অজ গাঁয়ে ঝাঁ চকচকে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের মালিক কি পার্থ? প্রশ্ন স্থানীয়দের

SSC নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে আদালত। কলকাতা লাগোয়া নাকতলায় পার্থবাবু তাঁর পোষ্য কুকুরের জন্য ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে আদালতে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরই মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় বিশাল ইংরাজি মাধ্যম স্কুল ও লাগোয়া বাগানবাড়ির মালিকানা নিয়ে স্থানীয়দের দাবি, এ সবই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।

সিপিআইএমের মুখপত্র গণশক্তিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের ক্ষীরিন্দা মৌজায় ১৫ বিঘা জমির ওপর তৈরি হয়েছে বিশাল ইংরাজি মাধ্যম স্কুল। বিসিএম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল নামে ওই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলটি পার্থবাবুর স্ত্রী বাবলি চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতিতে তৈরি বলে দাবি স্থানীয়দের। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় শিল্প হবে বলে সেখানে জমি নারায়ণ দে নামে এক ব্যক্তি জমি কেনা শুরু করেন। কাঠা প্রতি ৮ – ১০ লক্ষ ও বিঘাপ্রতি কোটি টাকা দর দেওয়া হয়। বাজারছাড়া দর পেয়ে নগদে জমি বিক্রি করেন বহু মানুষ। পরে দেখা যায় সেখানে মাথা তুলছে স্কুল ও বাগানবাড়ি। প্রায় দেড় লক্ষ বর্গফুট ওই সম্পত্তির বাজারদর প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, স্কুলে ভর্তির খরচ ১৫,০০০ টাকা। মাসিক বেতন দিতে হয় ২,৪০০ টাকা।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে ক্ষীরিন্দা মৌজাতেই পার্থবাবুর জামাইয়ের মামাবাড়ি। ২ মামা মধু অধিকারী ও কৃষ্ণ অধিকারীর কয়েক বছর আগে পর্যন্তও যজমানি করে সংসার চলত। এখন তাঁরা মোটা মোটা গাড়িতে চলা ফেরা করেন। স্কুল থেকে কিছু দূরে ১৫ বিঘা জমিতে তৈরি হয়েছে ফলের বাগান। তার মধ্যে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট কটেজ। সেখানে লাগানো হয়েছে এসি। তার জন্য বসেছে আবার আলাদা ট্রান্সফরমার। এসবই দেখভাল করেন পার্থবাবুর জামাইয়ের ২ মামা।

এছাড়া এলাকায় তৈরি হয়েছে একটি ধানের গোলা। সেখানে চাষিদের কাছ থেকে ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের থেকে অনেক কম দামে ধান কিনে তা রাইস মিলে বিক্রি করেন ফড়েরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেই গোলা দেখভালের দায়িত্বেও রয়েছেন পার্থবাবুর জামাইয়ের ২ মামা।

স্থানীয়দের দাবি, এই জমি ও স্কুলের মালিকানা খতিয়ে দেখুক সিবিআই। এতে SSC দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.