বিশ্বজুড়ে কোভিড আতঙ্কের মাঝেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাস হানা না দিলেও পর্তুগাল, স্পেন, ব্রিটেন ও আমেরিকার মতো কয়েকটি দেশেও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিস পাওয়া গিয়েছিল। চিকিৎসকরা বলছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত রোগ। প্রাণীদেহের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ইঁদুরের মাধ্যমে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে পারে।
কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা, গায়ে হাত পায়ে ব্যথার মতো কিছু প্রাথমিক উপসর্গ মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হলে শরীরের বিভিন্ন লসিকা গ্রন্থি ফুলে ওঠে। ফোস্কার মতো অসংখ্য ক্ষতচিহ্নের দেখা মেলে শরীরে। তবে এগুলি সবই প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেই দেখা গিয়েছে।
বাচ্চাদের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত বিশেষ দেখা যায়নি। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কের তুলনায় শিশুদের মধ্যে মাঙ্কি পক্সের উপসর্গ খানিক আলাদা।
শিশুদের জ্বরের তাপমাত্রাটা অনেকে বেশি হয়। এবং বেশি দিন স্থায়ী হয়। জ্বরের ৩-৪ দিনের মাথায় গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে ফুলে যেতে থাকে। প্রচণ্ড মাত্রায় ক্লান্তি এবং দুর্বলতা থাকে। তবে শিশুদের মধ্যে মাথা ব্যথার মতো কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হলে শিশুদের মধ্যে আর্দ্রতার অভাব দেখা যায়। তাই সেই সময়ে বেশি করে জল খাওয়ানো জরুরি।
শিশুদের মাঙ্কি পক্স থেকে দূরে রাখতে কী কী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলবেন?
১) খেয়াল রাখুন শিশু যেন হাত না ধুয়ে খেয়ে না নেয়। অ্যালকোহল আছে এমন স্যানিটাইজার মাখিয়ে দিন ২০ সেকেন্ড অন্তর।
২) রাস্তার বেড়াল, কুকুর দেখলেই শিশুরা তাদের ছোঁয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পশু থেকে যেহেতু এই রোগ ছড়ায় ফলে বাচ্চাদের এই ধরনের কাজ থেকে বিরত রাখুন।
৩) ফুসকুড়ি আছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শে শিশুকে আসতে না দেওয়াই ভাল।
৪) অনেক দিন ধরে জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন এমন ব্যক্তির কাছ থেকেও শিশুকে দূরে রাখুন।