ভারতীয় ফুটবলে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ম অনুসারে প্রফুল প্যাটেলের সর্বোচ্চ ১২ বছরের প্রেসিডেন্টের সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তাই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে। যেই কমিটিতে বিচারক অনিল দাবে, ভারতের প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনের প্রধান এসওয়াই কুরেশি এবং প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশনের নির্বাচন প্রক্রিয়া আয়োজন এবং সম্পন্ন করার দায়ভারও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফিফার নিয়ম বলছে স্বশাসিত সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশ মেনে নেয় না ফিফা। সে কারণেই হয়তো সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে নির্বাসিত করতে পারে। তবে ফিফা যাতে এমন পদক্ষেপ না নেয় তার জন্য ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে ফোন করবেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল্ল প্যাটেল। প্রফুল প্যাটেল জানিয়েছেন, ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোকে তিনি ফোন করে নির্বাসন না করার আবেদন করবেন। প্রফুল প্যাটেলের কথায়, ‘ফিফার সঙ্গে কথা বলে ওদের বোঝাব যে, আগামী দু’মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। সেই সময়টুকু ভারতকে দেওয়া উচিত। আমাদের খেলাধুলোর উপর এমন আচরণ হতে পারে না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হব। তাতে কতটা কাজ হবে সেটা জানি না।’জনপ্রিয় খবর
প্রফুল প্যাটেল আরও জানিয়েছেন, ‘আমি তো ২০২০-র ডিসেম্বরেই দায়িত্ব ছাড়তে চেয়েছিলাম। তা হলে এখন এই অভিযোগ আনা হচ্ছে কেন? তা ছাড়া, পুরনো সংবিধান মেনে যদি নির্বাচন করতাম তা হলে আদালতের বিরোধিতা করা হত।’ প্রফুল প্যাটেল জানান, ‘ইনফান্তিনোর সঙ্গে কথা বলব। ফতমা সামুরার (সেক্রেটারি জেনারেল) সঙ্গেও কথা বলব। ওদের অনুরোধ করব যেন ভারতকে অন্তত দু’মাস সময় দেওয়া হয়।’ ২০০৮ সাল থেকে ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট থাকার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরেই প্রফুল প্যাটেলের ফেডারেশনে থাকার সর্বাধিক সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছিল। তবে নানা টাল বাহানায় নির্বাচন হচ্ছিল না। এবার অবশেষে সেই নির্বাচন হওয়ার পালা। প্রফুল অবশ্য এই নির্বাচনে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। তাই নতুন প্রেসিডেন্টই ফেডারেশনের দায়িত্ব নেবেন।