রবিবার সকালে ‘আমি সিরাজের বেগম’-এর ‘লুৎফা’ পল্লবী দে-র ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রেমিকাকে ওভাবে দেখে থানায় খবর দেন সাগ্নিক চক্রবর্তী। দু’জনে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন বলেই খবর। এদিকে, গড়ফার যেই ফ্ল্যাটে অভিনেত্রী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন, সেখানে পল্লবী আর সাগ্নিক নিজেদের বিবাহিত বলেই দাবি করেছিল। সত্যিটা কী?
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পল্লবীর রহস্য মৃত্যুর খবর। সঙ্গে তাঁর কিছু ছবি নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। যা অভিনেত্রী নিজেই শেয়ার করে নিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পয়লা বৈশাখের সময়ে শেয়ার করা একটা ছবিতে পল্লবীর কপালে স্পষ্ট সিঁদুর। যা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন, ‘এটা কি ভুল করে পরেছিলেন না তুলতে ভুলে গিয়েছিলেন?’ আরেকটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে সাগ্নিকের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। ঠিক যেন আংটি পরার আগের মুহূর্ত। ছবির ক্যাপশনে লেখা ‘অবশেষে’। যদিও পল্লবী আর সাগ্নিক দুই পরিবারেরই দাবি, লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন দু’জন।
২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রীর বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। দু’জনের সম্পর্ক যে ভালো ছিল না তা দাবি করেছে অভিনেত্রীর বন্ধুবান্ধবরাও। হাওড়ার রামরাজাতলায় জিআইপি কলোনি স্টেশন রোডের বাসিন্দা দু’জনেই। বাড়িও পাশাপাশি। মনে করা হচ্ছে ছেলেবেলা থেকেই পল্লবী-সাগ্নিক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারপর প্রেম।
জানা গিয়েছে শনিবার রাতে আর রবিবার সকালে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর সিগারেট খেতে সাগ্নিক বাড়ি থেকে বের হন। ফিরে এসে দেখেন ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। ডেকে সাড়া না পেলে তিনি দরজার লক ভাঙেন। তারপর খবর দেন পুলিশে।
সাগ্নিকের বাবা জানিয়েছেন, ‘ওরা লিভ ইন করতে বলেই জানিয়েছিল আমাদের। যদিও এরকম লিভ ইন সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মত ছিল না। আমরা চাইতাম ওরা বিয়ে করে নিক।’ সাগ্নিকের মা শুধু জানিয়েছেন ছেলে অনলাইনে কাজ করে। এদিকে পল্লবীর প্রেমিকের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল প্রাইভেট করে রাখা। তাই ফোটো বা ভিডিয়ো দেখার অনুমতি নেই। বর্তমানে ফেসবুক প্রোফাইলটিরও অস্তিত্ব নেই। হয় তা ডি-অ্যাক্টিভেট নয় ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।