করোনা সংক্রমণের কারণে গত দুবছর ধরে রাজ্যে বন্ধ ছিল স্কুল। এই দীর্ঘ সময় স্কুলের সঙ্গে পড়ুয়াদের সরাসরি যোগাযোগ না থাকায় অনেক পড়ুয়ায় স্কুল বিমুখ হয়েছে। তবে এই চিত্রটা শুধু মাত্র যে এ রাজ্যে তা নয়, সমস্ত রাজ্যেই এই ছবি ধরা পড়েছে। রাজ্যগুলিতে স্কুল ছুটদের সংখ্যাটা কত? এবার তা জানতে চাইল কেন্দ্র সরকার। এনিয়ে সমস্ত রাজ্য়ের কাছে রিপোর্ট ছেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যের শিক্ষা দফতরগুলিকে পূর্ণাঙ্গরিপোর্টতৈরিকরতেবলা হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে এইনির্দেশপাওয়ারপরএ রাজ্যের শিক্ষাদফতর জেলাগুলিরকাছে তথ্য চেয়ে নির্দেশপাঠিয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে প্রাথমিক,উচ্চপ্রাথমিক,মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয়গুলিতেপড়ুয়াদের সংখ্যা জানতে ছাওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, করোনা শুরুর আগে ও পরে স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের সংখ্যা কত ছিল তা জানাতে হবে। এরপরেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর স্কুল সাব ইনস্পেক্টরকে প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে। স্কুলে করোনার আগে কত পড়ুয়া ছিল? করোনার পর কত পড়ুয়া রয়েছে? কজন অনুপস্থিত রয়েছে? কেন রয়েছে? এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপনমণ্ডল কেন্দ্রের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‘করোনার সময় ব্যাপকভাবে স্কুলছুটদের সংখ্যা বেড়েছে। সংখ্যাটা হিসেব করলে লক্ষাধিক হতে পারে। কিন্তু, এখন কোনও সরকারই তা মেনে নিতে চাইছে না। তবে সঠিক রিপোর্ট প্রকাশ হলে তা জানা যাবে।‘