ভারতের বুকে ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ ফোর-এর সন্ধান মিলেছে। ভারতের দুই রাজ্যে কোভিডের এই সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। ফলে ওমিক্রন ঘিরে সেভাবে ত্রাস না থাকলেও এমন দুই সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ উঠে আসার ঘটনাও খুব একটা কম চাঞ্চল্যের নয়। ভারতের জিনোম সিকোয়েন্সিং নেটওয়ার্ক INSACOG এর চরফে এই বিএ ৪ ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে।
দেখা যাচ্ছে যে দুটি কেস উঠে এসেছে তার মধ্যে একটি হায়দরাবাদের ঘটনা অন্যটি চেন্নাইয়ের। ফলে দক্ষিণ ভারতের এই দুই রাজ্য এই ভাইরাসের সাব ভ্য়ারিয়েন্ট ঢুকে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। চেন্নাইতে যে নমুনাটি পাওয়া গিয়েছে তা মে মাসের শেষের থেকে উঠে এসেছে। ২১ মে চেন্নাইয়ের এক যুবতীর দেহে করোনার এই সাব ভ্যারিয়েন্টের নমুনা পাওয়া যায়। এদিকে ঘটনার নিশ্চয়তা উঠে এসেছে তামিলনাড়ুর মন্ত্রী এম এ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর তরফে। তিনি জানিয়েছেন ২১ মে এমন একটি নমুনা উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর ঘটনাটি ভারতের দ্বিতীয় এমন ঘটনা যেখানে বিএ ৪ এর চিহ্ন মিলেছে। এর আগে হায়দরাবাদে বি এ ফোরএর প্রথম কেসটি পাওয়া যায়। হাসপাতালে শ্রাদ্ধ-শান্তি ক্রিয়া করে ফেললেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা! কী নিয়ে ক্ষোভ?
শুক্রবার তেলাঙ্গানার হায়দরাবাদে এক কোভিডের ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ ফোরের চিহ্ন মেলে। উল্লেখ্য, করোনার সমস্ত রকমের ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হল এই কোভিডের বিএ ফোর সাব ভ্যারিয়েন্ট। উল্লেখ্য়, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার পঞ্চম স্রোতের মূল ‘হোথা’ ওমিক্রনের এই সাবভ্যারিয়েন্ট। এর প্রভাব সেভাবে তীব্র না হলেও অত্য়ন্ত দ্রুততার সঙ্গে এটি ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, ইউরোপে ওমিক্রনের বিএফোর ও বিএ ফাইভকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে বিএফোর বা বিএ ফাইভের জেরে সেভাবে কোভিড রেগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যাও সেভাবে বেড়ে যেতে দেখা যায়নি। যা নিঃসন্দেহে একটি বড় ঘটনা।