আজকেই বারাণসীর আদালতে জমা দেওয়ার কথা ছিল জ্ঞানবাপী মসজিদের রিপোর্ট। এদিকে গতকালই জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় একটি পাথর নিয়ে মামলা রুজু হয়েছে আদালতে। মামলাকারীর দাবি, সেই পাথর আদতে শিবলিঙ্গ। সেই মামলা দায়েরের পরই আদালতের তরফে মসজিদের ওজুখানা সিল করার নির্দেশ দেয় আদালত। যদিও সেই নির্দেশের পালটা মামলা দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির আইনজীবী। মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পাথর শিবলিঙ্গ নয় বরং এটি ফোয়ারা। আর এসব বিতর্কের মাঝেই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময়সীমা মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাল কোর্ট কমিশনার।
গতকালই বারাণসী আদালতের নির্দেশে সিল করা হয় জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েও আঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি আবেদন দায়ের করবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, আজকে তৃতীয় দিনের সমীক্ষা চলাকালীন মসজিদের ওজুখানায় একটি পাছর মেলে। এই আবহে এক আইনজীবী সেই পাথরকে শিবলিঙ্গ দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন এবং জায়গাটিকে সিল করার আবেদন জানান। সেই প্রেক্ষিতে ওজুখানা সিলের নির্দেশও দেয় বারাণসী আদালত। তবে মুসলিম পক্ষের দাবি, যে পাথর মিলেছে, তা শিবলিঙ্গ নয় বরং ফোয়ারা। এই পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে ১৪ মে শুরু হয় কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার কাজ। দিল্লির বাসিন্দা রাখি সিং, লক্ষ্মী দেবী, সীতা সাহু এবং অন্যান্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশে এই সমীক্ষা চালানো হয়। এই আবহে এর আগেও একবার সমীক্ষা শুরু হয়, তবে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির সময় বারাণসীর জ্ঞানবাপী-শ্রীঙ্গার গৌরী কমপ্লেক্সের খুব কাছেই দুটি স্বস্তিকের চিহ্ন দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন সমীক্ষার ভিডিয়োগ্রাফার। এরপর উত্তেজনা ছড়ায়। পরে বিক্ষোভের মুখে সমীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। এরপরই মুসলিম পক্ষ কমিশনারের অপসারণের দাবি জানায়। তবে আদালত কমিশনার বদলের আর্জি খারিজ করে। উপরন্তু দ্রুত সমীক্ষা সম্পন্ন করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই আবহে সমীক্ষা চলাকালীন মসজিদের ভিতরে একটি এলাকায় শিবলিঙ্গ মিলেছে বলে দাবি উঠলে সেই নিয়ে মামলা দায়ের হয়।