গমের রফতানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করল কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৩ মে বা তার আগে গমের যে ‘কনসাইমেন্টগুলি’ শুল্ক দফতরের হাতে পরীক্ষার জন্য তুলে দেওয়া হয়েছে এবং নথিভুক্ত হয়ে গিয়েছে, সেগুলি বিদেশে পাঠানো যাবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে বিধিনিষেধ বজায় থাকল।
গমের রফতানিতে বিধিনিষেধ
মার্চের মাঝামাঝি সময় দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছিল। সেই কারণে ভারতে গমের উৎপাদন হ্রাস পায়। গমের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পায়। এপ্রিলে গমের দাম ৬.৯৫% বেড়েছে। তারপরই ভারত আগামিদিনে গম রফতানি বন্ধ করতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হয়।
ভারতের সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিশ্বের একাধিক দেশ। বিশেষত ইউরোপের দেশগুলির তরফে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে ভারত গমের রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় হুড়মুড়িয়ে দাম বাড়তে শুরু করেছে ওই দেশগুলিতে। সেই পরিস্থিতিতে জার্মানির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘জি-৭ ভারতের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছে।’ যদিও চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ভারতকে দোষারোপ করলে খাদ্য সংকট মিটে যাবে না।’ সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘আজ জি-৭ দেশগুলি ভারতের কাছে আবেদন করছে যাতে গম রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়, তাহলে এই দেশগুলি খাদ্য সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে নিজেরা কেন নিজেদের গম রফতানি বাড়াচ্ছে না?’