জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বামপন্থীদের অপপ্রচার !

বামপন্থীরা আবার আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে NEP সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে!
জেএনইউ এবং টুকডে টুকডে গ্যাংয়ের জন্য, এই NEP শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাম্প্রদায়িক গৈরিককরণ হিসাবে প্রদর্শন করার চেষ্টা চলছে।

এই ঘটনা পূর্বেও দেখা গেছে যে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে কীভাবে JNU এর দেশবিরোধী দল ও তাদের সহযোগীরা নানা টুলকিট-ভিত্তিক প্রচারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে ভারতের জাতীয় স্বার্থকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।

পশ্চিমে ভারতের একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির যে কোনো সফর এবং সুস্থ বৈদেশিক নীতি গঠন, তৎসহ বিশ্বব্যাপী দেশগুলি ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং মূল্যবোধের প্রশংসা করছে তা JNU তথা দেশদ্রোহীগুলোদের নিকট হজমযোগ্য হচ্ছে। অর্থাৎ, দেশদ্রোহী বলেই দেশের মঙ্গল তারা চায় না।

তবে নিচু, অস্পষ্ট এবং নোংরা আদর্শ নিয়ে মিথ্যা ঘটনাবলী তৈরি করে কোনো কর্ম সফল হয়না। দুর্বৃত্ত/ভুল তথ্যদাতাদের রাষ্ট্রের উন্নতি দেখার জন্য ঠান্ডা ঘরের নিদ্রা ত্যাগ করে উন্মুক্ত আকাশের নিচে এসে দাঁড়াতে হবে।

কর্ণাটক এবং আমাদের শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের সাথে সহযোগিতা করতে এবং একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আহ্বান করেছেন। একটি অযৌক্তিক বামপন্থী মানসিকতার দ্বারা অন্ধ মানুষ স্বভাবতই রাষ্ট্রের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের উপলব্ধির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।

ডঃ অশ্বথ নারায়ণ, উচ্চ শিক্ষা, আইটি, বিটি, দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকা এবং কর্ণাটক সরকারের মন্ত্রী প্রধান বক্তা হিসাবে সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। “একবিংশ শতাব্দীতে কীভাবে একটি জাতীয় উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়” এই রোমাঞ্চকর বিষয়ে, তিনি ভারতের নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতি 2020-এর একটি সিংহাবলোকন নিয়ে আলোচনা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি NEPকে জাতীয় উন্নয়নের ‘মহাযান’ বলে প্রশংসা করেছেন। উল্লেখ্যভাবে বলেছেন যে, নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন স্বাধীনতার অমৃতমহোৎসবের একটি প্রধান অংশ হয়ে উঠছে। এত বড় উৎসবের মধ্যে, ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি’র অধীনে চালু করা প্রকল্পগুলি ‘নতুন ভারত গড়তে’ বড় ভূমিকা পালন করবে।

জেএনইউ এবং টুকডে টুকডে গ্যাংয়ের জন্য, এই ব্যাপক শিক্ষা ব্যবস্থাকে শিক্ষা ব্যবস্থার সাম্প্রদায়িক গৈরিকিকরণ হিসাবে দেখা হয়। বামপন্থী অভিজাতবর্গের ভয় যে, জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে সত্য উদ্ভূত হবে এবং ব্যাপকভাবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণী বামপন্থীদের অভিজাত দমন-পীড়নকে প্রতিস্থাপন করবে। এটি শিক্ষাকে এমনভাবে পরিচালনা করেছে যা মুসলিম হানাদার ও ব্রিটিশ উপনিবেশকারীদের ঘৃণ্য মুখ উন্মোচন করবে। কেন জাতিকে এত বছর মিথ্যে অন্ধকারে রাখা হল এবং জাতির বৃদ্ধি নষ্ট করা হল সে বিষয় প্রশ্ন তুলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.