আর্থিক পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। কিন্তু নিজের চেষ্টায় ২২ বারে প্রবেশিকা পাশ করলেন। মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাননি। তবে হোমিওপ্যাথি কলেজে পড়ার সুযোগ পেলেন। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়, প্রমাণ করলেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার প্রতাপপুর গ্রামের প্রদীপ হালদার।
2/5প্রদীপবাবু জানালেন, পারিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে তাঁর পড়াশোনা থেমে যায়। মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন। টুকটাক দিনমজুরির কাজ করে সংসারের হাল ধরেন।
3/5এরপর বয়স বাড়তে বিয়েও হয়ে যায়। স্ত্রী, সন্তান, কাজ এসবের মাঝেও হাল ছাড়েননি প্রদীপবাবু। দিনমজুরের কায়িক পরিশ্রমের কাজ সেরে বাড়ি ফিরেই পড়তে বসে যেতেন। নিজেই টাকা জমিয়ে জমিয়ে বই কিনে আনতেন। ২০০০ সালে বিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেন।
4/5এরপর জয়েন্ট্র এন্ট্রান্সের প্রস্তুতি শুরু করেন। সেটাও নিজে নিজেই। পাড়া-প্রতিবেশীদের হাসি-মস্করা কম শুনতে হয়নি। নিজে নিজে পড়ে বহুবার পরীক্ষা খারাপ হয়েছে। তাতে আরও বেড়েছে বিদ্রুপ। কিন্তু হাল ছাড়েননি।রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অফলাইনে হবে।
5/5অবশেষে ২২ বছরের চেষ্টায় হোমিওপ্যাথির প্রবেশিকা ক্লিয়ার করেন তিনি। ভর্তি হচ্ছেন কলেজে। তাঁর খবর শুনে এখন হতবাক পাড়া-প্রতিবেশীরা। এতদিন বিদ্রুপ করা ব্যক্তিরাই তাঁর প্রশংসা করছেন।