ভৈরব পৈতন্ডী ছিলেন তারাপীঠ মন্দিরের প্রথম পুরোহিত।
পালযুগের শেষ দিকে একাদশ শতাব্দীতে জয়দত্ত বণিক উত্তরপ্রদেশ থেকে নৌকায় ধন-দৌলত বোঝাই করে দ্বারকা নদীপথে নিজের গ্রাম বীরভূমের রত্নগড়ে ( গদাধরপুর স্টেশনের চার মাইল দূরে রাতগড়া) ফেরার সময় চন্ডিপুর গ্রামে (তারাপীঠের প্রাচীন নাম) রাত কাটানোর সময় সর্পাঘাতে পুত্রকে হারান।
পরদিন মাঝিরা তারাপীঠের দক্ষিণ-পূর্বের কড়কড়িয়া গ্রামের বাগদীদের থেকে একটা শোল মাছ সংগ্রহ করে জীবিতকুন্ডে (বর্তমান মন্দিরের পুকুরে) ধুতে গেলে তা প্রাণ ফিরে পায় এবং বণিকপুত্রও ঐ জলের ছোঁয়ায় বেঁচে ওঠেন।
তারপর দৈববাণী শুনে বণিক জয়দত্ত শ্মশানের শ্বেত শিমুল বৃক্ষতলের মাটি খুঁড়ে ঋষি বশিষ্ঠের দর্শন করা শিব মাতৃরূপী শিলামূর্তি উদ্ধার ও মন্দির নির্মাণ করে নিত্যপূজার জন্য বর্তমান তারাপীঠের দক্ষিণের মহুলা গ্রামের বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ভৈরব পৈতন্ডীকে নিয়োগ করলেন।
সুতরাং ভৈরব পৈতন্ডীই ছিলেন তারাপীঠের প্রথম পুরোহিত,যার সন্ধান পাওয়া যায় বামদেবের সঙ্গী মন্দিরের পান্ডা নগেনকাকার শ্যালক ও তৎকালীন প্রথিতযশা হস্তরেখা বিচারক স্বাত্বিক ব্রাহ্মণ যতীন পান্ডার লেখা 32 পাতার পাণ্ডুলিপি থেকে।
দ্বারকা নদী, বশিষ্ট/জীবিত কুন্ড, রাতগড়া গ্রাম ও মহুলা গ্রামের গুগল মানচিত্র লোকেশন ছবিতে দেওয়া হলো।
জয় তারা, জয় জয় তারা…
—শুভাশীষ চক্রবর্তী।