মাঙ্কি পক্সের নাম হয়তো শোনা ছিল। কিন্তু এই রোগ আসলে কি তা জানতই না ইউরোপ-আমেরিকা। আফ্রিকার বাইরে এ বার এমন এমন দেশে এই রোগ ছড়াচ্ছে, যা নিয়ে বিস্মিত গবেষকরা। চিন্তায় পড়ে গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না, কী ভাবে এই সমস্ত দেশে সংক্রমণ ছড়াতে পারে!
১২টি দেশ, যারা এই প্রথম মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব দেখছে। ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার মতো দেশে মাঙ্কি পক্স ধরা পড়েছে। এই সমস্ত দেশে অন্তত ১৭০ জন মাঙ্কি পক্স আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেছে হু। মাঙ্কি পক্স হয়েছে বলে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আরও ৮৭ জন। সংক্রমণ ছড়ানো নতুন দেশগুলির তালিকায় রয়েছে ইউরোপের স্পেন, ফ্রান্স, লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা, পশ্চিম এশিয়ার ইজরায়েলের নামও। এমনকি, উত্তর আফ্রিকার মরক্কোতেও এই প্রথম মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।
আশির দশকে মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ মাঙ্কি পক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা তারা মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলের (রেইন ফরেস্ট) বাসিন্দা।