লোকসভা নির্বাচনে প্রবল চর্চিত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপিতে থেকে বিদ্রোহী মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। বিরোধী জোটের মঞ্চে যান। তারপর কংগ্রেসে যাওয়া। নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনায় বারবার সরব হয়েছেন তিনি। আর লালকেল্লা থেকে মোদীর ভাষণ শুনে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন সেই বিহারীবাবুই।
ট্যুইটারে বহুবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচনা করেছেন এই অভিনেতা-রাজনীতিক। কিন্তু ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে তিনি ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে। জানালেন, এই ভাষণ ছিল সাহসী, গবেষণার ফল এবং যা মানুষকে ভাবতে সাহায্য করবে।
পাটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ শত্রুঘ্ন বছরের শুরুতে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন বিজেপি ‘‘টু ম্যান আর্মি, ওয়ান ম্যান শো।” তাই সেই শত্রুঘ্নর গলায় ভিন্ন সুর চমকে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলের একাংশকে।
তিনি ট্যুইট করে সকালে লেখেন, ‘‘আমি সত্যিটা বলার জন্য বিখ্যাত বা কুখ্যাতও বাল চলে। আমি এটা স্বীকার করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ১৫ আগস্ট, ২০১৯ আপনার লালকেল্লার ভাষণ ছিল অত্যন্ত সাহসী। দেশ এই মুহূর্তে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে, সেগুলিকেই দারুণ ভাবে তুলে ধরেছেন।”
শত্রুঘ্ন দ্বিতীয় কংগ্রেস নেতা যিনি মোদীর সেদিনের ভাষণের প্রশংসা করলেন। এর আগে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেছিলেন, ‘‘আমাদের উচিত স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর করা তিনটি ঘোষণাকে স্বাগত জানানো।”
মোদীর ভাষণের তিনটি বিষয়ের কথা তিনি বারবার বলেছেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, স্রষ্টার সম্মান ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা। তিনি তাঁর ট্যুইটে লেখেন, “আমাদের সকলেরই উচিত স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর তিনটি ঘোষণাকে স্বাগত জানানো। ছোট পরিবার দেশাত্মবোধক দায়িত্ব, স্রষ্টার সম্মান এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা।”
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম আরও লিখেছেন, “আশাকরি প্রধানমন্ত্রীর তিনটি ঘোষণার মধ্যে দ্বিতীয়টি অর্থমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনস্থ আধিকারিকরা পরিষ্কারভাবে ও জোরে শুনতে পেয়েছেন।” তিনি তাঁর ট্যুইটের শেষাংশে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ও তৃতীয় ঘোষণা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে জাগরণ আসা উচিত। অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যারা এই ভাবনাকে সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে।”