দশম অধ্যায় : বোবা সাক্ষী কথা বলুক
সীতারাম গোয়েল
ইসলামী আগ্রাসনের প্রাক্কালে বর্তমানে চীনের সিনকিয়াং প্রদেশ, রাশিয়ার ট্রান্স-অক্সিয়ানা অঞ্চল, ইরানের সিস্তান প্রদেশ এবং আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত, নেপাল এবং বাংলাদেশের সার্বভৌম রাজ্যগুলি হিন্দু সংস্কৃতির অংশ ছিল। আনুমানিক ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে ইসলামী আগ্রাসন শুরু হয়েছিল, (পাদটীকা ১) যখন মুসলিম সেনাবাহিনী সিস্তানে তাদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এটি অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ অবধি অব্যাহত ছিল। সর্বশেষ ইসলামিক ধর্মযোদ্ধা টিপু সুলতানকে ব্রিটিশরা ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। আরব, পারসীয়, তুর্কি এবং আফগান বাহিনী যারা ক্রমাগতভাবে ইসলাম ধর্মতত্ত্ব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল, একের পর এক এই বিশাল অঞ্চলের প্রতিটি কোণে আগুন এবং তরোয়াল নিয়ে লুটপাট ও হত্যালীলা চালিয়েছিল। প্রক্রিয়াটির মধ্যে দিয়ে সিনকিয়াং, ট্রান্স-অক্সিয়ানা অঞ্চল, সিস্তান এবং আফগানিস্তান দারুল-ইসলামে রূপান্তরিত হয় যেখানে সমস্ত অধিকার-পূর্ববর্তী সংস্কৃতি মুছে ফেলা হয়েছিল। একই অবস্থাটি ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতেও দেখতে পাওয়া যায়, এবং তার পর থেকে তা পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ হয়ে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আমরা বিদেশী ভ্রমণকারী, সাহিত্যিকদের রচনা এবং মধ্যযুগীয় লিপিগুলি থেকে জানতে পারি যে, ইসলামী আগ্রাসনের প্রাক্কালে হিন্দু সংস্কৃতির পটভূমিজুড়ে মৌমাছির চাকের মতো মন্দির, মঠ ও অন্যান্য ধর্ম-সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলি গড়ে উঠেছিল। এটাও জানতে পারা যায় যে যেসব জায়গায় তখনও ইসলামী আগ্রাসন হয়নি সেখানে এগুলির নির্মাণ একটি সাধারণ বিধির মতো ছিল। একই জিনিস দেখা যায় সেই সব জায়গায় যেখানে শক্তিশালী হিন্দুদের দ্বারা ইসলামী আগ্রাসনকে ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল।
হিন্দুদের পুরাণ, সমাজ, বহু দেব-দেবী, তাঁদের নিয়ে লোকগাথা এসবের কারণে হিন্দুদের মন্দিরের সংখ্যা ছিল প্রচুর। হিন্দু সমাজে প্রত্যেকের নিজস্ব সমৃদ্ধ উপাসনা পদ্ধতি ছিল। কিন্তু আক্রমণ শেষ হওয়ার পরে আমরা দেখতে পেলাম যে প্রায় এই সমস্ত হিন্দু উপাসনালয়গুলি হয় উধাও হয়ে গিয়েছিল বা ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছিল। বেশিরভাগ পবিত্র স্থানগুলি বিভিন্ন ধরনের মুসলিম স্মৃতিসৌধ-মসজিদ দ্বারা দখল করা হয়েছিলএবং আদগা (মসজিদ), দরগা এবং জিরাত (মন্দির), মাজার এবং মকবর (সমাধি), মাদ্রাসা ও মক্তব(মাদ্রাসা), তাকিয়াস এবং কবরস্তানে (কবরস্থান) রূপান্তরিত হয়েছিল। ইসলামিক ধর্মতত্ত্ব অনুযায়ী মন্দিরগুলি ধ্বংস করা হয় এবং তার সামগ্রী দিয়ে কিছু নতুন ঘরবাড়ি তৈরি হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই সামগ্রীগুলি দিয়ে ‘ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো’ দুর্গ, বাঁধ, প্রাসাদ, দেয়াল, গেট, নাট্যশালা ইত্যাদি তৈরী হতো।
ইসলামের কিছু কৈফিয়তদানকারী (অ্যাপোলজিস্ট) হিন্দু সংস্কৃতি ধ্বংসের জন্য পঞ্চম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের শ্বেত হুনদের বা এপথালাইটদের দোষ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তবে তাঁরা বিখ্যাত চীনা তীর্থযাত্রী এবং বৌদ্ধ সাধক হিউয়েন সাঙের সাক্ষ্যটি তাঁদের বিশ্লেষণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। হিউয়েন সাঙ ৬৩০ থেকে ৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতে পরিভ্রমণ করেন। উত্তর সিনকিয়াঙের করশাহর থেকে শুরু করে তিনি ট্রান্স-অক্সিয়ানা, উত্তর আফগানিস্তান, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তর-পূর্ব রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, নেপাল, বাংলা, আসাম, ওড়িশা, মহাকোশল এবং অন্ধ্রপ্রদেশ হয়ে তামিলনাড়ু পৌঁছান। ফিরে যাবার পথে তিনি কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্য ভারত, সিন্ধুপ্রদেশ, দক্ষিণ আফগানিস্তান হয়ে দক্ষিণ সিনকিয়াঙে যান। এই প্রদেশের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তিনি বহু বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠান, বিহার (মঠ), চৈত্য (মন্দির) এবং স্তূপ দেখতে পান, এছাড়াও তিনি হেরেটিক্যাল (জৈন) এবং দেব (ব্রাহ্মণ্য) মন্দিরও দেখেছিলেন। যদি এগুলি পঞ্চম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের শ্বেত হুনদের দ্বারা ধ্বংস হয়ে গিয়ে থাকতো তবে সেগুলি হিউয়েন সাঙের দৃষ্টিগোচর হতো না। তিনি যে জায়গাতেই স্থাপত্য ও ভাস্কর্যগুলি দেখেছেন তার থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এগুলি হিন্দুধর্মের, সাহিত্যের, সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত। এর মধ্যে কিছু সম্পদ সাম্প্রতিক সময়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
তীর্থযাত্রা চলাকালীন হিউয়েন সাং প্রায় ৯৫টি বৌদ্ধ কেন্দ্রে অবস্থান করেছিলেন, এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
সিনকিয়াঙের কুচি, আকসু, তিরমিজ, উচ তুরফান, কাশাগর এবং খোটনের বিখ্যাত কেন্দ্রগুলি; বালখ, আফগানিস্তানের গজনি, বামিয়ান, কাপিসি, লামহান, নাগরাহার ও বান্নু; পুষ্কাবতী, বোলার এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের তক্ষশীলা; কাশ্মীরের শ্রীনগর, রাজৌড়ি ও পাঞ্চ; শিয়ালকোট,
পাঞ্জাবের জলন্ধর ও সিরহিন্দ; হরিয়ানায় থানসার, পহোয়া এবং সুঘ ; রাজস্থানের বৈরাত ও ভিনমল, উত্তর প্রদেশের মথুরা, মহোবা, অহিচ্ছত্র, সংকিসা, কনৌজ, অযোধ্যা, প্রয়াগ, কৌশাম্বী, শ্রাবস্তী, কপিলাবস্তু, কুশীনগর, বারাণসী, সারনাথ এবং গাজীপুর; বিহারের বৈশালী, পাটালিপুত্র, রাজগীর, নালন্দা, বোধগয়া, মুঙ্গের এবং ভাগলপুর; বাংলায় পুণ্ড্রবর্ধন, তাম্রলিপ্ত, যশোর এবং কর্ণসুবর্ণ; ওড়িশার পুরী ও জাজনগর; অন্ধ্র প্রদেশের নাগার্জুনকোণ্ড ও অমরাবতী; তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম; কর্ণাটকের বাদামী ও কল্যাণী; মহারাষ্ট্রে পাইথান ও দেবগিরি; গুজরাটের বারুচ, জুনাগড় ও বলভী; মালওয়ায় উজ্জয়িনী; সিন্ধুর মিরপুর খাস এবং মুলতান।
এই কেন্দ্রগুলির মধ্যে বৃহত্তর বৌদ্ধ বিহারগুলির সংখ্যা ৫০ থেকে ৫০০ পর্যন্ত এবং সেখানে ১০০০ থেকে ১০,০০০ বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের বসবাস ছিল। এর মধ্যে কেবল পূর্ব আফগানিস্তানের কিছু অংশে ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে যে মঠগুলি ছিল সেগুলি খারাপ অবস্থায় ছিল, যা সম্ভবত শ্বেত হুনদের আক্রমণের ফল হলেও হতে পারে। তবে কুশীনগর এবং কপিলাবস্তুতেও সেগুলি খারাপ অবস্থায় ছিল যেখানে হোয়াইট হুন আক্রমণ হয়নি। অন্যদিকে, একই আক্রমণকারীরা (হোয়াইট হুন) পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশের বেশিরভাগ জুড়ে ছিল, যেখানে হিউয়েন সাং মঠগুলিকে ভাল অবস্থায় খুঁজে পেয়েছিলেন।
এমনকি তারা কাশ্মীরের উপরেও তাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিল যেখানে হিউয়েন সাং ৫০০ টি আশ্রমে ৫০০০ টি সন্যাসীর বাসস্থান দেখেছেন। সুতরাং, অঞ্চলগুলিতে বৌদ্ধ কেন্দ্রগুলি নিখোঁজ হওয়ার জন্য শ্বেত হুনদের দায়ী করা কঠিন। এর ব্যাখ্যা অন্য কোথাও খুঁজে পেতে হবে। তদুপরি, মন্দির এবং মঠ – হিউয়েন সাং যা দেখেছিল তা অনেকগুলির মধ্যে মাত্র কয়েকটিতে সীমাবদ্ধ ছিল। তিনি কোনও প্রদেশের অভ্যন্তরে যান নি। তিনি নিজেকে কিছু বিখ্যাত বৌদ্ধ কেন্দ্রগুলিতে সীমাবদ্ধ রেখে ছিলেন।
হাজার মন্দির এবং মঠগুলিতে সত্যিই কী ঘটেছিল? কেন সেগুলি অদৃশ্য হয়ে যায় এবং / অথবা অন্য ধরনের স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে স্থান দেয়? কীভাবে আসে তাদের স্থাপত্য এবং ভাস্কর্য টুকরা হয়ে অন্য স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের মেঝে, দেয়াল, গম্বুজ মধ্যে স্থান নেয়? এগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যা ভারতের মধ্যযুগীয় ইতিহাসের শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করা উচিত। তবে কোনো স্বনামধন্য ঐতিহাসিক এই প্রশ্নগুলি চৌকসভাবে উত্থাপন করেননি, আর উত্তরগুলির সত্যতা বিচারের তাই প্রশ্নই আসে না। এখনও পর্যন্ত বিষয়টির কোনও পদ্ধতিগত অধ্যয়ন করা হয়নি। কয়েকজন সাহসী হিন্দু ঐতিহাসিক যে পর্যন্ত লিখতে পেরেছেন তা হলো : সুলতানের ধর্মীয় নীতির জন্য কিছু হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছিল। স্যার যদুনাথ সরকার (পাদটীকা ২) এবং অধ্যাপক শ্রী রাম শর্মা (পাদটীকা ৩) হিন্দু মন্দিরগুলি ভেঙে ফেলার ইসলামী নীতিতে আরও মনোযোগ দিয়েছেন এবং এর কারণ হিসাবে ধর্মতত্ত্বকে দোষারোপ করেছেন। তবে তাদের আলোচনাটি সংক্ষিপ্ত। তাঁরা আওরঙ্গজেব এবং অন্যান্য মুঘল সম্রাটদের দ্বারা যে কটি মন্দির ধ্বংসের কথা অনুমান করেছেন তা বাস্তবের তুলনায় প্রায় কিছুই নয়। ইসলামের মতাদর্শে অনুপ্রাণিত এই ধ্বংসলীলা সুদীর্ঘ ১৩০০ বছর চলেছিল এবং তার পর ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগের পর নবগঠিত পাকিস্তানে এটি চলতে থাকে। ভারত ও বিদেশে মুসলিম ঐতিহাসিকরা শত শত বিবরণ লিখেছেন যার মধ্যে হিন্দু সংস্কৃতির কেন্দ্রে ইসলামী সেনাবাহিনীর অগ্রগতিটি সুস্পষ্ট। এই মুসলিম ইতিহাসের একটি বৈশিষ্ট্য হল, বর্ণনাটি সগৌরবে ঘোষণা করে কীভাবে হিন্দুদেরকে হত্যা করা হয়েছিল বা জোর করে সেনা বাহিনী দ্বারা ধর্মান্তর করা হয়েছিল, কীভাবে কয়েক হাজার হিন্দু পুরুষ এবং মহিলা এবং শিশুদেরকে লুঠ হিসাবে ধরা হয়েছিল এবং দাস হিসাবে বিক্রি করা হয়েছিল, কীভাবে হিন্দু মন্দির এবং মঠগুলিকে মাটিতে ফেলে দেওয়া বা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবং কীভাবে হিন্দু দেবদেবীদের চিত্রগুলি ধ্বংস বা অপমানিত করা হয়েছিল। আল্লাহর নির্দেশ (কুরআন) এবং নবী দ্বারা নির্ধারিত নজিরগুলির লেখকরা প্রায়শই এটা লিখেছেন কীভাবে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে নয়, বরং শান্তির সময় অসাধারণ উৎসাহ নিয়ে ইসলামের তরোয়ালবাহিনী অন্যের ধর্মস্থান ও সংস্কৃতি ধ্বংস করে। গোঁড়া ইমামদের দ্বারা নিখুঁত হিসাবে ইসলামের ধর্মতত্ত্ব সম্পর্কিত একটি উল্লেখই বিষয়টি পরিষ্কার করে দেয়। প্রথমদিকে ইসলামের পক্ষে কৈফিয়তদানকারী ও তাদের সঙ্গে কিছু হিন্দু ঐতিহাসিক এবং রাজনীতিবিদরা বলেন যে “ধার্মিক পৃষ্ঠপোষকদের খুশী করার জন্য সুলতানের সভাকরিরা ধ্বংস ও অত্যাচারের বিষয়টি অতিরঞ্জিত কাব্যিক আশ্রয়ে লিপিবদ্দ্ব করেছেন।” কিন্তু যখন তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় যে: কেন পৃষ্ঠপোষকদের নিজেদের ধার্মিক প্রতিপন্ন করার জন্য ধ্বংসের গল্পের প্রয়োজন হয়েছিল, তারা তাদের উত্তরের সমর্থনে ইসলামের ধর্মতত্ত্বের এই “অন্যের ধর্মস্থান ধংসের” সূত্রটিই উদ্ধৃত করেন, এতে তাঁদের পক্ষে মামলাটি দুর্বল হয়ে যায়।
যে পুরুষ ও মহিলা এবং শিশুদের হত্যা করা হয়েছিল বা জোর করে বন্দী করা হয়েছিল তাঁরা অবশ্যই “ইসলামের বীরদের” বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আসতে পারবেন না। তবে অত্যাচারের ভুক্তভোগী এবং সুলতানের সভাকবি ছাড়াও এমন অনেক সাক্ষী রয়েছেন যারা নিশ্চিত করে বলতে পারে যে : যেগুলি পুরোনো লিপিতে লেখা সেইগুলি শুধুই মনগড়া কল্পকথা নয়। সাক্ষীগুলি হল কয়েক হাজার ভাস্কর্য এবং প্রত্নতাত্ত্বিক টুকরো যা সারা বিশ্বের যাদুঘর এবং অঙ্কন কক্ষগুলিতে সজ্জিত, অথবা সরকারী বা বেসরকারী সংগ্রহকারীদের দ্বারা বাছাইয়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। অথবা অসংখ্য মুসলিম যাদুঘর থেকে এগুলি আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। এগুলি হাজার হাজার হিন্দু মন্দির এবং মঠগুলি, যেগুলি হয় ধ্বংসস্তূপ অবস্থায় পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরে দাঁড়িয়ে আছে অথবা পৃথিবীর নীচে সমাধিস্থ অবস্থায় আছে, প্রত্নতাত্ত্বিক দ্বারা প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায়। এগুলি হল কয়েক হাজার মুসলিম উপাসনালয়, যার প্রতিটি খুব পবিত্র ও সেইসঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষও, যা হিন্দু মন্দির এবং মঠগুলির স্থান দখল করে দাঁড়িয়ে আছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই মন্দির এবং মঠগুলির সামগ্রীগুলিকে নিজেদের কাঠামোর মধ্যে কোথাও না কোথাও বহন করে দাঁড়িয়ে আছে।
এই সমস্ত সাক্ষীরা, ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সঙ্গে যে ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছিল, তার এক অবিস্মরণীয় প্রমাণ বহন করে চলেছে। এখন পর্যন্ত কেউই এই সাক্ষীদের কথা বলে এবং তাদের কীভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, ভেঙে ফেলা হয়েছে, বিকৃত করা হয়েছে এবং পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে সেটা লিপিবদ্ধ করেননি। সাম্প্রতিককালে হিন্দু স্থাপত্য ও ভাস্কর্য সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞ ও পণ্ডিতরা, যাদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাঁরা প্রথমেই ধ্বংসের দিকটি অগ্রাহ্য করে বেঁচে যাওয়া মূর্তিগুলির হাত-পা এর দিকে মনোনিবেশ করেন এবং সেগুলির সৌন্দর্য্য নিয়ে কল্পজগৎ তৈরী করেন। এর বেশিরভাগটাই বাণিজ্যিক কারণে, সেটা বলাই বাহুল্য। অনেকসময় স্থাপত্যগুলির লুপ্ত অংশগুলো কী ছিল তা বোঝার জন্য তাদের কল্পনাশক্তির অবলম্বনও করতে হয়। মনে হয় তাঁরা সকলেই শুধুমাত্র ঐতিহাসিক হিসাবে তাঁদের নিজস্ব খ্যাতির বিষয়েই যত্নবান। যদি কেউ বিভ্রান্তি ও বিশৃঙ্খলার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তবে তাঁরা একটি নিঃশব্দ হতভম্ব উত্তর পান, অথবা তাঁকে “উগ্র হিন্দুত্ববাদীর” তকমা লাগিয়ে গণ-নিন্দার পাত্র করা হয়। (পাদটীকা-৪)
আমরা তাই এই ধরনের কিছু সাক্ষী উপস্থিত করার প্রস্তাব করছি যাতে তারা কী আকারে এবং কী প্রদর্শন করে সেটা বলতে পারে :
তোড়দী (রাজস্থান)
“তোড়দীতে দুটি সূক্ষ্ম ও বৃহদায়তনে নির্মিত পাথরের ‘বাওলি’ বা ধাপ কূপগুলি চৌর এবং খড়ি বাওরিস নামে পরিচিত। এগুলি সম্ভবত ১৫তম শতাব্দীর প্রথম দিকের বা মাঝামাঝি সময়ে, মুসলমানদের দ্বারা নির্মিত পুরানো হিন্দু কাঠামোর মেরামত বা পুনর্নির্মাণ হিসাবে দেখা যায়। (খারি) বাওরির নির্মাণে হিন্দু চিত্রগুলি অন্তর্নির্মিত হয়েছে, তাদের মধ্যে লক্ষণীয় যে এর মধ্যে বড় ধাপের উড়ানের ডান দিকের প্রাচীরের উপর কুবেরের চিত্র রয়েছে। (৫)
নারাইনা (রাজস্থান)
নারাইনাতে একটি পুরাতন স্তম্ভযুক্ত মসজিদ আছে। কথিত আছে এটি নয়টি উপসাগর সমান দীর্ঘ এবং চারটি উপসাগর সমান গভীর। এটি পুরানো হিন্দু মন্দিরগুলি থেকে তৈরি এবং গৌরী শঙ্কর জলাশয়ের পূর্বদিকে অবস্থিত। ৮৪০ হিজরী বা ১৪৩৬ খ্রিস্টাব্দে শামস খানের পুত্র মুজাহিদ খান যখন নারাইনা অধিকার করেছিলেন তখন মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। মসজিদের উত্তর দিকে ত্রিপোলিয়া নামক তিনটি খিলানদ্বার রয়েছে যা পুরানো হিন্দুদের উপকরণ দিয়ে নির্মিত হয়েছিল। (৬)
চাতসু (রাজস্থান)
“চাতসুতে গোলেরাভা জলাধারের পূর্ব বাঁধের উপরে একটি মুসলমান সমাধি নির্মিত হয়েছিল। গুরগ আলী শাহের ছত্রি নামে পরিচিত সমাধিটি হিন্দু ভবনগুলির লুণ্ঠনের দ্বারা নির্মিত। ছত্রির বারো-পার্শ্বযুক্ত দেওয়ালের অভ্যন্তরে দীর্ঘ ফারসী শ্লোকের শিলালিপি রয়েছে, তবে এটি বেশ কয়েকটি জায়গায় জীর্ণ। শিলালিপিতে ইতিহাসের সঙ্গে পরিচিত কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি এবং যা নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে, সাধু গুরুগ আলী (আলির নেকড়ে) ৯৭৯ হিজরী বা ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দে ১লা জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, রমজানের প্রথম দিনে একজন শহীদ হিসেবে মৃত্যুবরণ করেন। (৭)
সাহেথ-মাহেথ (উত্তর প্রদেশ)
“মাহেথের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বিধ্বস্ত জৈন মন্দির, তৃতীয় তীর্থঙ্কর সম্ভবনাথের থেকে থেকে ‘শোভনাথ’ নামটি পেয়েছে, যিনি “রাভস্তি”-তে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। (৮)
“যদি আমরা ‘শোভনাথ’ ধ্বংসস্তূপের সবচেয়ে পশ্চিমাংশের দিকে নজর দিই তবে দেখবো এটি একটি মুকুটযুক্ত গম্বুজবিশিষ্ট প্রাসাদ। এটা স্পষ্টতই পাঠান যুগের একটি মুসলিম সমাধিসৌধ।” (৯)
“এই ধংসাবশেষগুলি একটি ৩০ বর্গফুট বর্গক্ষেত্রের মঞ্চের উপর বেশিরভাগ ভাঙা খোদাই করা ইট দিয়ে নির্মিত। নিঃসন্দেহে এই মঞ্চটি সর্বশেষ জৈন মন্দিরের অংশ যা মুসলমানরা তাদের অধিকার করে ধ্বংস করেছিল। এটির নকশা থেকে দেখা যায় সমাধিটি এই বর্গাকার মঞ্চটির ওপর সমাপতিত। সমাধিটি বেশ কয়েকটি ধ্বংসাবশেষের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে যা সম্ভবত মন্দিরের ধ্বংসস্তূপের অবশেষ।” (১০)
(৩) বাদামী বেলেপাথর নির্মিত ভাস্কর্যটি আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছিল। এতে একটি পদ্মাসনে উপবিষ্ট ধ্যানমগ্ন তীর্থঙ্করের মূর্তি সিংহাসনে উপস্থাপিত ছিল. সেই সিংহাসনটি একটি চক্রের উভয় পাশে দুটি সিংহের উপর স্থাপিত ছিল।
(৪) বাদামী বেলেপাথরের “ভাস্কর্যটি” আংশিকভাবে বিকৃত করা হয়েছে, এটি একটি পদ্মাসনে উপবিষ্ট ধ্যানমগ্ন তীর্থঙ্করর মূর্তি (উপরের বর্ণিত মূর্তিটির মত)।
(৮) বাদামী বেলেপাথরের ভাস্কর্যটি আংশিকভাবে বিকৃত করা হয়েছে, এটি দুটি ক্ষুদ্র মূর্তির মধ্যে দণ্ডায়মান একটি তীর্থঙ্করের মূর্তি।
(৯) বাদামী বেলেপাথরের ভাস্কর্যটি অনেক বেশি বিকৃত, একটি খেজুর গাছের নীচে পাশে বসে পুরুষ এবং মহিলা চিত্র উপস্থাপন করে।
(১২) বাদামী বেলেপাথরের ভাস্কর্যটি ছোট ছাতার নিচে একটি দণ্ডায়মান তীর্থঙ্করের মূর্তি, যাকে বিকৃত করা হয়েছে।
(১৩) বাদামী বেলেপাথরের ভাস্কর্য, পদ্মাসনে উপবিষ্ট তীর্থঙ্করের মূর্তি, চার টুকরো হয়ে গেছে। এর মাঝে একটি সাপের ফণার আকারের মূর্তি রয়েছে। স্পষ্টতই এটি একটি বৃহদাকারের পাথরের উপরে ছিল। (১১)
একই স্থানে একটি বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষে এসে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো থেকে নিম্নলিখিতগুলি দেখা যায় :
ত্রয়োবিংশতিতম কক্ষে, যেটাকে আমি ভাঁড়ার ঘর রূপে চিহ্নিত করতে পেরেছি, মেঝেতে একটি বড় মাটির জারের অর্ধেক ভূগর্ভস্থ অবস্থায় পেয়েছি। এটি সম্ভবতঃ ভুট্টা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হত। এই ঘরটি এমন একটি সূত্রের সঙ্গে যুক্ত যা অবশ্যই মরসুমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার। আমি কনৌজের গোবিন্দচন্দ্রের একটি খোদাই করা তামার প্লেটের কথা বলছি। সনদটি বেনারস থেকে জারি করা হয়েছিল, সোমবার, পূর্ণিমা তিথিতে, ১৬ই আষাঢ় সম ১১৮৬ যা ছিল ২৩ জুন ১১৩০।
শিলালিপিতে বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্প্রদায়কে ছয়টি গ্রামের অনুদান রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে বুদ্ধভট্টারক পবিত্র জেতবনের মহান বিহারে অবস্থিত এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এটি গুরুত্ব সহকারে মাহেথের পরিচয় স্থির করে, শ্রাবস্তী শহরের সঙ্গে সংযোগের ভিত্তিতে।
তিনি শ্রাবস্তীতে আবিষ্কৃত কয়েকটি ভাস্কর্যর কথা নীচে বর্ণনা করেছেন:
এস-১ : বুদ্ধের ধূসর পাথরের একটি পদ্মাসনে উপবিষ্ট মূর্তি, যাঁর মাথা, বুক এবং সামনের বাহুর পাশাপাশি ভাস্কর্যের দিকগুলিও ভেঙে গেছে।
এস-২: নিচের অংশ : নীল বর্ণবাদী চিত্র লীলাসনে অবলোকিতেশ্বর পদ্মাসনে উপবিষ্ট
এস-৩: প্রচলিত পদ্মের উপর অর্ধপরিযানক মনোভাব নিয়ে উপবিষ্ট অবলোকিতেশ্বর ছবিটির মাথা ও বাম বাহু পাওয়া যায়নি। (১৩)
সারনাথ (উত্তর প্রদেশ)
১৯০৪-০৫ সালে খননের খবরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সেখানে যে শিলালিপিগুলি পাওয়া গেছে তা দ্বাদশ খ্রিস্টাব্দের। এ থেকে বোঝা যায় যে বৌদ্ধধর্মের সঙ্গে সারনাথের সংযোগটি দ্বাদশ শতাব্দীতে বর্তমান ছিল। রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে যে খননকৃত ধ্বংসাবশেষের পরিস্থিতি সন্দেহাতীতভাবে প্রকাশ করে যে ইচ্ছাকৃত ধ্বংস এবং লুণ্ঠনের দ্বারা এই জায়গাটিকে তছনছ করা হয়েছে। (১৪) এটিকে মুসলিমদের তৈরী একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়, “১১৯৩ খ্রিস্টাব্দে কানৌজের মহারাজা জয়চন্দ্রকে পরাস্ত করে বারাণসীতে পৌঁছলে মুহাম্মদ ঘুরি এক হাজারটি মন্দির ধ্বংস করেছিলেন।” নীচে তালিকাভুক্ত খণ্ডগুলি একই কথা বলে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দেওয়া নম্বরটি খননের প্রতিবেদনে গৃহীত একটি নম্বর।
এ৪২) উচ্চ অংশের ভাস্কর্যযুক্ত ফলক
ই৮) প্রত্নতাত্ত্বিক টুকরো, বুদ্ধের (?) পদ্মের উপর উপবিষ্ট মূর্তি
এ২২) বিক্ষিপ্ত দাঁড়িয়ে থাকা বুদ্ধমূর্তি, হাত অনুপস্থিত।
এ ১৭) চক্র-সহ বুদ্ধের মাথা
এ ৮) চিত্রের মাথা এবং ডান হাত।
ই ২২) চিত্রের উপরের অংশ।
ই. ১৪. বাম হাতে বস্তু ধারণ করে উপবিষ্ট ভাঙা মূর্তি।
এ. ১১. বৃহৎ ভাস্কর্যের খণ্ড; আবক্ষ মূর্তি, মাথার অংশ এবং মহিলা চামড় বহনকারীর ডান দিকের কাঁধের ওপরের অংশ।
ই. ২৫. কানের বড় দুল যুক্ত একটি মহিলা মূর্তির উপরের অংশ।
ই. ৬. বাম দিকের সিংহাসনের শীর্ষে (?) থেকে ভাস্কর্যের খণ্ড।
এন. ১৯. ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় বুদ্ধের বসে থাকা মূর্তি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ।
এন. ২২১. ধর্মচক্র মুদ্রায় মস্তক বিহীন বুদ্ধমূর্তি।
এন. ৯১. সিংহাসনে পদ্মাসনে উপবিষ্ট বুদ্ধমূর্তির নীচের অংশ, অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্থ।
এন. ১৪২. পাথরে উৎকীর্ণ নতোন্নত অবলোকিতেশ্বরের মূর্তি। হাঁটু থেকে নীচের পায়ের পাতা পর্যন্ত অনুপস্থিত।
এন. ১. আংশিকভাবে উদ্ধার করা হয়েছে, বিকৃত ও ওপরের অংশ অনুপস্থিত। ত্রায়স্ত্রিংশ স্বর্গে সাজানো বুদ্ধ মূর্তি। মস্তক এবং বাম হাতটি নিখোঁজ।
আই. ৫০. মূর্তির নিচের অংশটি। ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় বুদ্ধ পদ্মের উপর উপবিষ্ট।
আই. ১৭. পদ্মের উপর ধ্যানমগ্ন বুদ্ধমূর্তি, যার মাথা টি পাওয়া যায়নি।
আই. ৪৬. কোঁকড়ানো চুল যুক্ত বুদ্ধ মূর্তির মস্তক।
আই. ৪৪. অমিতাভ বুদ্ধর অবলোকিতেশ্বরের মূর্তির পাগড়ী পরিহিত মস্তক।
এন. ১০. তিন মাথা যুক্ত সবুজ পাথরের মূর্তির অংশ। (মারিচী ?)
আই. ৪৯. চিত্রের উপরের ডান দিক থেকে পরিচারকের দণ্ডায়মান মূর্তি। অর্ধেক মুখ, পা এবং বাম হাত পাওয়া যায়নি।
আই. ১. মস্তক বিহীন অলঙ্কারযুক্ত পুরুষ মূর্তি।
আই. ৪. মাথায় দৃষ্টিনন্দন অলঙ্কারযুক্ত মহিলা মূর্তি। হাঁটু থেকে পা, ডান ও বাম হাত অনুপস্থিত। মূর্তিটি অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্ত।
আই. ১০৫. হাতে ধরে থাকা একটি পদ্মফুল।
এন. ১৭২. মস্তকহীন বুদ্ধ মূর্তি।
এন. ১৮. বুদ্ধ মূর্তির মস্তক। কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ।
এন. ১৬. মহিলা মূর্তি, পা অনুপস্থিত।
এন. ৯৭. একটি মহিলা মূর্তির নিচের অংশ। পা অনুপস্থিত।
এন. ১৬৩. উপবিষ্ট বুদ্ধ মূর্তি। অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্থ।
কে. ৪. নীল পাথরের বুদ্ধ মূর্তির অংশবিশেষ।
কে. ৫. একটি বড় মূর্তির অংশবিশেষ, যাতে ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় ক্ষুদ্র বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে।
কে. ১৮. সেরা গুপ্ত শৈলীতে তৈরী মূর্তির অংশ বিশেষ।
জে. এস. ১৮. ২৭. ২৮. গুপ্ত শৈলীতে নির্মিত তিনটে বুদ্ধ মূর্তির মস্তক।
জে. এস. ৭. কুলুঙ্গির ভিতরে মাথার পিছনে বর্ণবলয় সহ কুবেরে মূর্তি। আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ।
আর. ৬৭. একটি পুরুষ মূর্তির উপরের অংশ, দৃষ্টিনন্দনভাবে শোভিত।
আর. ৭২. এ এবং বি. স্তম্ভমূলের অংশ সহ ধ্যানমুদ্রায় ৩ টি বুদ্ধমূর্তি।
আর.২৮. হাতের একটি অংশ, যার তাগা বা আভরণে ১০ম শতাব্দীর অক্ষরে লিখিত বুদ্ধ ধর্মের বাণী লেখা।
বি. ২২. বুদ্ধদেবের বোধি লাভের দৃশ্য (?); দুই মহিলা সাধারণ পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে।
বোধির দৃশ্যের টুকরা (?); প্রচলিত শিলায় দাঁড়িয়ে দুই মহিলা। মাথা ও বাম দিকের মূর্তির ডান হাত ভাঙা।
বি. ৩৩. ধ্যানমুদ্রায় উপবিষ্ট বুদ্ধ মূর্তি। যা অনেকাংশের বিকৃত।
বি. ৭৫. ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় পদ্মাসনে পদ্ম ফুলের ওপর উপবিষ্ট বুদ্ধ মূর্তি র নিচের অংশ।
বি. ৪০. সিংহাসনের উপর পদ্ম ফুলে পদ্মাসনে উপবিষ্ট বুদ্ধ মূর্তি।
বি. ৩৮. মস্তকহীন, বিকৃত বুদ্ধমূর্তি, পদ্ম ফুলের উপর পদ্মাসনে ধর্মচক্র মুদ্রায় উপবিষ্ট।
ওয়াই ২৪. মস্তকহীন বুদ্ধমূর্তি, সিংহাসনের উপর পদ্মাসনে ধর্মচক্র মুদ্রায় উপবিষ্ট।
বি. ৫২. ধর্মচক্র মুদ্রায় আবক্ষ বুদ্ধ মূর্তি। মস্তক অনুপস্থিত।
বি. ১৬. বরদামুদ্রায় দণ্ডায়মান বুদ্ধ মূর্তি। হাত এবং পা ভেঙে গেছে।
ওয়াই ৩৪. বরদামুদ্রায় বুদ্ধ মূর্তির উপরের অংশ।
বি. ২৪. অভয়মুদ্রায় দণ্ডায়মান বুদ্ধের আবক্ষ মূর্তি। বাম হাত ও মস্তক অনুপস্থিত।
বি. ৩১. অভয়মুদ্রায় দণ্ডায়মান বুদ্ধ মূর্তি। যা অনেকাংশেই বিকৃত। মাথা ও পায়ের পাতা অনুপস্থিত।
বি. ৪৮. দণ্ডায়মান বুদ্ধ মূর্তি যার পায়ের পাতা লাল রঙের।
বি. ১৫. পদ্ম ফুলের উপর লীলাসনে উপবিষ্ট অবলোকিতেশ্বর মূর্তির নিচের অংশ।
ওয়াই ২৩. লীলাসনে উপবিষ্ট আবক্ষ মূর্তি, যেটির পিছনে চক্র রয়েছে।
বি. ৫৯. পদ্ম ফুলের উপর পদ্মাসনে উপবিষ্ট মূর্তির পা.
বি. ৭. উষ্ণীষ ও অলঙ্কার পরিহিত মহিলার আবক্ষ মূর্তি। সম্পূর্ণ বাম হাত ও ডান হাতের অগ্রভাগ অনুপস্থিত।
বৈশালী (বিহার)
শহরের দক্ষিণ অংশে রাজা বিশালের দুর্গটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধ্বংসস্তূপ, যা দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি পুরাতন ইটের স্তূপে দাঁড়িয়ে আছে; এখন এটি একটি দারগাহে রূপান্তরিত হয়েছে। সেখানে যাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল বলে মনে করা হয় সেই সাধকের নাম মীরান-জি (১৬)
গৌড় এবং পাণ্ডুয়া (বাংলা)
মসজিদ এবং সমাধি স্থাপনের জন্য মুসলমানরা সমস্ত হিন্দু মন্দিরগুলি নীচে ফেলে দেয়, যা থেকে তারা নির্মাণের উপকরণ সংগ্রহ করে. গৌড় ও পাণ্ডুয়ার প্রাচীনতম ও সর্বাধিক পরিচিত কাঠামোটি হল ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দার শাহ নির্মিত পাণ্ডুয়ার আদিনা মসজিদ।
এর শিলালিপিটির তারিখটি ৭৭৬ অথবা ৭৭০ সন যা ১৩৭৪ বা ১৩৬৯ খ্রিস্টাব্দে। বেশিরভাগ হিন্দু মন্দিরের জিনিসপত্র এবং মন্দিরের খোদাই করা অনেকগুলি জিনিস ব্যবহার করে এটির দরজা, খিলান এবং পিলারগুলির নির্মিত। (১৭)
দেবীকোট (বাংলা)
পুণ্ড্রবর্ধন প্রদেশের (ভুক্তি) অধীনে একটি জেলার প্রাচীন শহর ছিল কোটিবর্ষ। গুপ্তদের সময়ে বিখ্যাত শহরটি বর্তমানে বাণগড় বা বন রাজার গড়ের বিস্তৃত ঢিবি দ্বারা ঢাকা। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মুসলমানদের আক্রমণ পর্যন্ত, এটি যখন অক্ষত ছিল তখন এটি দেবকোট বা দেবিকোট নামে পরিচিত ছিল। এটি ত্রয়োদশ থেকে ষোড়শ শতক অবধি মুসলমান শাসনের সাক্ষ্য ধারণ করেছে. দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত রাজবাড়ী ঢিবিটি বাণগড়ের সর্বোচ্চ ঢিবিগুলির মধ্যে একটি এবং এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবশেষে থাকতে বাধ্য। (১৮)
সুলতান পীরের দরগাটি একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের স্থানে নির্মিত একটি ‘মুসলমান প্রার্থনাস্থল’, যার ঘেরের মাঝখানে এখনও মন্দিরের চারটি গ্রানাইট স্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে। দরগার প্রবেশদ্বারটি নির্মাণে এগুলি ব্যবহৃত হয়েছে।
ধল-দিঘি ট্যাঙ্কের উত্তর তীরে শাহ আতার দরগাটি প্রাচীন হিন্দু বা বৌদ্ধ কাঠামোর ধ্বংসাবশেষের উপর নির্মিত আরেকটি কাঠামো।
দরজার প্রবেশপথের নারীমূর্তিটি তারার মতো দেখতে, যা থেকে অনুমান করা যায় যে মন্দিরটি ধ্বংস হয়ে গেছে তা একটি বৌদ্ধ মন্দির ছিল। (১৯)
ত্রিবেণী (বাংলা)
ত্রিবেণীতে মূলত আগ্রহের মূল বিষয়টি ছিল জাফর খান গাজীর দরগাহ। এই শাসকের কালানুক্রমিক দুটি শিলালিপি থেকে তার শাসনকাল অনুমান করা যেতে পারে যেগুলির মধ্যে একটি তার সমাধির খণ্ডে বসানো হয়েছে, অন্যটি ছোট মসজিদের ভিতরে আছে (সমাধির পশ্চিমে)।
উভয়ই তাঁর কথা উল্লেখ করেছে এবং প্রথমটি আমাদের বলে যে তিনি দরগার নিকটে মসজিদটি তৈরি করেছিলেন, যা ১২৯৮ খ্রিস্টাব্দের; দ্বিতীয়টিতে শামসুদ্দীন ফিরোজ শাহের সময়ে একটি মাদ্রাসা বা কলেজের স্থাপনার কথা বলা হয়েছে যেটি ২৮ শে এপ্রিল, ১৩১৩ খ্রিস্টাব্দের।
তিনিই পাণ্ডুয়ার হিন্দু রাজাকে পরাজিত করেছিলেন এবং নিম্নবঙ্গের এই অংশে ইসলামের প্রচারের সূচনা করেছিলেন। সমাধিটি হিন্দু মন্দির থেকে গৃহীত লুণ্ঠনসামগ্রী দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। (২০)
সমাধির পূর্ব অংশ পূর্ববর্তী কৃষ্ণ মন্দিরের একটি মণ্ডপ ছিল যা পরবর্তীকালেও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। অভ্যন্তরের দেয়ালের ভাস্কর্যগুলিতে রামায়ণ এবং মহাভারতের দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে প্রাক্-বাংলা লিপিতে বর্ণনামূলক লেখা আছে। অন্যান্য ছবিগুলি বিষ্ণু, লক্ষ্মী এবং সরস্বতীকে কেন্দ্র করে দুই জন পরিচারকের এবং উভয় প্রান্তে বিষ্ণুর পাঁচটি অবতারের ছবি। ১৯৩২-৩৩ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক কাজগুলির সঙ্গে অনেকটা পরিষ্কার করার কাজ সম্পাদিত হয়েছে এবং তাতে সূর্যদেবের বারোটি চিত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলি দ্বাদশ শতাব্দীর আদলে তৈরী। যখন হিন্দু মন্দিরকে মুসলিম কাঠামোতে রূপান্তর করা হয়েছিল তখন রাজমিস্ত্রিরা স্পষ্টতই এগুলি পুনর্ব্যবহার করেছিল। (২১)
মাণ্ডু (মধ্য প্রদেশ)
মাণ্ডু মালবের মুসলমান সুলতানদের রাজধানী হয়ে ছিল। হিন্দু মন্দিরগুলি থেকে নিয়ে আসা সামগ্রী দিয়ে তাঁরা তাঁদের প্রাসাদ এবং মসজিদ স্থাপন করেছিলেন। (ইতিমধ্যেই মন্দিরের বেশিরভাগ অংশগুলি তাদের পূর্ববর্তী সহ-ধর্মবাদীদের প্রতিমাবিধ্বংসী ক্রোধের দ্বারা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং সহজেই তাঁরা সেই শিলাগুলি ব্যবহার করেন। এভাবেই মালবের পরমারাসের প্রায় সমস্ত চিহ্নই অদৃশ্য হয়ে গেছে, থেকে গেছে কেবল সেগুলি মসজিদ এবং সমাধিসৌধে ব্যবহৃত হয়েছিল। (২২)
হিন্দোলা মহল নির্মাণের দিনাঙ্ক যথাযথতার সঙ্গে নির্ধারণ করা যায় না। তবে সন্দেহ নেই যে এটি মাণ্ডুতে মুসলিম নির্মাণের প্রথম দিকের অন্যতম নিদর্শন। এর বাহ্যিক উপস্থিতি থেকে হিন্দু কারুশিল্পের চিহ্ন চোখে পড়ে না, তবে গত এক বছর ধরে যে মেরামতকর্ম চলছে তা থেকে কাঠামোতে ব্যবহৃত প্রচুর পরিমাণে আগে থেকে বিদ্যমান হিন্দু মন্দিরের অংশ চোখে পড়ে। যে মুখোমুখি পাথরগুলি সবচেয়ে নিখুঁতভাবে এবং সাবলীলভাবে তাদের বাহ্যিক পৃষ্ঠগুলিতে কাটা হয়েছে, তাদের আভ্যন্তরীণ দিকগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই হিন্দু দেবদেবীর খোদিত চিত্র রয়েছে। নকশার নিদর্শনেও হিন্দু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এগুলি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মিশ্রিত অবস্থায় পাওয়া যায়। (২৩)
ধার (মধ্য প্রদেশ)
মসজিদটি স্থানীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী তৈরী। এর মধ্যে এমন অসংখ্য ইঙ্গিত ও শিলালিপি পাওয়া যায় যা থেকে বোঝা যায় যে একটি হিন্দু মন্দির থেকে গৃহীত উপকরণ থেকে তৈরী, যা বাসিন্দাদের কাছে ‘রাজা ভোজের বিদ্যালয়’ রূপে পরিচিত ছিল। প্রার্থনা কক্ষ এবং পার্শবর্তী দেওয়ালের থেকে এবং তলের তলায় কালো পাথরের স্ল্যাবগুলিতে নির্দিষ্ট সংস্কৃত শিলালিপি থেকে সূত্রটি সম্পর্কে কিছুটা অনুমান করা যায়। বৃহৎ প্রার্থনার কক্ষের দুটি স্তম্ভের উপর অঙ্কিত চিত্রে কিছু সংস্কৃত বর্ণে লিখিত ব্যাকরণীয় রচনা থেকে এই সিদ্ধান্তটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। (২৪)
১৪০৫ খ্রিস্টাব্দে মালবের মুসলমান রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা দিলোয়ার খান দ্বারা নির্মিত লট মসজিদটি কেবল লোহার তৈরী লাটকে কেন্দ্র করেই নয়, এটির আরেকটি আকর্ষণের কারণ হলো যে এটি হিন্দু মন্দিরগুলির ধ্বংস এবং সেই সামগ্রীগুলি দিয়ে তৈরী কাঠামোর একটি দুর্দান্ত নমুনা। (২৫)
বিজয়নগর (কর্ণাটক)
নতুন রাস্তা নির্মাণের সময় কিছু ঢিবি, যা স্পষ্টতই ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলির ধ্বংসাবশেষকে চিহ্নিত করে, সেগুলি খনন করা হয়েছিল এবং এর মধ্যে একটিতে বিস্তৃতভাবে খোদাইকৃত একটি আয়তাকার ভিত্তি আবিষ্কৃত হয়েছিল। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে কাঠকয়লা এবং আংশিক আগুনে পোড়া কালো লোহা ছিল, সম্ভবত সেগুলি উপাদানগুলির অবশেষ ছিল যা মুসলমানদের দ্বারা স্থাপত্যটি ধ্বংস করে অগ্নিসংযোগের সাক্ষ্য বহন করে। অনেকক্ষণ আগুনের শিখায় থাকলে যেরকম দেখতে হয়, পাথরগুলিতে সেরকম হওয়ার ব্যাপক চিহ্ন রয়েছে। প্রধান ভবনগুলি আগুনের দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল। বিশেষত মন্দিরটি এখনও এই ধ্বংসের প্রমাণ বহন করে। (২৬)
বিট্ঠলস্বামী মন্দিরটি স্থাপত্যকর্মের দিক থেকে বিজয়নগরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরের নিকটবর্তী ধ্বংসাবশেষের পূর্ব সীমানায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এর কাঠামোয় পুষ্পশোভিত অনুরূপ ভাস্কর্যের অসাধারণ শৈলী দেখা যায় যা দ্রাবিড়ীয় রীতির একটি প্রকাশ। স্পষ্টতই এটি মোহাম্মদীয় আক্রমণকারীদের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। শহরের ভবনগুলি ধ্বংস করার জন্য তাদের প্রয়াসের মধ্যে এটি নিঃসন্দেহে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদিও অন্যান্য মন্দিরগুলির মধ্যে অনেকগুলিতেই আগুনের ক্রিয়াকলাপের চিহ্ন দেখা যায়, তবে সেগুলির কোনোটির মধ্যেই আগুনের প্রভাব এত তীব্র ছিল না। যদিও এর বিশাল নির্মাণ এটিকে ধূলিসাৎ করার প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল তবে আংশিক ফাটল-ধরা কড়ি ও স্তম্ভগুলো ধ্বংসকারীদের প্রতিমাবিধ্বংসী ক্রোধের দৃশ্যমান নিদর্শন। সেগুলি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে আংশিক ফাটল-ধরা অবস্থাতেও সেগুলি মূল মন্দিরটির ভার বহনে সক্ষম ছিল। (২৭)
বিজাপুর (কর্ণাটক)
বিজাপুরে কোনও প্রাচীন হিন্দু বা জৈন ভবন বেঁচে নেই এবং তাদের পূর্বের অস্তিত্বের একমাত্র প্রমাণ দুটি বা তিনটি মসজিদ; উদাহরণস্বরূপ, সমাহর্তার বাংলোর প্রাঙ্গনে অবস্থিত মসজিদ নং ২৯৪, করিম-উদ-দিন মসজিদ এবং মঙ্গোলি দ্বারের পথে তৃতীয় এবং সবথেকে ছোট মসজিদ। এগুলির প্রত্যেকটিই ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির থেকে প্রাপ্ত উপকরণগুলির দ্বারা নির্মিত। এই মসজিদগুলি প্রাচীনতম মুসলমান কাঠামোর নিদর্শন। এর মধ্যে একটি, করিম-উদ-দিন মসজিদটি ১৪০২ শকে অর্থাৎ ১৩২৪ খ্রিস্টাব্দে মালিক কাফুরের দাক্ষিণাত্য জয়ের পরেই, নির্মিত হয়েছিল। স্তম্ভগুলিতে খোদাই করা ফারসী এবং নাগরী শিলালিপি থেকে এ তথ্য জানা যায়। (২৮)
বাদামী (কর্ণাটক)
বাদামির ভূতনাথ জলাধারের উত্তরে পার্বত্য দুর্গের দ্বিতীয় প্রবেশপথের পরে তিনটি পাথরে খোদাই কাঠামো পাওয়া যায়, যেগুলিকে মন্দিরের অংশ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলি পরবর্তীকালে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করে রক্ষীগৃহের স্তম্ভ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর পাদদেশের খোদিত চিত্রগুলি কৃষ্ণের প্রথম জীবনের দৃশ্য উপস্থাপন করে যা অনেকটা বাদামি গুহার সঙ্গে তুলনীয়। (২৯)
ধ্বংসের রূপরেখা (প্যাটার্ন)
ইসলামের ধর্মতত্ত্ব মানব ইতিহাসকে দুটি পর্যায়ে বিভক্ত করেছে, প্রথমটি : জাহিলিয়া বা অজ্ঞতার যুগ যা মহানবী হজরত মুহাম্মদের প্রতি আল্লাহর প্রকাশের পূর্বকার সময়। দ্বিতীয়টি : তৎপরবর্তী সময় বা জ্ঞানার্জনের যুগ। এটি অনুসরণ করে অজ্ঞানের যুগে বিদ্যমান প্রতিটি মানব সৃষ্টিকে হয় তার ইসলামিক রূপে পরিবর্তন করতে হবে নয়তো ধ্বংস করতে হবে। এই যুক্তি প্রাক-ইসলামিক স্থাপত্যগুলির জন্য যতটা প্রযোজ্য; ইসলামিক উপাসনা পদ্ধতি, আচার-আচরণ, শালীনতা, পোশাক এবং সজ্জা, ব্যক্তিগত এবং জায়গার নাম হিসাবেও একই রকমভাবে প্রযোজ্য। বর্তমানে প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করার জন্য এটি অত্যন্ত সুদীর্ঘ বিষয়। আমাদের আলোচনার মূল বিষয় মন্দির এবং মঠগুলির ভাগ্য, যেগুলি ইসলামী আগ্রাসনের প্রাক্কালে বিদ্যমান ছিল এবং যেগুলি ইতিহাসের প্রবাহের পথে এসেছিল। ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে তালিকোটের যুদ্ধে ইসলামিক বিজয়ের প্রেক্ষিতে আর কী কী ঘটেছিল তা বিজয়নগরের একজন ইতিহাসবিদ সবচেয়ে ভাল বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, তৃতীয় দিন থেকে শেষের শুরু সূচিত হয়। বিজয়ী মুসলমানরা বিশ্রাম ও সতেজতা অর্জনের জন্য যুদ্ধের ময়দানে সাময়িকভাবে থামল। তবে ততক্ষণে তারা রাজধানীতে পৌঁছে গেছিল। সেই সময় থেকে পাঁচ মাসের জন্য বিজয়নগরে যা হয়েছিল তা বর্ণনাতীত। তারা ধ্বংস করতে এসেছিল এবং সেই কাজটি নিরলসভাবে চালিয়ে গেছিল। মানুষকে এলোপাথাড়ি হত্যা করা, মন্দির এবং প্রাসাদগুলির ধ্বংসসাধন কোনোটাই সেটাকে সম্পূর্ণ ভাষায় বর্ণনা করতে পারে না। একদিন যে শহর স্থাপত্যকীর্তির পীঠস্থান ছিল, পাঁচমাসের ব্যবধানে তা সম্পর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। তারা মূর্তিগুলি ভেঙে ফেলে এমনকি বিশাল একপ্রস্তরস্তম্ভ (একটি পাথর থেকে নির্মিত) নরসিংহ মূর্তিটির অঙ্গ ভাঙ্গতেও সফল হয়েছিল। যে বিশাল দর্শন স্থানে দাঁড়িয়ে রাজা উৎসব ও শোভাযাত্রা দেখতেন, সেগুলিও ধ্বংস করা হয়। তারপর তারা নদীর ধারে বিট্ঠলস্বামী মন্দির গঠনের চমৎকারভাবে সজ্জিত ভবনগুলিতে বিশাল আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং এর দুর্দান্ত প্রস্তর ভাস্কর্যটি ভেঙে দেয়। আগুন জ্বেলে এবং তরোয়াল, শাবল এবং কুঠার দিয়ে তারা তাদের ধ্বংসাত্মক কাজটি দিনের পর দিন চালিয়ে যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও এই ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি যা হঠাৎ করে মাত্র অল্প কয়েক মাসের মধ্যে ধনী ও পরিশ্রমী জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির শিখরে থাকা এত সুন্দর তৈরি শহরকে ধ্বংস এবং ভয়াবহ গণহত্যার মধ্যে দিয়ে তার সমৃদ্ধিকে মুছে দিয়েছে। (৩০)
মুসলিম বিজয়ীরা বিজয়নগরের ধ্বংসাবশেষ থেকে তাদের নিজস্ব কাঠামো উত্থাপন করার জন্য সময় পায়নি। এর একটি কারণ হিন্দু রাজা তাঁর বাহিনীকে পুনরায় সাজাতে এবং তাঁর রাজধানী পুনরুদ্ধার করতে সফল হয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত বসতি স্থাপনের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক মুসলিম এ অঞ্চলে ছিল না। আরেকটা কারণ হলো আরেক আক্রমণকারী পর্তুগিজদের দ্বারা আরব সাগরের নিয়ন্ত্রণ, যা মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ থেকে মুসলিমদের প্রবাহকে বাধা দিয়েছিল। অন্যথায় যা ঘটত তা মাহোবা সম্পর্কিত তাঁর প্রতিবেদনে আলেকজান্ডার কানিংহাম বর্ণনা করেছেন।
তিনি লিখেছেন, মাহোবা যেমন প্রথম দিকের মুসলমান শাসকদের মুখ্যালয় ছিল, তাতে অল্প কিছুদিন পরেই, আশা করা যায়, যে সমস্ত হিন্দু ভবনই তাদের উগ্র গোঁড়ামি বা তাদের ধ্বংসাত্মক কাজের শিকার হতো। একটি হিন্দু মন্দিরের ধ্বংস যখন ধ্বংসকারীকে পৃথিবীতে নিজের জন্য ঘর প্রস্তুত করার পাশাপাশি স্বর্গেও তাদের বাসস্থানকে সুনিশ্চিত করতে পারে, তখন এটি সত্যিই আশ্চর্যজনক যে এখনো এতগুলি মন্দির দেশের বিভিন্ন অংশে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। তবে এটি অবশ্যই স্বীকার করতেই হবে যে মহোবাতে এই একক নির্জন মন্দিরটি সত্যিই একটি ব্যতিক্রম। প্রথম দিকের মুসলমানরা যে শহরগুলিতে স্থায়ীভাবে দখল করেছিলে, তার কোনটিতেই তারা কোনো মন্দির অক্ষত রাখেনি! আর এই জন্য তার ভৌগোলিক অবস্থান অনেকটা দায়ী, এটি মদন-সাগরের গভীর জলের দ্বারা ঘেরা। দিল্লী, মথুরা, বেনারস, জৌনপুর, নরবর ও আজমিরে প্রত্যেকটি মন্দির তাদের ধর্মান্ধতার দ্বারা ধ্বংস হয়েছিল, তবে তাদের অর্থলোলুপতার কারণে, বেশিরভাগ সুন্দর হিন্দু স্তম্ভ সংরক্ষণ করা হয়েছিল, এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলি স্তম্ভগুলির নিজস্ব জায়গায় রেখে দেওয়া হয়েছিল, এগুলিকে কেন্দ্র করে বিজয়ীর মসজিদ, প্রাসাদ ও সমাধি তৈরির উদ্দেশ্যে।
মহোবায় অন্যান্য সমস্ত মন্দির পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এবং একমাত্র হিন্দু ভবন যা এখন দাঁড়িয়ে আছে তা হল পরমলের প্রাসাদ বা পরমার্দি দেবতার একাংশ। এটি একটি পাহাড়-দুর্গে অবস্থিত, যা একটি মাসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে।
আমি ১৮৪৩ সালে, এই মসজিদের ঠিক বাইরে, দুর্গের দেওয়ালে উল্টোদিকে নির্মিত পরমার্দি দেবতার একটি শিলালিপি পেয়েছি। এটি ১২৪০ শক বা ১১৮৩ খ্রিস্টাব্দের লিপি, দিল্লির রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের মাহোবা দখলের একবছর পূর্বের। পীর মোবারক শাহের দরগায় এবং সংলগ্ন মুসালমান সমাধিস্থলে আমি ৩১০টি গ্রানাইটের তৈরী হিন্দু স্তম্ভ গণনা করে পেয়েছি। আমি দেখতে পেলাম একটি কালো পাথরের ষাঁড় রাস্তার পাশে পড়ে আছে, এবং একটি লিঙ্গের অর্ঘ্যটি জলের ঝর্না হিসাবে দরগা চত্বরের ভেতরে স্থির রয়েছে। এটি অবশ্যই শিব মন্দিরের অন্তর্ভুক্ত ছিল যা সম্ভবত কীর্তিবর্মার রাজত্বকালে, কারণ আমি সমাধির একটির দেয়ালে রাজপুত্রের এই সংক্রান্ত একটি শিলালিপি আবিষ্কার করেছি। (৩১)
অন্যান্য বহু প্রাচীন শহরও একই করুণ রূপান্তরের শিকার হয়েছিল। বুখারা, সমরখন্দ, বালখ, কাবুল, গজনী, শ্রীনগর, পেশোয়ার, লাহোর, মুলতান, পাটান, আজমির, দিল্লি, আগ্রা, ধার, মাণ্ডু, বদৌন, কনৌজ, বিহার শরিফ, পাটনা, লখনৌতি, এলিচপুর, দৌলতাবাদ, গুলবর্গা, বিদার, বিজাপুর, গোলকুণ্ডা, আরও কয়েকটি বিখ্যাত হিন্দু রাজধানী, তাদের আদি চরিত্রটি হারিয়ে ক্যাথলিক সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছিন্ন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া একটি বদ্ধ প্রভাবে আবদ্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি জায়গা তাদের প্রাচীন নামও হারিয়েছিল যার সঙ্গে বিভিন্ন দুর্দান্ত ও গৌরবময় ঐতিহাসিক সংযোগ ছিল। এটি নথিভুক্ত রয়েছে যে ইসলামী হানাদাররা তাদের জয়যুক্ত প্রতিটি জায়গাতেই ইসলামের নিয়ম চাপিয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে এই আরোপিত রীতিনীতি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থায়ী হয় না, সেগুলি যেভাবে এসেছিল সেভাবেই চলে যায়। তবে বেশ কয়েকটি আমাদের বর্তমান সময় পর্যন্ত টিকে যেতে সফল হয়ে।
প্রাচীন নামগুলির পুনরুদ্ধার করার কাজটি হিন্দুদের তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে ঋণগুলির একটি। অন্যদিকে, হিন্দু সভ্যতার বিপুল সংখ্যক নগর ও কেন্দ্রগুলি অদৃশ্য হয়ে গেছে এবং তাদের ধ্বংসাবশেষগুলি কেবল সাম্প্রতিক সময়ে সনাক্ত করা হয়েছে, যেমন কাপিলি, লম্পক, নগরহার, পুষ্কলাবতী, উদ্ভাণ্ডপুর, তক্ষশীলা, অলোর, ব্রাহ্মণাবাদ, দেবল, নন্দন, অগ্রহা, বিরাটনগর, অহিচ্ছাত্র, শ্রাবস্তী, সারনাথ, বৈশালী, বিক্রমশীলা, নালন্দা, কর্ণসুবর্ণ, পুণ্ড্রবর্ধন, সোমপুরা, জাজনগর, ধান্যকতক, বিজয়নগর, দ্বারসমুদ্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ধ্বংসাবশেষের শীর্ষে যা পাওয়া গেছে তা হল একটি মসজিদ, দরগা বা একটি সমাধি বা অন্য কোন মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভ, যা হিন্দু ঈশ্বরের উপর আল্লাহর বিজয়ের সাক্ষ্য দেয়। আরও অনেক টিলার এখনও অনুসন্ধান এবং শনাক্তকরণ বাকি। ১৯২০ সাল অবধি শুধুমাত্র ফ্রন্টিয়ার সার্কেলের প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটগুলির সমীক্ষা করে ২৫৫ টিলা তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল (৩২), যা প্রাথমিক অনুসন্ধান দ্বারা প্রাচীন আবাসগুলির ধ্বংসাবশেষ বা পূজাস্থান হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিছু টিলা, যা এই গণনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল না, কিন্তু খনন করা হয়েছিল, সেগুলি ইচ্ছাকৃত ধ্বংসের সাক্ষ্য বহন করে। ততদিনে, একই জাতীয় চরিত্রের আরও অনেক ঢিবি হিন্দু সংস্কৃতির প্রভাবান্বিত অন্যান্য অংশে আবিষ্কৃত হয়। পরের বছরে মোট সংখ্যায় একটি খুব বড় সংখ্যক সংযোজনও হয়েছে। যেগুলিই খনন করা হয় সেগুলি একই গল্প বলে, বেশিরভাগ সময়ই। এটি আলাদা বিষয় যে স্বাধীনতার সূচনা হওয়ার পর থেকেই ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিকরা, ধর্মনিরপেক্ষতার ভয়ে কাজ করে এটিকে শুধুমাত্র, নৃতাত্ত্বিক স্তরবিভাজন ও সাংস্কৃতিক ক্রম লিপিবদ্ধ করেই থেকে গেছেন। (৩৩)
মুসলিম ঐতিহাসিকরা তাদের বীরদের অনেক অভিযানের কৃতিত্ব দিয়েছেন যার প্রতিটিই কোনো না কোনো ভাবে অন্যের অঞ্চল, প্রদেশ,শহর বা দেশকে নষ্ট করার জন্য। দিল্লি ও আগ্রার মধ্যযুগীয় মুসলিম সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের মধ্যে কুতুবুদ্দিন আইবক (১১৯২-১২১০ খ্রিস্টাব্দ), শামসুদ্দিন ইলতুৎমিস (১২১০-৩৬ খ্রিস্টাব্দ), গিয়াসুদ্দিন বলবন (১২৪৬-৬৬ খ্রিস্টাব্দ), আলাউদ্দীন খিলজি (১২৯৬-১৩১৬ খ্রিস্টাব্দ), মুহাম্মদ বিন তুঘলক (১৩২৫-৫১ খ্রিস্টাব্দ), ফিরোজ শাহ তুঘলক (১৩৫১-৮৮ খ্রিস্টাব্দ), সিকান্দার লোদী (১৪৯৯-১৫১৯ খ্রীস্টাব্দ), বাবর (১৫১৯-২৬ খ্রীস্টাব্দ) এবং ঔরঙ্গজেব (১৬৫৮-১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ) প্রমুখরা বুনো পশুর মতো কৃষককে শিকার করার জন্য বা শত শত মাইল দূরেও যাতে (হিন্দু দেবালয়ে) কোনও প্রদীপ না জ্বলে তা নিশ্চিত করার জন্য অথবা মূর্তিপূজা বন্ধ করার জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। প্রদেশীয় মুসলিম রাজবংশের সুলতানরা, মালব, গুজরাট, সিন্ধু, দাক্ষিণাত্য, জৌনপুর, বঙ্গ প্রভৃতি, তাদের সাম্রাজ্যবাদী অগ্রগামীদের থেকে কোনো অংশে পিছিয়ে তো ছিলই না, উপরন্তু তাদের কাজকর্ম অনেক ক্ষেত্রে তাদের সাম্রাজ্যবাদী অগ্রগামীদের ধ্বংসকারী কর্মদক্ষতাকে লজ্জা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। ইসলামের তরবারিধারীদের দ্বারা বারবার গণহত্যা চালানোর ফলে মানুষের জনসংখ্যা কতটা হ্রাস পেয়েছে তা নিয়ে এখনও কোনও গবেষণা করা হয়নি। তবে মুসলিম শাসনকালে যে নগর ও গ্রামগুলি সম্পূর্ণ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, তা থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায় যে হিন্দু ধর্মের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা বিশাল।
হিন্দু, মুসলিম এবং অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্ত সমস্ত প্রমাণ, প্রত্নতাত্ত্বিক সূত্র একত্রিত করে এবং ইসলামী আগ্রাসনের পথ অনুসরণ করে আমরা সহজেই এই প্রচলিত নকশাটি বুঝতে পারি যে, আক্রমণকারীরা কেন এবং কীভাবে একটি নগর দখল করার পরে হিন্দু উপাসনালয়গুলির দিকে এগিয়ে যায়। এর নমুনা আমরা একাধিক গ্রাম, নগর বা উপনগরীর ক্ষেত্রে পেয়েছি। এই প্রসঙ্গে মাথায় রাখতে হবে যে, মুসলিম শাসন কখনও কয়েকটা সৈন্যাগারের শৃঙ্খলের থেকে বেশি কিছু হয়ে উঠতে পারেনি, এমনকি তাদের সুবর্ণযুগেও (আকবর থেকে আওরঙ্গজেবের শাসনকাল) নয়। কয়েকটা জায়গা এর ব্যতিক্রম ছিল যেসব জায়গায় উল্লেখযোগ্য ধর্মান্তরকরণ ঘটেছিল। অন্যত্র হানাদাররা গ্রামাঞ্চলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ ছিল। তাদের উপাসনালয় ধ্বংস করার জন্য, পুরুষ ও মহিলা দাস সহ লুঠ সংগ্রহ করা, এবং গণহত্যা ও ধর্ষণের মাধ্যমে কৃষকদেরকে আতঙ্কিত করার জন্য বারবার অভিযান চালাতে হয়েছিল। এর কারণ ছিল পরবর্তীকালে সহজে রাজস্ব সংগ্রহ। যেখানেই মুসলিম শক্তি দুর্বল হয়েছিল বা তার সন্ত্রাসকে শিথিল করতে বাধ্য হয়েছিল (তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরের কোনো কারণ বশতঃ) সেখানেই কৃষক বিদ্রোহ গড়ে উঠতে সময় নেয়নি।
১. আক্রমণের শিকার স্থানগুলি: যদি কোনও স্থান আক্রমণ দ্বারা অধিকার করা হত, এটাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘটনা ছিল (কারণ হিন্দুরা খুব কমই আত্মসমর্পণ করত), তবে সেসব জায়গাগুলির মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করা হত কিংবা ক্রীতদাসে পরিণত করা হত এবং তাদের ঘরবাড়িগুলি নির্বিচারে ধূলিসাৎ করা হত। পরবর্তী পর্যায়ে, বিজয়ীরা তাদের নিজস্ব বাড়ী বানাতো, যার দ্রুত ফলাফলের জন্য দাস-শ্রমকে বৃহত্তর স্তরে নিযুক্ত করা হত। গরু এবং বহু সময় ব্রাহ্মণদের হত্যা করা হত এবং তাদের রক্ত পবিত্র স্থানগুলিতে ছিটিয়ে দেওয়া হত যাতে তাদের ধর্মস্থানগুলি হিন্দুদের মননে অশুচি প্রতিপন্ন করে রেখে দেওয়া যায়। মুসলমানরা নিজেদের জন্য যে উপাসনালয়গুলি নির্মাণ করে সেগুলি বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা যায়। সবথেকে মর্যাদাপূর্ণটি হলো “জামে মসজিদ”, এটি সন্দেহাতীত ভাবে ধ্বংসকৃত বিশিষ্ট হিন্দু মন্দিরের উপকরণ থেকে তৈরী করা হত। যদি সেই মন্দিরের উপকরণগুলি এজন্য অপর্যাপ্ত হত, তবে অন্যান্য মন্দিরগুলির উপকরণগুলি, যেগুলি বিশিষ্ট মন্দিরটির সঙ্গেই ধ্বংস করা হয়েছে, ব্যবহার করা হত। কিছু অন্যান্য মসজিদ প্রয়োজন ও শাসকদের ইচ্ছা অনুসারে তৈরী করা হত। যুদ্ধে শহীদ হওয়া খ্যাতনামা মুসলমানদের সমাধি তৈরির জন্য মন্দিরের স্থান এবং সামগ্রীগুলি ব্যবহার করা হত; তারা শহীদ হিসাবে সম্মানিত হত এবং তাদের সমাধিগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাজার এবং রাউজাতে পরিণত হত। আমরা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছি যে হিন্দুরা সুন্দর মন্দির নির্মাতা ছিলেন। তাঁদের তৈরী মন্দিরগুলির অংশবিশেষ তাই শুধুমাত্র সৌন্দর্যের উপাদান হিসাবে ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোয় সহজেই ব্যবহৃত হতে পারে। সুতরাং এটি নির্ধারণ করা যেতে পারে যে সমস্ত মসজিদ এবং মাজার বিশেষত ‘জামি মসজিদ’ যে কোনও স্থানের প্রথম মুসলিম দখলের দিন থেকে হিন্দু মন্দিরগুলির স্থানে দাঁড়িয়ে আছে; আমরা বর্তমানে যে কাঠামোগুলি দেখতে পাই তা পরবর্তীকালের পুনর্নির্মাণের কারণে বারংবার মুছে ফেলার চেষ্টা করার কারণে মন্দিরের উপকরণগুলির সাক্ষ্য-প্রমাণ বহন করে না। দেশে নগণ্য কম ‘জামি মসজিদ’ রয়েছে যা মন্দিরের জায়গায় দাঁড়িয়ে নেই।
২. আত্মসমর্পণ করা জায়গাগুলি : কখন কখন হিন্দুরা মুসলিম শাসকদের বশ্যতা স্বীকার করত এবং জিম্মি হয়ে বেঁচে থাকত। এই সব ক্ষেত্রে মন্দিরগুলি সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করা হতো না। হিন্দুরা জিম্মি হিসাবে গণ্য হত কিনা সে বিষয়ে ইসলাম ধর্মতত্ত্ববিদরা সর্বদা দ্বিমত পোষণ করতেন, অনেকে বলেন হিন্দুদের জিম্মি হিসাবে গণ্য করা হত না। তবে এটি শাসকদের সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণের উপর নির্ভর করত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি হিন্দুদের বিরুদ্ধে যেত এবং তাঁরা স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন। তারপর এই রাজ্যগুলির হিন্দুদের সঙ্গেও সেটিই হতো যেটা বলপূর্বক দখল করা রাজ্যগুলির সঙ্গে করা হত, তাঁরা অন্ততপক্ষে তাঁদের স্বাধীন ধর্মাচরণের অধিকার হারাতেন। জিম্মি হবার ফলে হিন্দুদের বেশিরভাগ সময় জিজিয়া কর দিতে হত এবং তাদের ধর্মাচরণের উপর বিধিনিষেধ আরোপিত থাকত। এগুলি উমর দ্বারা নির্ধারিত হয়েছিল, যিনি ছিলেন দ্বিতীয় সঠিকভাবে নির্দেশিত খলিফা (৪৩৪-৪৪ খ্রিস্টাব্দ)।
৩. হিন্দুদের দ্বারা পুনরায় দখল করা স্থান: এটিও প্রায়শই ঘন ঘন ঘটত, বিশেষত ইসলামী আগ্রাসনের প্রথম পর্যায়ে, যখন হিন্দুরা তাদের হারানো জায়গা পুনরুদ্ধার করতো যা কিছুকাল মুসলমানদের দখলে ছিল। সেক্ষেত্রে তারা তাদের মন্দিরগুলি নতুন জায়গায় পুনর্নির্মাণ করতেন। মুসলিম ঐতিহাসিকরা লিখেছেন যে: এই সময়ের ব্যবধানে তৈরী মসজিদ ও মাজারগুলিকে হিন্দুরা ভাঙেনি। তারপরে যখন মুসলমানরা ফিরে আসে তারা পূর্বের ন্যায় ধ্বংসলীলা চালায়।
৪. গ্রামাঞ্চলে জায়গা: হানাদাররা একটি অঞ্চলের প্রধান শহর ও শহরগুলিতে তাদের নিপীড়নের জায়গা সুরক্ষিত করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামাঞ্চলে অভিযান প্রেরণ শুরু করে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীস্থানগুলি সর্বদা এই অভিযানের প্রথম লক্ষ্য ছিল। এটি আলাদা বিষয় যে কোনও কোনও ক্ষেত্রে হানাদাররা পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হওয়ার পরে স্থানীয় হিন্দুরা তাদের মন্দিরগুলি পুনর্নির্মাণ করে। ঘটনাক্রমিক ভাবে যখন আরো বেশি সংখ্যক অভিযান হয়, তখন হিন্দু উপাসনা মন্দিরগুলো গ্রাম থেকে ক্রমশঃ অদৃশ্য হয়ে যায়। একই সময়ে, সর্বত্র, ভেঙে দেওয়া মন্দিরগুলির স্থানে মসজিদ এবং মাজারগুলি ছড়িয়ে পড়ে।
৫. ইসলাম ধর্ম প্রচারক: গ্রামাঞ্চলে অভিযানগুলির পর সেখানে ইসলামের ধর্ম প্রচারকদের উদয় হয় যারা অনেক ছদ্মবেশী নাম গ্রহণ করে এবং গোপনে কাজ চালিয়ে যায়। একটি রেকর্ডে রয়েছে যে মিশনারিরা মন্দির আক্রমণে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল। তারা ভেঙে দেওয়া মন্দিরগুলির জায়গাগুলিতে বসবাস করতে পছন্দ করত এবং প্রায়শই তাদের নিজস্ব আবাসন তৈরির জন্য মন্দিরের উপকরণগুলি ব্যবহার করত, যেগুলির বিশিষ্ট নামকরণ করা হত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা যুদ্ধে মারা গিয়েছিলো। আবার অনেক সময় তারা এমন জায়গায় বসতি স্থাপন করেছিল যার উপাদান সামগ্রীগুলো তারা লুঠতরাজ করে সংগ্ৰহ করেছিল। এ জাতীয় সকল ক্ষেত্রে তাদের শাহেদ (শহীদ) হিসাবে ঘোষণা করা হত এবং তাদের জন্য যথাযথ স্মৃতিস্তম্ভগুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উত্থাপিত হত। এইভাবে শহীদদের স্মরণে বিপুল সংখ্যক গম্বাড (গম্বুজ) এবং গঞ্জ (সমভূমি) হিন্দু সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র জুড়ে গড়ে উঠেছিল এবং তাদের সম্পর্কে প্রচলিত কাহিনী তত বৃদ্ধি পেয়েছিল। ভারতের একটি বৃহৎ সাহিত্যে সৈয়দ সালার মাসুদের মৃত্যু সম্পর্কে বলা হয়েছে। তিনি স্থানীয় সূর্য মন্দির আক্রমণ করার সময় বাহরাইচে নিহত হয়েছিলেন, এর ফলে স্থানটি গৌরবান্বিত হয়েছিল। তাঁর মাজার একই মন্দিরের স্থানে তৈরী হয়েছিল, যে মন্দিরটি পরবর্তী আক্রমণে ধ্বংস হয়। যে সমস্ত মুসলিম সাধক বেঁচে গিয়ে বসতি স্থাপন করেছিলেন তারাও গ্রামাঞ্চলে প্রচুর সংখ্যক মসজিদ ও দরগা নির্মাণ করেন। এগুলির প্রায় সবকটিই মন্দিরের স্থানে নির্মিত হয়েছিল।
৬. সূফীদের ভূমিকা: ইসলামের সাধুগণ যারা শহীদ হয়েছিলেন বা বসতি স্থাপন করেছিলেন তাঁরা বিভিন্ন ধরনের ছিলেন, যা আমরা তাদের জিরাট ও মাজারদের সমীক্ষায় আমরা লক্ষ্য করে থাকি – এগুলি দেশের সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে আছে, ইসলামের সেনাবাহিনী যেগুলি অধিকার করেছিল। তবে দ্বাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে, আমরা এক নতুন ধরনের মুসলিম সাধকদের দেখতে পাই যারা পরবর্তী শতকের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। এভাবেই সূফীবাদের ধারাবাহিকতা শুরু হয়। মনসির আল-হলাজ, বায়াজাদ বিস্তামি, রামিয়া ও আত্তার মতো কিছু অসামান্য সূফীদের চরিত্রটি নিয়ে আলোচনার জায়গা এটি নয়। কিন্তু এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে তাঁদের পূর্বপুরুষদের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যগুলির কিছু কিছু তাদের চেতনাতেও বেঁচে ছিল, যদিও তাঁদের ইসলামিক পরিবেশ তাঁদের ভালো চিন্তা ভাবনা গুলোকে দমিয়ে দিতে চেয়েছিলো। এই প্রথমদিকের সূফীদের এবং পাশাপাশি পরবর্তীতে সূফীদের যে নাম ব্যবহার করা হয়েছিল, তাতে বিভ্রান্তি বেড়ে যায়। ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে এমন কোনো সূফী পাওয়া মুশকিল, যাঁর চেতনা যে কোন এক আধ্যাত্মিকতার সন্ধান করেছিল। মোটামুটিভাবে ভারতে যে সূফীরা কাজ করতেন তাঁরা হলেন ইসলামিক সাম্রাজ্যবাদের সর্বাধিক ধর্মান্ধ ও মৌলবাদী কর্মী, একইরকম দেখা গিয়েছিলো পরবর্তীকালে স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ সাম্রাজ্যবাদের প্রেক্ষাপটে যেসব খ্রিস্টান মিশনারীগণ ভারতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যেও।
এতে আশ্চর্যের কিছু নেই উভয়কে একই রকম কাজে একই সঙ্গে দেখা যেত। চিশতীয়া ঘরানার সূফীরা বস্তুতঃ এই ইসলামি সেনাবাহিনীর পুরোভাগে চলে গিয়েছিলেন এবং ইসলামী প্রতিষ্ঠানের চোখ ও কান হিসাবে কাজ করেছেন। এই সূফীরা যে জায়গাগুলিতে, বিশেষত দক্ষিণে বসতি স্থাপন করেছিলেন, সেখানে হিন্দুরা তাঁদের প্রকৃত চরিত্র বুঝতে অনেক দেরী করে ফেলে। আলাউদ্দিন খিলজি এবং মুহাম্মদ-বিন-তুঘলকের সেনাবাহিনী দ্বারা দক্ষিণ ভারতে আক্রমণগুলির সময় সূফীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। নিজামউদদ্দীন আউলিয়া, যিনি দিল্লিতে চিশতিয়া সূফীবাদের প্রধান প্রচারক ছিলেন, তিনি বিভিন্ন সূফীকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রেরণ করেন। তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় জনগণের বিরুদ্ধে জেহাদে সক্রিয় ভূমিকা নেন। নিজামুদ্দিনের প্রধান শিষ্য নাসিরুদ্দিন চিরিগ-ই-দিহলি সূফীদের ইসলামিক রাষ্ট্রের সেবা করার জন্য আহবান জানান। তিনি বলেন: “সূফীবাদের মর্ম এটির বাহ্যিক আবরণে নয়, আপনারা কোমর বেঁধে সুলতানের জন্য কাজ করুন এবং একজন যথার্থ সূফী হয়ে উঠুন।” (৩৪)
নাসিরুদ্দিন প্রধান শিষ্য সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেনী বান্দা-নাওয়াজ গেসদারাজ (১৩২১-১৪২২ খ্রি), সমসাময়িক বাহমনি সুলতানকে সাহায্য করার জন্য গুলবর্গায় যান এবং দাক্ষিণাত্যে ইসলামী শক্তির একীকরণে সহায়তা করেন। শেখ নিজামউদ্দীন আউলিয়ার দরগা এভাবে ইসলামিক মৌলবাদের পীঠস্থান রূপে থেকে যায়, যা আজও ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক প্রতিষ্ঠান।
সূফীরা যেদিকে ও যেখানেই পারত সেখানে যা করেছিল, তার একটি হিসাব তৈরি করা যেতে পারে। এটি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম নবাবের ১৮২৩ সালের তীর্থযাত্রা থেকে জানা যায়। তিনি তামিলনাড়ুর চিংলেপুট, দক্ষিণ আর্কট, তাঞ্জাবুর, তিরুচিরাপল্লি এবং উত্তর আর্কটের ইসলামের পবিত্র স্থানগুলিতে গিয়েছিলেন। ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে বিজয়নগর সাম্রাজ্য ভেঙে যাওয়ার পরে এই অঞ্চলটি নতুনভাবে ইসলামী আগ্রাসনের মুখোমুখি হয়েছিল। বহু সূফী, হিন্দু মন্দিরগুলি ধ্বংস এবং হিন্দু জনগণকে ধর্মান্তরিত করার জন্য জোট বেঁধেছিলেন, বিশেষত পঞ্চদশ শতাব্দীতে কাদিরিরা বিদার শহরকে কেন্দ্র করে পুরো দক্ষিণ ভারতে ছড়িয়ে যায়। তারা ধর্মান্তরের দিক থেকে কোনও উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে পারেনি, তবে তারা হিন্দু মন্দিরগুলির সঙ্গে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল, সেগুলি সমগ্র অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগোছালো ভাস্কর্যগুলি থেকে অনুমান করা যায়। অনেকগুলি মন্দিরের শিলালিপি রয়েছে যা সনাক্ত করা যায় না। তারা মসজিদ, দরগা, মাজার ও মকবারার সম্প্রসারণ নিয়েও অনেক দীর্ঘস্থায়ী কাজ করেছে। তীর্থযাত্রী হিসাবে তিনি অনেক জায়গা পরিদর্শন করেছিলেন তবে কিছু জায়গায় তিনি যেতে পারেননি, হয়তো সেই জায়গাগুলি তিনি প্রকাশ করতে দিতে চান না। তিরুচিরাপল্লি, আর্কট এবং ভেলোর বাদে বাকি জায়গাগুলি খুব ছোট ছিল। তাঁর দরবারের লেখক (সভা-লেখক), যিনি এই তীর্থযাত্রার বিবরণ লিপিবদ্ব রেখেছিলেন, তিনি নবাবের পৃষ্ঠপোষক দ্বারা পরিদর্শন করা অনেক মসজিদ এবং মাজারের উল্লেখ করেছেন। অনেক মসজিদ এবং মাজারদের দর্শন করা যায়নি কারণ তারা বন-জঙ্গল দ্বারা ঢাকা ও নির্জন জায়গায় ছিল। বেশ কয়েকটি কবরস্থান ছিল, অনেক সমাধি ছিল; তাদের মধ্যে একটি এত বড় যে সহস্র সহস্র, এমনকি এক লক্ষ কবর সেখানে থাকতে পারে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থান হল ফকিরদের তাকিয়া, শাড়ি, দরগা এবং বিভিন্ন পবিত্র নিদর্শনের সংগ্রহশালা ঘর যাঁর মধ্যে একটি ছিল মহানবীর একটি চুল, যা সংগ্রহ করে রাখা আছে। বিবরণে হিন্দু জনগণকে কঠোর কাফির এবং লুঠেরা বলে অভিহিত করা ছাড়া আর সে সম্পর্কিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে অন্যান্য তথ্য থেকে জানা যায় যে এই সমস্ত জায়গাগুলিতে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল খুবই কম।
উদাহরণস্বরূপ, কাঞ্চিপুরমে কেবল ৫০টি মুসলিম বাড়ি ছিল ; কিন্তু ৯টি মসজিদ এবং ১টি মাজারও ছিল। সভা-লেখক এই অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য সূফীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
স্থানটির গর্ব হযরত নত্তর ওয়াল এর কাজের সঙ্গে যুক্ত যিনি তিরুচিরাপল্লীতে মূল মন্দিরটি জোর করে গ্রহণ করেছিলেন এবং এটিকে তাঁর ‘খানকা’তে (সূফীদের মেলামেশার জায়গা) রূপান্তরিত করেছিলেন।
মন্দিরে শিবলিঙ্গ ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন : “দানবকে হত্যা করা হয়েছিল এবং নরকে প্রেরণ করা হয়েছিল। ইসলামের অবিশ্বাসীদের দ্বারা পূজিত তার ‘লিঙ্গ’ নামের মূর্তিটির মাথাটি শরীর থেকে পৃথক করা হয়েছিল।” দেহের একটা অংশ মাটির ভেতরে চলে যায়। এই জায়গাটির ওপরে হযরত নত্তর ওয়ালের সমাধি আজও স্বমহিমায় ভাস্বর। (৩৫) আর এক সূফী কাইম শাহ, যিনি পরবর্তী পর্যায়ে একই স্থানে এসেছিলেন, তিনি ছিলেন বারোটা মন্দির ধ্বংসের উদ্যোক্তা। (৩৬) ভেলোরে হযরত নূর মুহাম্মদ কাদিরী, তাঁর যুগের সবচেয়ে অনন্য ব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত ছিলেন; তিনি সেখানকার মন্দিরগুলি ধ্বংস করার জন্য উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন। একটি মন্দিরকে তিনি তার খানকাতে রূপান্তরিত করেন। এই
মন্দিরের একপাশে একটি জায়গাকে তিনি তাঁর সমাধির জন্য নির্বাচন করে রেখেছিলেন। (৩৭) সুতরাং, এটি কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয় যে ইসলামিক সাম্রাজ্যবাদ প্রথম পর্যায়ে যে স্থানগুলিতে পৌঁছেছিল, সেই সব জায়গায় সূফীদের দ্বারা নির্মিত মসজিদ এবং খানকাগুলি হিন্দু মন্দিরগুলির স্থান দখল করে অবস্থিত এবং প্রায়শই মন্দিরগুলির কাঠামোর সামগ্রী ব্যবহার করে নির্মিত। লাহোর, মুলতান, উচ, আজমের, দিল্লি, বদৌন, কনৌজ, কলপি, বিহারশরিফ, মানের, লখনৌতি, পাটান, পাটনা, বুরহানপুর, দৌলতাবাদ, গুলবর্গা, বিদার, বিজাপুর, গোলকোন্ডা, আর্কট, ভেলোর এবং তিরুচিরাপল্লি, মাত্র কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় সূফী কেন্দ্র, এছাড়াও আরো অনেকগুলি দরগা আছে যা ইসলামের প্রতিমাবিধ্বংসী মতবাদের প্রমাণ প্রদর্শন করে। অভ্যন্তরীণ জায়গাগুলির অনেক মসজিদ এবং দরগা একই সত্যের সাক্ষ্য দেয়, যেটি হল সূফীরা, সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে, আল্লাহর নিবেদিত সৈনিক ছাড়া আর কিছু নয়, যারা অন্য কোন উপাস্যকে উপাসনা করা সহ্য করে না; তাদের একমাত্র ঈশ্বরের রূপ হল যা আল্লাহ নবী মুহাম্মদের সামনে উন্মোচিত করেছিলেন।
৭. বিশেষত ধার্মিক সুলতান: সর্বশেষে, আমাদের “বিশেষত ধার্মিক সুলতান”দের রাজত্বকালে নির্মিত স্মৃতিসৌধগুলি খুব কাছ থেকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এইসব সুলতানরা এই দেশকে বহু-ঈশ্বরবাদী, বিশ্বাসঘাতকদের থেকে মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্রতী হয়েছিলেন। পূর্ববর্তী ইসলামী শাসকের দুর্বলতা ও পরিস্থিতির চাপে ইসলামী শাসন দুর্বল হয়ে পরায় এইসব বিশ্বাসঘাতকরা মাথা তুলতে পেরেছিলো। ফিরোজ শাহ তুঘলক, সিকান্দর লোদি এবং আওরঙ্গজেব দিল্লির-আগ্রার সাম্রাজ্য রেখা বরাবর এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। আহমেদাবাদ, মাণ্ডু, জৌনপুর, লখনৌতি, গুলবার্গা, বিদার, আহমেদনগর, বিজাপুর এবং গোলকোন্ডায় প্রাদেশিক মুসলিম রাজত্বে তাদের মতো আরো বেশ কয়েকজন “ধার্মিক সুলতান” ছিল। এই সুলতানদের প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত সমস্ত মসজিদ এবং মাজারগুলি বিশেষত হিন্দু
মন্দিরগুলির জায়গাগুলিতে দাঁড়িয়ে আছে, কারণটা সহজেই অনুমেয়।
একটি প্রাথমিক সমীক্ষা
নিচে একটি প্রাথমিক তালিকা দেওয়া হল যাতে রাজ্য ও জেলাভিত্তিক মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভগুলির বিশদ বিবরণ আছে যেগুলি হিন্দু মন্দিরগুলির জায়গায় নির্মিত অথবা তার উপকরণগুলি দিয়ে নির্মিত। আমরা এগুলিকে ভারতবর্ষে ইসলামী শাসনের ফল ও মধ্যযুগে ইসলামী শাসনের চরিত্র বর্ণনাকারী সাক্ষ্য হিসাবে উপস্থাপিত করতে চাই। তালিকাটি প্রাথমিক সমীক্ষার ফলাফল। আরও অনেক মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভ পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে। স্থানীয় ঐতিহ্যগুলি যা এখনও অবহেলিত হয়েছে, তাদেরকে বৃহত্তর আকারে বুঝতে হবে।
আমরা নিম্নলিখিত স্মৃতিস্তম্ভগুলির অবস্থান, নাম এবং দিনাঙ্কগুলির বিষয়ে যথাযথ হওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। তবুও, কিছু ভুল এবং বিভ্রান্তি থাকতে পারে। মাঝে মাঝে এমনটাও দেখা যায় যে একই স্মৃতিস্তম্ভের জন্য বিভিন্ন উৎসে বিভিন্ন দিনাঙ্ক উল্লেখিত থাকে। অনেক মুসলিম সাধু বিভিন্ন নামে পরিচিত, যা তাদের মাজার বা দরগা সনাক্তকরণে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। কিছু জেলার নাম বদল হয়েছে বা সেগুলি নতুন করে তৈরি হয়েছে এবং এমন একটি জায়গা যা আগে একটি জেলার অধীনে ছিল তা কখনো অন্য জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পাঠকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব যদি তাঁরা এই ভুলগুলি নির্দেশ করে আমাদের গবেষণায় সেগুলি সংশোধন করার কাজে সাহায্য করেন। এটি কেবল একটি সংক্ষিপ্তসার।
অন্ধ্রপ্রদেশ
১। আদিলাবাদ জেলা
মাহুর, পাহাড়ের দুর্গের সামনে অবস্থিত মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২। অনন্তপুর জেলা
১. গুটি, পাহাড়ের দুর্গের প্রবেশপথ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. কাদিরি, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কোনাকোন্ডলা, বাজারে অবস্থিত মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. পেনুকোন্ডা
(ক). দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ). দুর্গের ভিতর অবস্থিত মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
(গ). শের খানের মসজিদ (১৫৪৬)। (৩৮) রূপান্তরিত মন্দির।
(ঘ). বাবায়ার দরগা। রূপান্তরিত মন্দির।
(ঙ). জামে মসজিদ (১৬৬৪-৬৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ). শাহ ফাকব্রুদ্দিনের দরগাহ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. তদপত্রী
(ক)। জামি মসজিদ (১৬৯৫ – ৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। ঈদগা। ১৭২৫-২৬ সালে মন্দিরের স্থানে নির্মিত হয়।
৬. তুম্মালা, মসজিদ (১৬৭৪-৭৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কুড্ডাপা জেলা
১. কুড্ডাপা
(ক). ভাপ সাহিব কি মসজিদ (১৬৯২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ). ঈদগা (১৭১৭-১৭১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ). বাহাদুর খান-কি-মসজিদ (১৭২২-২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শাহ আমিনুদ্দিন গেসু দরাজের দরগাহ (১৭৩৬-৩৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. দুব্বুরু, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. গান্ডিকোট, জামি মসজিদ (১৬৯০ – ৯১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. গঙ্গাপুরু, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. গুন্ডলাকুন্টা, দস্তগিরি দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. গুরামকোন্ডা, দূর্গ এবং আরও কয়েকটি মুসলিম ভবন। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
৭. জম্মলমাডগু, জামি মসজিদ (১৭৯৪ – ৯৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. জঙ্গলপাল্লে, দস্তগীর স্বামীর দরগাহ। রূপান্তরিত জঙ্গম মন্দির।
৯. সিদ্ধাবতম
(ক). কুতুব শাহি মসজিদ (১৮০৮ সালে পুনরুদ্ধার)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
(খ). জামি মসজিদ (১৭০১)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
(গ). বিসমিল্লাহ খান কাদিরীর দরগাহ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
(ঘ) দূর্গ এবং প্রবেশপথ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
(ঙ) চৌক-কে-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. ভুতুকুরু
(ক). নালিগোতোতে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) পুট্টুমিয়াপেটায় মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. পূর্ব গোদাবরী জেলা
বিক্কাবলু, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
৫. গুন্টুর জেলা
১. নিজামপাটনাম, হায়দার শাহের দরগা (১৬০৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বিনুকোন্ডা, জামে মসজিদ (১৬৪০-৪১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. হায়দ্রাবাদ জেলা
১. চিকালগোডা মসজিদ (১৬১০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. শাহ ওয়ালীর দরগা (১৬০১-০২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. গোলকোন্ডা
(ক)। বালা হিসারের জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। তারামতি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. হায়দ্রাবাদ
(ক)। শাহ মুসা কাদিরির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। পিরুলকান্দা পাহাড়ে মসজিদ (১৬৯০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ)। টোলি মসজিদ (১৬৭১)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
(ঘ)। মিঞা মিশকের দরগা (১৬৮০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ)। আলিয়াবাদে মুমিন চুপের দরগা (১৩২২-২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ)। হাজী কামালের-মসজিদ (১৬৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ)। বেগম মসজিদ (১৫৯৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ)। ইসলাম খান নকশবন্দীর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ)। দাউদ শাহের দরগা (১৩৬৯-৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ)। জামে মসজিদ (১৫৯৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মাইসারাম, গোলকোন্ডা পতনের পরে ভেঙে দেওয়া ২০০ মন্দিরের উপকরণ থেকে আওরঙ্গজেবের বানানো মসজিদ।
৬. সেকেন্দ্রাবাদ, কদম রসুল। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. শেখপেট
(ক)। শায়খ-কি-মসজিদ (১৬৩৩-৩৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। সরাইওয়ালি মসজিদ (১৬৭৮-৭৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. করিমনগর জেলা
১. ধরমপুরী, মসজিদ (১৬৯৩)। ত্রিকূট মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. এলাঙ্গডাল
(ক)। মনসুর খান-কি-মসজিদ (১৫২৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। আলমগিরি মসজিদ (১৬৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কালেস্যারাম, আলমগিরি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. সোনিপেট, আলমগিরি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. বেমলবাড়, এক মুসলিম সাধকের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. কৃষ্ণা জেলা
১. গুডিমেট্টা, দুর্গের অভ্যন্তরে নির্মিত মসজিদ, মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. গুডুরু, জামে মসজিদ (১৪৯৭)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. গুন্ডুর, জামে মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
৪. কোন্ডাপল্লী
(ক)। মহম্মদ শাহ বাহমনী তাঁর প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ গাওয়ানের পরামর্শে, ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের হত্যা করার পরে ১৪২২ সালে একটি মন্দিরের স্থানে মসজিদটি নির্মাণ করান। এই পবিত্র কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে সুলতান গাজীর পদে উন্নীত হন।
(খ) শাহ আবদুল রাজ্জাকের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. কোন্ডাভিডু
(ক)। মসজিদ (১৩৩৭)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ)। বড়ানদৌলার দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ)। আদমের কদম শরীফ। রূপান্তরিত মন্দির।
৬. মছলিপট্টনম
(ক)। জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. নন্দীগ্রাম, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. পেডানা, আইমা ইল-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. রাজাকোন্ডা, মসজিদ (১৪৮৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. টেংদা, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. তুর্কপালেম, গালিব শাহাদের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. ভড়পাইলি, নরসিমাস্বামীন মন্দিরের নিকট মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৩. বিজয়বড়া, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. কুর্নুল জেলা
১. আদোনি
(ক)। জামে মসজিদ (১৬৬৮-৬৯)। বেশ কয়েকটি মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ)। পাহাড়ের উপর অবস্থিত মসজিদ। মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ)। দুর্গ (১৬৭৬-৭৭)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. কুম্বুম
(ক)। জামে মসজিদ (১৬৪৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ)। গছিনালা মসজিদ (১৭২৯-৩০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. হাভেলি, জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. করিমুদ্দুলা, দরগা। আক্কাদেবী মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. কোট্টাকোট, জামে মসজিদ (১৫০১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. কুর্নুল
(ক)। পীর সাহেবের গুম্বাদ (১৬৩৭-৩৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। জামে মসজিদ (১৬৬৭)।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ)। লাল মসজিদ (১৭৩৮-৩৯)।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. পশুপাল, কালান মসজিদ।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. সঞ্জনমালা, মসজিদ।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. সিদ্ধেশ্বরম, অসুরখানা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১০. যাদবল্লী, মাজার ও মসজিদ।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. জুহরাপুর, কাদির শাহ বুখারির দরগা।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. মাহবুবনগর জেলা
১. আলমপুর, কালা-কি-মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. জাটপ্রোল, সৈয়দ শাহ দরবেশের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. কোডাঙ্গাল
(ক)। হজরত নিজামুদ্দিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. কুন্ডুর্গ, জামে মসজিদ (১৪৭০-৭১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. পারগী, জামে মসজিদ (১৪৬০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. সোমসিলা, কামালুদ্দীন বাবার দরগা (১৬৪২-৪৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. মেডক জেলা
১. আন্ডল, পুরোনো মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কোমাতুর, পুরোনো মসজিদ।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মেডক
(ক)। মুবারক মহলের নিকটে মসজিদ (১৬৪১)। বিষ্ণু মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। কেল্লা, মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. পালাট, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. পাতানচেরু
(ক)। জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ)। শেখ ইব্রাহিমের দরগা (১৫৮৩) মাখদমজী নামে পরিচিত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ)। আশ্রফখানা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ)। দুর্গ (১৬৯৮)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১২. নালগোন্ডা জেলা
১. দেবরকোন্ডা
(ক)। কুতুব শাহী মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ)। শরীফুদ্দিনের দরগা (১৫৭৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ)। কাদীর শাহ ওয়ালীর দরগা (১৫৯১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. গাজিনগর, মসজিদ (১৫৭৬-৭৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. নলগোন্ডা
(ক)। গড়ি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। শাহ লতিফের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ)। কুতুব শাহী মসজিদ (১৮৯৭ সালে সংস্কার করা হয়েছিল)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. পাঙ্গাল, আলমগিরি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৩. নেল্লোর জেলা।
১. কান্দুকুরু, চারটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. নেলোর, দরগা টির নাম হলো দরগামিত্তা। আক্কাসলি ভারা মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল।
৩. পোডাইল, দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. উদয়গিরি
(ক)। জামে মসজিদ (১৬৪২-৪৩)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল।
(খ) ছোট মসজিদ (১৬৫০-৫১)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল।
(গ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল।
১৪. নিজামবাদ জেলা।
১. বালকোন্ডা
(ক)। পাত্থর-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বোধন
(ক)। দেবল মসজিদ। রূপান্তরিত জৈন মন্দির।
(খ)। পাত্থর-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ)। আলমগিরি মসজিদ (১৬৫৪-৫৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. দুদকি, আশ্রফখানা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪.ফতুল্লাপুর, মুআসকারী মসজিদ (১৬০৫-০৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৫. ওসমানাবাদ জেলা।
আউসা, জামে মসজিদ (১৬৮০-৮১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৬. রঙ্গারেড্ডি জেলা।
মহেশ্বর, মসজিদ (১৬৮৭)। মদন্না পণ্ডিতের মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৭. শ্রীকাকুলাম জেলা।
১. ইচ্ছাপুরম, বেশ কয়েকটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কলিঙ্গপট্টনম, সৈয়দ মুহাম্মদ মাদানি আউলিয়ার দরগা (১৬১৯-২০)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. শ্রীকাকুলাম
(ক)। জামে মসজিদ (১৬৪১-৪২)।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ)। বান্দে শাহ ওয়ালীর দরগা। (১৬৪১-৪২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ)। আথরওয়ালি মসজিদ (১৬৭১-৭২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) বুরহানুদ্দিন আউলিয়ার দরগা।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৮. বিশাখাপত্তনম জেলা।
১. জয়নগরম, দরগা।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বিশাখাপত্তনম, শাহ মদনীর দরগা।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৯. ওয়ারাঙ্গল জেলা।
জাফরগড়, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২০. পশ্চিম গোদাবরী জেলা।
১. এলুরু
(ক)। দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ)। সাওই মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
(গ)। কাজীর বাড়ি। সোমেশ্বর মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. নিদাভোলু, মসজিদ। মহাদেবা মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. রাজামুন্দ্রি, জামে মসজিদ (১৩২৪)। রূপান্তরিত বেণুগোপালস্বামী মন্দির।
আসাম
কামরূপ জেলা।
হাজো
(ক)। পোয়া মসজিদ (১৬৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) সুলতান গিয়াসুদ্দিন বলবনের অনুকরণকারী এক মুসলিম সাধকের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
বাংলা
১. বাঁকুড়া জেলা।
লোকপুরা, গাজী ইসমাইলের মাজার। বেণুগোপালের মন্দির থেকে মসজিদ।
২. বরিশাল জেলা।
কসবা, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. বীরভূম জেলা।
১. মোরগ্রাম, সৈয়দ বাবার মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. পাথরচাপুরি, ‘দাতা’ বা মাহবুব সাহেবের মাজা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. রাজনগর, অনেকগুলি পুরাতন মসজিদ। অনেকগুলি মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. সাকুলিপুর, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. সিয়ান, মকদুমশাহের দরগা (১২২১)। বহু মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. বগুড়া জেলা।
মহাস্থান
(ক) দরগা এবং শাহ সুলতান মাহিস্বরের মসজিদ। একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
(খ) সিলাদেবী ঘাট এর মাজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. বর্ধমান জেলা।
১. ইনচালাবাজার, মসজিদ (১৭০৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কসবা, রাজা, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. কালনা
(ক) শাহ মজলিসের দরগা (১৪৯১-৯৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহী মসজিদ (১৫৩৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মঙ্গলকোট, জামে মসজিদ (১৫২৩-২৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. রায়খা, তালাবওয়ালা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. সুয়াটা
(ক)। সৈয়দ শাহ শাহেদ মাহমুদ বাহমানার দরগা। বৌদ্ধ মন্দিরের স্থানে এরই উপকরণ দ্বারা নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৫০২-০২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. কলকাতা জেলা।
বেনিয়াপুকুর, মসজিদটি আলাউদ-দিন আলাউল হকের (১৩৪২) জন্য নির্মিত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৭. চট্টগ্রাম জেলা।
বদর মকদুমের দরগা। রূপান্তরিত বৌদ্ধ বিহার।
৮. ঢাকা জেলা.
১. ঢাকা
(ক) বিবি পরির সমাধি। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) সাইফ খান-কে-মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
(গ) চুরিহাট মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. নারায়ণগঞ্জ, কদম রসূল মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. রামপাল
(ক) মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
(খ) আদম শাহেদ বাবার দরগা (১৩০৮)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. সোনারগাঁও, পুরাতন মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৯. দিনাজপুর জেলা।
১. বসু-বিহার, দুটি মসজিদ। বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষে।
২. দেবতলা
(ক) শেখ জালালুদ্দীন তাব্রিজির দরগা, মুসলিম ইতিহাসে পাওয়া যায় যে সোহরাওয়ার্দিয়া সূফী অনেক মন্দির ধ্বংস করেন এবং মন্দিরের স্থানে এটি নির্মাণ করান
(খ) জামে মসজিদ (১৪৬৩)। বিষ্ণু মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. দেবীকোট
(ক) দরগা ও পীর অতুল্লাহ শাহের মসজিদ (১২০৩)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) শাহ বুখারিয়ার দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) পীর বাহাউদ্দিন এর দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঘ) শাহ সুলতান পীরের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. মাহীসন্তোষ, দরগা এবং মসজিদ। একটি বড় বিষ্ণু মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. নেকমার্ড, নেকমার্ড শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. ফরিদপুর জেলা।
ফরিদপজির, ফরিদ শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. হুগলি জেলা
১. জঙ্গিপুরা, শাহেদ গাজীর মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. পাণ্ডুয়া
(ক) মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) শাহ সফিউদ্দিন এর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ফাতে মিনার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. সন্তোষপুর, মোল্লা পুকুরের নিকট মসজিদ (১৫৩-৩১০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. সাতগাঁও, জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. ত্রিবেণী
(ক) জাফর খান-কি-মসজিদ (১২৯৮)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) জাফর খানের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) মসজিদ (১৪৫৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. হাওড়া জেলা
জঙ্গলবিলাস, পীর সাহেব-কে-মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
১৩. খুলনা জেলা।
১. মসজিদকুর
(ক) সাত গুম্বাজ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) খানজা আলী বা খান জাহানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. সালখীরা, মাই চম্পার দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৪. মালদা জেলা।
১. গঙ্গারামপুর
(ক) শাহ আতের দরগা। শিব মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) নদীর তীরে মসজিদ (১২৪৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. গৌড়, এই মুসলিম শহরটি হিন্দুদের রাজধানী লক্ষ্মণাবতীর ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত হয়। দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগে এটি মুসলিমদের দ্বারা ধ্বংস হয়েছিল। মন্দিরের উপকরণগুলি নিম্নলিখিত স্মৃতিস্তম্ভগুলিতে ব্যবহৃত হয়েছে:
(ক) ছোট সোনা মসজিদ।
(খ) কদম রাসূল মসজিদ (১৫৩০)
(গ) তাঁতীপাড়া মসজিদ (১৪৮০)
(ঘ) লাট্টান মসজিদ (১৪৭৫)
(ঙ) বড়ি সোনা মসজিদ (১৫২৬)
(চ) মকদূম আখি সিরিজ চিশ্তির দরগা, দিল্লির নিজামদ-দান আউলিয়ার শিষ্য (১৩৪৭)
(ছ) দারসবারি বা কলেজ অফ থিওলজি।
(জ) শাহ নিয়ামাতুয়াল্লাহর আস্তানা।
(ঝ) চমকট্টি মসজিদ (১৪৫৯)।
(ঞ) চিক্কা মসজিদ
(ট) গুণমন্ত মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
(ঠ) দখিল দরজা
(ড) কোটওয়ালা দরজা
(ঢ) ফিরুজ মিনার
(ণ) চণ্ডীপুর দরজা।
(ত) বড়দুয়ারি মসজিদ।
(থ) লুকাচুরি মসজিদ।
(দ) গুমটি দরজা।
৩. মালদা
(ক) জামে মসজিদ (১৫৬৬)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) সাক মোহন মসজিদ (১৪২৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. পাণ্ডুয়া, লক্ষ্মণাবতীর ধ্বংসাবশেষ দিয়ে নির্মিত আরেকটি মুসলিম শহর। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নলিখিত স্মৃতিস্তম্ভগুলিতে।
(ক) আদিনা মসজিদ (১৩৬৮)
(খ) একলাখি মসজিদ।
(গ) ছেহ হাজারী বা নুর কুতুব-ই-লামের দরগা (১৪১৫)।
(ঘ) বাইশ হাজারী বা জালাউদ্দিন তাব্রিজি খানকা (১২৪৪)।
(ঙ) সোনা মসজিদ।
(চ) শস্যাগারের মতো মসজিদ।
(ছ) কদম রসুল।
১৫. মেদিনীপুর জেলা।
১. গগনেশ্বর, করম্বেরা গড় মসজিদ (১৫০৯)। শিব মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. হিজলি, মসনদ-ই-আলা-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কেশিয়াড়ি, মসজিদ (১৬২২)। মহাদেব মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. খড়্গপুর, পীর লোহানির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৬. মুর্শিদাবাদ জেলা।
১. চুনা খালী, বারবাক-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মুর্শিদাবাদ, মন্দিরের উপকরণগুলি নিম্নলিখিত স্মৃতিস্তম্ভগুলিতে ব্যবহৃত হয়েছে:
(ক) কাটরা মসজিদ।
(খ) মতিঝিল হ্রদ বাঁধ
(গ) সাঙ্গী দালান।
(ঘ) মহল সর
(ঙ) আলীবর্দী খান-কি-মসজিদ।
(চ) হাজারদুয়ারী মহল।
৩. রাঙামাটি, রাক্ষসীডাঙার দরগা যেটি বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
১৭. নোয়াখালী জেলা।
বেগমগঞ্জ, বাজরা মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
১৮. পাবনা জেলা।
বালান্ডু, মাদ্রাসা। রূপান্তরিত বৌদ্ধ বিহার।
১৯. রাজশাহী জেলা।
১. ভাতুরিয়া, মসজিদ। শিব মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. কুমারপুর, মোকাররম শাহের মাজার। রূপান্তরিত মন্দির।
৩. কুসুম্বা, পুরাতন মসজিদ (১৪৯০-৯৩)। পুরোপুরিভাবে মন্দিরের উপকরণ দিয়েই তৈরি করা হয়েছিল।
২০. রংপুর জেলা।
কামাতপুর
(ক) শাহ ইসমাইল গাজীর বড় দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) এক মাইল দূরের একটি উঁচু ঢিবিতে ঈদগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২১. শ্রীহট্ট বা সিলেট জেলা।
১. বানিয়াচুং, বিখ্যাত মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. সিলেট
(ক) শাহ জালালের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহ জালাল ও তাঁর শিষ্যদের অনেকগুলি মাজার। এইগুলি বিভিন্ন মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২২. ২৪-পরগনা জেলা।
১. বারাসত, পীর একদিল সাহেবের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বেড়াচাঁপা, পীর গোরাচাঁদের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
বিহার
১. ভাগলপুর জেলা
১. ভাগলপুর
(ক) হজরত শাহবাজের দরগা (১৫০২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মুজাহিদপুরের মসজিদ (১৫১১-১৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মাকদুম শাহের দরগা (১৬১৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. চম্পানগর
(ক) বেশ কয়েকটি মাজার জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৪৯১)। জৈন মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. সুলতানগঞ্জ, নদীর তীরে পাথরের উপর মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. গয়া জেলা
১. আমথুয়া, মসজিদ (১৫৩৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. গয়া, নাদিরগঞ্জের শাহী মসজিদ (১৬১৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কাকো, বিবি কমলোর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মুঙ্গের জেলা
১. আমলঝোরি, মুসলিম কবরস্থান। বিষ্ণু মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. চারুয়ানওয়ান, মসজিদ (১৫৭৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. খড়্গপুর
(ক) মসজিদ (১৬৫৬-৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৬৯৫-৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মুঙ্গের
(ক) দূর্গের প্রবেশপথ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) শাহ নাফা চিশতীর দরগা (১৪৯৭-৯৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মুজাফফরপুর জেলা।
জারুহা, মামুন-ভঞ্জজি-কে-মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. নালন্দা জেলা।
১. বিহারশরিফ, মুসলিম রাজধানী, ওদন্তপুরী ধ্বংস করার পরে নির্মিত হয়েছিল যা একটি বিখ্যাত বৌদ্ধবিহার ছিল। বেশিরভাগ মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভগুলি মন্দিরগুলির স্থানে এবং তার উপকরণ থেকে নির্মিত হয়েছিল। তাদের মধ্যে কিছু :
(ক) মাখদামুল-মুল্ক শরীফুদ্দিনের দরগা (১৩৮০)।
(খ) বড় দরগা।
(গ) ছোট দরগা।
(ঘ) বারাদারী।
(ঙ) শাহ ফজলুল্লাহ গোঁসাইয়ের দরগা।
(চ) পীর পাহাড়ী মালেক ইব্রাহিম বেইয়ের মাজার।
(ছ) কবিরুদ্দিন-কে-মসজিদ (১৩৫৩)।
(জ) সাইয়্যিদ মুহাম্মদ সিওস্তানীর মাজার।
(ঝ) ছোট দেওয়ান আবদুল ওয়াহহাবের মাজার সম্বলিত ছোট টাকিয়া।
(ঞ) শাহ কুমাইসের দরগা (১৩৫৯-৬০)।
(ট) চাঁদপুর মহল্লায় মসজিদ।
(ঠ) পাহাড়পুর মহল্লায় জামে মসজিদ।
২. পার্বতী, হাজী চন্দর বা চাঁদ সওদাগরের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল।
৩. শেখুপুরা, শােখ সাহেবের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৬. পাটনা জেলা।
১. হিলসা
(ক) শাহ্ জুম্মান মাদারিয়ার (১৫৪৩ সালে মেরামত করা হয়) দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ। (১৬০৪-০৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. জানা, জামে মসজিদ (১৫৩৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কালিবন, দরগা এবং মসজিদ।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মানের, সমস্ত মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভ মন্দিরের স্থানগুলিতে দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্যে মধ্যে নিম্নোক্তগুলি উল্লেখযোগ্য:
(ক) সুলতানুল মকদূম শাহ ইয়াহিয়া মনিরের বড় দরগা।
(খ) মখদুম দৌলত শাহের দরগা।
(গ) জামে মসজিদ।
(ঘ) হাজী নিজামুদ্দিনের মাজার।
৫. মুহাম্মদপুর, জামে মসজিদ (১৫১০-১১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. পাটনা
(ক) পাত্থর-কে-মসজিদ (১৬২৬)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) বেগা হাজ্জম-কা-মসজিদ (১৫১০-১১)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) কিলাদরীর বাইরে মুসলিম কবরস্থান, বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত।
(ঘ) শাহ মুর মনসার দরগা, বৌদ্ধ স্তূপের ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্মিত।
(ঙ) শাহ আরজানির দরগা। বৌদ্ধ বিহারের স্থানে নির্মিত।
(চ) পীর দামারিয়ার দরগা। বৌদ্ধ বিহারের স্থানে নির্মিত।
(ছ) মির্জা মাসুম-কা-মসজিদ (১৬০৫)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(জ) মিলন ঘাট-কে-মসজিদ (১৬০৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) শায়েস্তা খানের কাটরা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) খোয়াজা আম্বর মসজিদ (১৬৮৮-৮৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) বাবুগঞ্জ মসজিদ (১৬৮৩-৮৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঠ) পুরব দরওয়াজার কাছে শেরে শাহী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ড) চামনি ঘাট-কে-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. ফুলওয়ারিশরীফ
(ক) শাহ পশমিনাপোশের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মিনহাজুদ্দীন-রাস্তির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) লাল মিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) সাঙ্গি মসজিদ (১৫৪৯-৫০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. পূর্ণিয়া জেলা।
১. হাদফ, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. পুরানিয়া, কেওনপুরার মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. সরন জেলা।
১. চিরান্দ, মসজিদ (১৫০৩-০৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. নারহান, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. তাজপুর-খাজা বাদশাহের বাসাহী মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৯. শাহাবাদ জেলা।
১. রোহতাসগড়
(ক) আওরঙ্গজেবের মসজিদ। রূপান্তরিত একটি মন্দিরের অংশ।
(খ) সাকি সুলতানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. সাসারাম, চন্দন শাহীদ পীরের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. বৈশালী জেলা
১. আমের, পীর কাত্তালের মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. চেহার
(ক) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. হাজীপুর
(ক) হাজি ইলিয়াস-কে-মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
(খ) বারখুরদুর আউলিয়া দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) পীর শত্তারীর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) হাজি-উল হারমাইনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) পীর জালালুদ্দিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. বাসর
(ক) পীর মীরনের দরগা, এটি বৌদ্ধ স্তূপের ওপর নির্মিত হয়েছিল।
(খ) শেখ মুহাম্মাদ ফয়জুল্লাহ আলি ওরফে কাজিন শাট্টারীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কবরস্থান। অনেক গুলি সমাধি মন্দির উপকরণ দিয়ে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. সঠিক জেলার নাম পাওয়া যায় নি।
১. হাসানপুরা, মখদাম হাসানের মাজার। বৌদ্ধ স্তূপের স্থানে নির্মিত।
2. ঝাংগিরা, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
দিল্লী
ইসলামী হানাদাররা হিন্দু নগরী ইন্দ্রপাট এবং দিল্লিকা ও তাদের বিশাল শহরতলি ধ্বংস করে এবং পরপর সাতটি নগর গড়ে তুলেছিল। নিম্নলিখিত মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভগুলি হিন্দু মন্দিরগুলির স্থানে দাঁড়িয়ে আছে; এর মধ্যে কয়েকটিতে মন্দিরের উপকরণ দেখা যায়।
১. মেহরৌলি
১. কুওয়াতুল ইসলাম মসজিদ (১১৯৮)।
২. কুতুব মিনার।
৩. শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের মকবরা (১২৩৫)
৪. শেখ কুতুবুদ্দিন বখতিয়ার কাকির (১২৩৬) দরগা।
৫. জাহাজ মহল।
৬. আলি দরওয়াজা।
৭. আলি মিনার।
৮. আলাউদ্দিন খিলজির মাদ্রাসা ও মকবরা।
৯. গিয়াউদ্দিন বলবনের মকবরা।
১০. শেখ ফজলুল্লার মসজিদ মাজার, যা জামালি-কামালি নামে পরিচিত।
১১. মাধে মসজিদ।
২. সুলতানগড়ি
সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের পুত্র নাসিরউদ্দিনের মকবরা (১২৩১)।
৩. পালাম
বাবরি (গজনফর) মসজিদ (১৫২৮-২৯)।
৪. বেগমপুর
১. মসজিদ।
২. বিজাই মণ্ডল।
৩. কালু সরাই-কি-মসজিদ।
৪. শেখ নাজিবুদ্দিন মুত্তাক্কাল চিশতীর মাজার (১২৭২)।
৫. তুঘলাকাবাদ
গিয়াসুদ্দিন তুঘলকের মকবরা।
৬. চিরাগ-দিল্লি।
১. শেখ নাসিরুদ্দিন চিরাগ-ই-দেহলির দরগা (মৃত্যু: ১৩৫৬)।
২. বহলুল লোদির মকবরা।
৭. নিজামুদ্দিন
১. শেখ নিজামুদ্দিন আউলিয়ার দরগা ও জামাত-খানা মসজিদ (১৩২৫)।
২. কালান মসজিদ।
৩. চৌনসাথ খাম্বা।
৪. খান-ই-জাহান তিলঙ্গানীর মকবরা।
৫. নিজামুদ্দিন আউলিয়ার চিল্লা।
৬. লাল মহল।
৮. হাউজ খাস
১. ফিরোজ শাহ তুঘলকের মকবরা ও মাদ্রাসা।
২. দাদী-পোতি কা মকবরা।
৩. বিরান-কা-গুম্বাদ
৪. ছোট ও সাকরি গুমতি।
৫. নিলি মসজিদ (১৫০৫-০৬)।
৬. ঈদগা (১৪০৪-০০)
৭. বাঘ-ই-আলম-কা-গুম্বাদ (১৫০১)।
৮. নুরুদ্দিন মুবারক গজনবীর মাজার (১২৩৪-৩৫)।
৯. মালব্যনগর
১. লাল গুম্বাদ বা শেখ কবিরুদ্দিনের মাজার (১৩৯৭)।
২. শেখ আলাউদ্দিনের মাজার (১৫০৭)।
৩. শেখ ইউসুফ কাত্তালের মাজার (১৫২৭)।
৪. খিড়কী মসজিদ।
১০. লোদী গার্ডেন
১. মুহাম্মদ শাহের মকবরা।
২. বড় গুম্বাদ মসজিদ (১৪৯৪)।
৩. শীস গুম্বাদ।
৪. সিকান্দার লোদীর মকবরা।
১১. পুরানা কিলা
১. শের শাহ গেট।
২. কালে-ই-কুহনা মসজিদ।
৩. খায়রু মঞ্জিল মসজিদ।
১২. শাহজাহানাবাদ
১. তুরকমান গেটে কালী মসজিদ।
২. রাজিয়া সুলতানার মকবরা।
৩. ভোজালা পাহাড়ির জামে মসজিদ।
৪. ঘাটায়া বা জয়নাতুল মসজিদ।
৫. শাহ তুর্কমানের দরগা (১২৪০)।
১৩. রামকৃষ্ণপুরম
১. টিন বুর্জিয়া মকবরা।
২. মালিক মুনির-কে-মসজিদ।
৩. ওয়াজিরপুর-কে-গুম্বাদ।
৪. মুন্ডা গুম্বাদ।
৫. বড়া-লাও-কে-গুম্বাদ।
৬. বার্জে-কা-গুম্বাদ।
১৪. দ্য রিজ
১. মালচা মহল।
২. ভুলি ভাটিয়ারি-কে-মহল।
৩. কদম শরীফ।
৪. চৌবুরজি মসজিদ।
৫. পীর গাইব।
১৫. ওয়াজিরাবাদ
শাহ আলমের মসজিদ ও মাজার।
১৬. দক্ষিণ এক্সটেনশন
১. কলে খান-কা-গুম্বাদ।
২. বুরে খান-কা-গুম্বাদ।
৩. ছোটে খান-কা-গুম্বাদ।
৪. বড়ে খান-কা-গুম্বাদ।
১৭. অন্য অঞ্চলসমূহ
১. কোটলা মোবারকপুরের মুবারক শাহের মকবরা।
২. তিন মুর্তিতে কুশক মহল।
৩. সুন্দরনগরে সুন্দর বুর্জ।
৪. কোটলা ফিরোজ শাহের জামে মসজিদ।
৫. তিলক সেতুর কাছে আব্দুউদ্দিন-নবী-কি-মসজিদ।
৬. রোশেনারা বেগমের মকবরা।
দিউ
জামে মসজিদ (১৪০৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
গুজরাত
১. আমেদাবাদ জেলা।
১. আমেদাবাদ, আসাবল, পাটান এবং চন্দ্রাবতীতে ধ্বংস হওয়া মন্দিরগুলির উপকরণগুলি এই মুসলিম নগর ও এর স্মৃতিসৌধগুলি বানাতে ব্যবহৃত হয়েছিল। কিছু স্মৃতিস্তম্ভ নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে:
(ক) ভদ্রার প্রাসাদ এবং দুর্গ।
(খ) ভদ্রার আহমদ শাহ-কি-মসজিদ।
(গ) আহমদ শাহের জামে মসজিদ।
(ঘ) হাইবাত খান-কি-মসজিদ।
(ঙ) রানী রূপমাতা-কি-মসজিদ।
(চ) রানীবাঈ হরির-কি-মসজিদ।
(ছ) মালিক সারাঙ্গ-কি-মসজিদ।
(জ) মাহফুজ খান-কি-মসজিদ।
(ঝ) সৈয়দ আলম-কি-মসজিদ।
(ঞ) পাথরওয়ালী বা কুতুব শাহ-কি-মসজিদ।
(ট) সাকার খান-কি-মসজিদ।
(ঠ) বাবা লুলু-কি-মসজিদ।
(ড) শেখ হাসান মুহাম্মদ চিশতী-কি-মসজিদ।
(ঢ) ইসনপুরে মসজিদ।
(ণ) মালিক শাবনের মসজিদ ও মাজার।
(ত) রানি সিপ্রির (সাবারাই) মসজিদ ও মাজার।
(থ) ভাত্বায় শাহ আলমের মসজিদ ও মাজার।
(দ) সুলতান প্রথম আহমদ শাহের মকবরা।
২. ডেকোয়ারা, মসজিদ (১৩৮৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. ঢোলকা
(ক) বহলোল খান গাজীর মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) বরকত শাহিদের মাজার (১৩১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) টঙ্কা বা জামে মসজিদ (১৩১৬)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঘ) হিল্লাল খান কাজী-কি-মসজিদ (১৩৩৩)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঙ) খিরনি মসজিদ (১৩৭৭)। রূপান্তরিত বাভান জিনালয় মন্দির।
(চ) কালী বাজার মসজিদ (১৩৬৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. ইসাপুর, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মণ্ডল
(ক) সাঈদ-কি-মসজিদ (১৪৬২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. পালডি, পাত্থর-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. রনপুর, জামে মসজিদ (১৫২৪-২৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. সরখেজ
(ক) শেখ আহমদ খট্টু গঞ্জ বক্সের দরগা (১৪৪৫)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) সুলতান মাহমুদ বাগদাদের মকবরা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৯. উসমানপুর, সাঈদ উসমানের মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বনসকাঁথা জেলা।
১. হলদ্বার, লুন শাহ ও গুজার শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. হালোল
(ক) এক-মিনার-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) পঞ্চ-মুণ্ড-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) জামে মসজিদ (১৫২৩-২৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মালান, জামে মসজিদ (১৪৬২)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. বরোদা জেলা।
১. বরোদা
(ক) জামে মসজিদ (১৫০৪-০৫), মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) গাজী মসজিদ সহ পীর আমির তাহিরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) পীর ঘোড়ার মাজার (১৪২১-২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ডাভয়
(ক) পঞ্চ বিবির দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) মাই ঢোকরির মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঘ) হীরা, বরোদা, মাবুদা এবং নন্দোদি গেটস। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঙ) মাহুন্দি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. দান্তেশ্বর, কুতুবউদ্দিনের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. সাঁখেদা, মসজিদ (১৫১৫-১৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. বারুচ জেলা।
১. আমোদ, জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. বারুচ
(ক) জামে মসজিদ (১৩২১)। ব্রাহ্মণ্য এবং জৈন মন্দির উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) গজনবী মসজিদ (১৩২৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ঈদগা (১৩২৬)।। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) চুনাওয়াদা মসজিদ (১৪৫৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) কাজী-কা-মসজিদ (১৬০৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) মকদূম শরীফুউদ্দিন এর মাজার (১৪১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. জাম্বুসার, জামে মসজিদ (১৫০৮-০৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. টঙ্কারিয়া, বড়ি বা জামে মসজিদ (১৪৫৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. ভাবনগর জেলা।
১. বোটাদ, পীর হামির খানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. তোলাজা, হাসান পীরের ঈদগা ও দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. ঘোড়া, মসজিদ (১৬১৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. জামনগর জেলা।
১. আমরান, দাওয়াল শাহের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. বেট দ্বারকা, পীর কিরমণির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. দ্বারকা, মসজিদ (১৪৭৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. জুনাগড় জেলা।
১. জুনাগড়
(ক) বোরওয়াড মসজিদ (১৪৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) উপারকোটে জামে মসজিদ। জৈন মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মাই গাদেচি তে মসজিদ। রূপান্তরিত জৈন মন্দির।
২. লোলিয়ানা, মদার শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কুটিয়ানা, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মাংরোল
(ক) রহমত মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) জামে মসজিদ (১৩৮২-৮৩)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) জুনি জেল-কি -মসজিদ (১৩৮৫-৮৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) রেভালি মসজিদ (১৩৮৬-৮৭)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঙ) বন্দরে অবস্থিত মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(চ) রেভেলি মসজিদের নিকটে দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ছ) সাঈদ সিকান্দার ওরফে মকদূম জাহানীয়ার মাজার (১৩৭৫)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(জ) গাঢি গেট। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. সোমনাথ পাটান
(ক) বাজার মসজিদ (১৪৩৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) চাঁদনী মসজিদ (১৪৫৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কাজী-কি-মসজিদ (১৫৩৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) পাঠানওয়াডি মসজিদ (১৩২৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) মুহাম্মদ জাম আদর-কি-মসজিদ (১৪২০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) মিঠাশা ভাং-কি-মসজিদ (১৪২৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(জ) কুমারাপালার সোমনাথ মন্দির থেকে তৈরি মসজিদ।
(ঝ) সোমানাথ মন্দিরের পিছনে অবস্থিত মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
(ঞ) মোটি দরওয়াজা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ট) ভেরাওয়ালের পথে মাইপুরী মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঠ) মাইপুরী মসজিদের নিকটে মঙ্গলুরি শাহের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ড) শাহীদ মাহমুদ-কি-মসজিদ (১৬৯৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. বনস্থলী, জামে মসজিদ। রূপান্তরিত ভামন মন্দির।
৭. বেরাবল
(ক) জামে মসজিদ (১৩৩২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) নাগিনা মসজিদ (১৪৮৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) চৌক মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মান্ডভি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) সাইয়্যিদ ইশাক বা মাগরিব শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) মুহাম্মদ বিন হাজি গিলানির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. কচ্ছ জেলা।
১. ভদ্রেশ্বর
(ক) সোলখাম্বি মসজিদ। জৈন মন্দির উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) ছোটি মসজিদ। জৈন মন্দির উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) পীর লাল শাহবাজের দরগা। জৈন মন্দির উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. ভুজ
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) বাবা গুরুর গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মুনরা বা মুন্দ্রা, ভদ্রেশ্বরের জৈন মন্দিরগুলির উপকরণ থেকে নির্মিত সমুদ্রবন্দর যা মুসলমানরা ভেঙে ফেলেছিল; এর নিরাপদ মসজিদ যা দূর থেকে দেখা যায় একই উপকরণ থেকে নির্মিত হয়েছিল।
৯. খেদা জেলা।
১. কাপাদওয়ানি
(ক) জামে মসজিদ (১৩৭০-৭১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) সাম শাহিদ-কি-মসজিদ (১৪২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. খাম্বাট
(ক) জামে মসজিদ (১৩২৫)। জৈন মন্দির উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) কাজীওয়ারা তে অবস্থিত মসজিদ (১৩২৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) আনডিপেটে অবস্থিত মসজিদ (১৩৮৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) সাদি-ই-আওয়াল মসজিদ (১৪২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) ফুজরা-কি-মসজিদ (১৪২৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) উমর বিন আহমদ কাজরুনির মাজার। জৈন মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ছ) কাবিল শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) শেখ আলী জাউলাকি যিনি পার্বাজ শাহ নামে পরিচিত তাঁর মাজার (১৪৯৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) শাহ বাহলোল শাহিদের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) ইখতিয়ারুদ-দৌলার মকবরা (১৩১৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) ঈদগা (১৩৮১-৮২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মহুদা, জামে মসজিদ (১৩১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. সোজালি, সাইয়্যেদ মুবারাক-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. মেহসানা জেলা।
১. কাডি
(ক) মসজিদ (১৩৮৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৫৮৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. খেরালু, জামে মসজিদ (১৪০৯-১০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মোধেরা, রায়দী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মুঞ্জপুর, জামে মসজিদ (১৪০১-০২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. পাটান
(ক) জামে মসজিদ (১৩৫৭)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) ফুটি মহল্লা বা পিনজার কোট-কি-মসজিদ (১৪১৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) বাজার-কি-মসজিদ (১৪৯০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) সহস্রলিঙ্গ তালাও (লেক) এর মাঠে নির্মিত মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঙ) মখদুম হুসামুদ্দিন চিশতির মসজিদ ও দরগা। তিনি ছিলেন দিল্লির শেখ নিজামুদ্দিন আউলিয়ার শিষ্য। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(চ) গুমডা মসজিদ (১৫৪২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) রঙ্গরেজোন-কি-মসজিদ (১৪১০-১১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) শেখ মুহাম্মদ তুর্ক কশগারীর দরগা (১৪৪৪-৪৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) শেখ ফরিদের দরগা। রূপান্তরিত মন্দির।
৬. সামি, জামে মসজিদ (১৪০৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. সিদ্ধপুর, জামে মসজিদ। সিদ্ধরাজা জায়াসিমহের রুদ্র-মহালয়ার উপকরণ দিয়ে সেই মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. উনা, হজরত শাহ পীরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. বিজাপুর
(ক) কালান মসজিদ (১৩৬৯-৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মনসুরি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. পাঁচমহল জেলা।
১. চম্পানের
(ক) জামে মসজিদ (1524)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মাহমুদ বেগডির ভদ্রা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শাহর-ক-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. গোধরা, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. পাভগড়
(ক) দেবী মন্দিরের শীর্ষে নির্মিত মসজিদ।
(খ) পঞ্চমুণ্ড মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. রায়ানিয়া, মসজিদ (১৪৯৯-১৫০০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. রাজকোট জেলা।
১. জাসদান, কালু পীরের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. খখরেচি
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কামাল শাহ পীরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মহুবা, ঈদগা (১৪১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মালিয়া, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মোরভি, মসজিদ (১৫৫৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. সন্তরামপুর, মসজিদ (১৪৯৯-১৫০০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৩. সবরকাঁথা জেলা।
১. হার্সেল, মসজিদ (১৪০৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. হিম্মতনগর, নানি বোরওয়াড এ অবস্থিত মোতি-মহলাত মসজিদ (১৪৭১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. প্রাণতিজ
(ক) ফাথ বা টেক্রাউলি মসজিদ (১৩৮২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) সিকান্দার শাহ শাহিদের দরগা (১৪১৮)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৪. সুরাট জেলা
১. নাভাসারী
(ক) জামে মসজিদ (১৩৪০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. রান্ডার, জৈনরা যারা এই শহরে প্রাধান্য পেয়েছিল তাদেরকে মুসলমানরা বহিষ্কার করেছিল এবং পূর্বের সমস্ত মন্দিরকে মসজিদে রূপান্তরিত করেছিল। নিম্নলিখিত মসজিদগুলি সেই মন্দিরগুলির স্থানে দাঁড়িয়ে এবং / অথবা মন্দিরগুলির উপকরণ দিয়ে নির্মিত :
(ক) জামে মসজিদ।
(খ) নিত নওরী মসজিদ।
(গ) মিন-কি-মসজিদ।
(ঘ) খারওয়া মসজিদ।
(ঙ) মুন্সি-কি-মসজিদ।
৩. সুরাট
(ক) মিরজা সামি-কি-মসজিদ (১৩৩৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) নও সাঈদ সাহেব-কি-মসজিদ এবং গোপী তালাওয়ে নয়জন গাজীর সম্মানে নয়টি মাজার। মন্দিরগুলির স্থানে নির্মিত।
(গ) ফারুখশিয়ারের রাজত্বকালে দুর্গ নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঘ) গোপী তালাও (১৭১৮)।
৪. তাড়কেশ্বর, জামে মসজিদ (১৫১৩-১৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৫. সুরেন্দ্রনগর জেলা।
১. সারা, দরবারগঢ়-কি-মসজিদ (১৫২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বেদ নগর, মসজিদ (১৬৯৪)। হটকেশ্বর মহাদেব মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. ওয়াদওয়ান, জামে মসজিদ (১৪৩৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
হরিয়ানা
১. আম্বালা জেলা।
১. পিঞ্জর, ফিদাই খান বাগানের দেওয়াল ও স্থাপত্য গুলিতে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. সাধাউরা
(ক) খালজির সময়ে নির্মিত মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে দুটি মসজিদ নির্মিত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) কাজিওঁ-কি-মসজিদ (১৬৪০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) আবদুল ওয়াহিব-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) শাহ কুমাইসের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ফরিদাবাদ জেলা।
১. ফরিদাবাদ, জামে মসজিদ (১৬০৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. নুয়া, মসজিদ (১৩৯২-৯৩)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. পলবল
(ক) ইকরমওয়ালি বা জামে মসজিদ (১২২১)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) ঈদগা (১২১১)। মন্দিরের উপাদান ব্যবহার করা হয়েছিল।
(গ) সাঈদ চিরাগ এর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) গাজী শিহাবুউদ্দিন এর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) সাঈদ ওরাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. গুরুগ্রাম জেলা।
১. বাওয়াল, মসজিদ (১৫৬০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ফারুখনগর, জামে মসজিদ (১২৭৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. সোহনা
(ক) মসজিদ (১৫৬১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মাজার দুটি কালা ও লাল গুম্বাদ নামে পরিচিত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
ঘ. হিসার জেলা।
১. বারওয়ালা, মসজিদ (১২৮৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ফতেহাবাদ
(ক) তুঘলক এর সময়ের ঈদগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) হুমায়ুন দ্বারা নির্মিত মসজিদ (১৫৩৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. হানসি
(ক) শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের রাজত্বকালে নির্মিত ঈদগাহ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জুলাহন-কি-মসজিদ, পূর্বোক্ত একই রাজত্বকালে নির্মিত মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) বু আলী বকশ মসজিদ (১২২৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) আদিনা মসজিদ (১৩৩৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) দুর্গে মসজিদ (১১৯২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) শাহীদ-গঞ্জ মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) হুমায়ুন-কি-মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(জ) বরাদরি র নিকটবর্তী নিয়ামতুল্লার দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঝ) বু আলী কলান্দারের দরগা (১২৪৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) শেখ জালালুউদ্দিন হকএর দরগা (১৩০৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) মহম্মদ জামিল শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঠ) উইলিয়াত শাহ শাহীদ এর দরগা (১৩১৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ড) ছহর কুতুব এবং এর জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঢ) দুর্গ এবং নগরদ্বার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. হিসার, এই শহরটি ফিরোজ শাহ তুঘলক মন্দিরের উপকরণ দিয়ে তৈরি করেছিলেন বেশিরভাগ অগ্রহা থেকে আনা হয়েছিল যা ১১৯২ সালে মুহম্মদ ঘুরী ধ্বংস করেছিলেন
(ক) লাট-কি-মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) হুমায়ুনের জামে মসজিদ (১৫৩৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) বাহলুল লোডির মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) দিল্লি গেটের বাইরে হুমায়ুন এর মসজিদ (১৫৩৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) বাবা প্রাণ পীর পাদশা এর দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ছ) ফিরুজশাহ তুঘলকের দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(জ) জাহাজ মহল। রূপান্তরিত জৈন মন্দির।
(ঝ) গুজারি মহল। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. সিরসা
(ক) ইমাম নাসিরের মাজারে মসজিদ (১২৭৭)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) সরাইয়ে বাবরি মসজিদ (১৫৩০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কাজলজাডা-কি-মসজিদ (১৫৪০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. কার্নাল জেলা
পানিপত
(ক) বু আলী কালান্দারের মাজারের বিপরীতে অবস্থিত মসজিদ (১২৪৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কাবুলি বাগের বাবরি মসজিদ (১৫২৮-২৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শেখ জালালুউদ্দিনএর মাজার (১৪৯৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) বু আলী কালান্দারের মাজার (১৬৬০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. কুরুক্ষেত্র জেলা
১. কৈথাল
(ক) বালখের শেখ সালাউদ্দিন আবুল মহম্মদ এর দরগা (১২৪৬)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) শাহ্ উইলিয়াত-কি-মসজিদ (১৬৫৭-৫৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঘ) মাদ্রাসা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. কুরুক্ষেত্র, টিলায় মাদ্রাসা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. থানেশ্বর
(ক) শিখ চিল্লি বা চেহালি বান্নুর মাদ্রাসা ও দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) হর্ষ-কা-টিলা র কাছে পাথারিয়া মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) চিনিওয়ালি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৭. মহেন্দ্রগড় জেলা
নারনৌল, পীর তুরক শাহীদ বা শাহ উইলিয়াতের মাজার (১১৩৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. রোহটক জেলা
১. ঝজ্জর, কালী মসজিদ (১৩৯৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মহাম
(ক) বাবরের রাজত্বকালে নির্মিত পিরজাডন মসজিদ (১৫২৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) হুমায়ুনের জামে মসজিদ (১৫৩১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কাসিয়ানো-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৬৬৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) দৌলত খান-কি-মসজিদ (১৬৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. রোহতক
(ক) দিনি মসজিদ (১৩০৯)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) দুর্গে মসজিদ (১৩২৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) বাবর এর মসজিদ-ই-খুরদ (১৫২৭-২৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) বাবর এর রাজপতো-কি-মসজিদ (১৫২৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) দুর্গে অবস্থিত দ্বিতীয় বা হুমায়ুন এর মসজিদ (১৫৩৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) গোকর্ণে অবস্থিত মসজিদ (১৫৫৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) ডোগ্রন ওয়ালি মসজিদ (১৫৭১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) মস্ত খান-কি-মসজিদ (১৫৫৮-৫৯) মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. সোনেপাত জেলা
১. গোহানা, শাহ জিয়াঊদ্দিন মুহাম্মদ এর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. সোনেপত
(ক) ইমাম নাসিরের মসজিদ ও মাজার (১২৭৭ সালে সংস্কার করা হয়েছিল)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) বাবরের শেখজাডন -কি-মসজিদ (১৫৩০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) খাজা খিজরের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) হুমায়ুনের মসজিদ (১৫৩৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
হিমাচলপ্রদেশ
কাঙড়া, জাহাঙ্গিরী গেট। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
কর্ণাটক
১. বেঙ্গালুরু জেলা
১. ডোড্ডা-বল্লাপুর, অযোধন এর মুহিউদ্দীন চিশতির দরগা (১৭০০)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. হোসকোট
(ক) সাবাল্লি সাহিবের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কাসিম সাহেবের দরগা। রূপান্তরিত মন্দির।
২. বেলগাঁও জেলা।
১. বেলগাঁও
(ক) দুর্গে অবস্থিত মসজিদ-ই-সাফা (১৫১৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ (১৫৮৫-৮৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) দুর্গে অবস্থিত বদরুদ্দিন শাহের মাজার (১৩৫১-৫২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. গোকাক, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. হুকেরি
(ক) মান সাহিব-কি-দরগা (১৫৬৭-৬৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কালী মসজিদ (১৫৮৪)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
৪. কুদাচি
(ক) মখদুম শাহ ওয়ালীর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শেখ মুহাম্মদ সিরাজুদ্দিন পর্দাদির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মাদভাবি, মসজিদ। শিব মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
৬. রায়বাগ, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. সাম্পগণ, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. বেলারি জেলা
১. বেলারি, টিপু সুলতান দ্বারা নির্মিত মসজিদ (১৭৮৯-৯০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. হাম্পি, বিজয়নগরের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরী মসজিদ এবং ঈদগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
৩. হোসপেট, বাজার স্ট্রিটে অবস্থিত মসজিদ। এটি টিপু সুলতান দ্বারা নির্মিত (১৭৯৫-৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. হুভিনাদগল্লি, দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
৫. কাঁচাগড়বেলগাল্লু, হুসেন শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. কুদতানি, দরগা। দুৰ্গেশ্বর মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
৭. সানদুর, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. সিরিগুপ্পা, লাদ খান মসজিদ (১৬৭৪) মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. সুলতানপুরম, পাথরের উপর মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. বিদার জেলা
১. বিদার, প্রাচীন হিন্দু শহর মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত হয়েছিল। মন্দিরের স্থানগুলিতে নিম্নলিখিত স্মৃতিচিহ্নগুলি তৈরী হয়েছে এবং / অথবা মন্দিরের উপকরণগুলি তাদের নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে:
(ক) ষোল খাম্বা মসজিদ (১৩২৬-২৭)
(খ) বাহমনিদের জিমি মসজিদ।
(গ) মুখতার খান-কি-মসজিদ (১৬৭১)।
(ঘ) কালী মসজিদ (১৬৯৪)।
(ঙ) কালী মসজিদের পশ্চিমে অবস্থিত মসজিদ (১৬৯৭-৯৮)।
(চ) ফরা-বাগ মসজিদ, শহরের বাইরে 3 কিমি দূরে (১৬৭১)।
(ছ) অস্তুরে হজরত খলিলুল্লার দরগা (১৪৪০)।
(জ) শাহ শামসুউদ্দিন মুহাম্মদ কাদিরি, যিনি মুলতানি পাদশাহ নামে পরিচিত তাঁর দরগা।
(ঝ) শাহ ওয়ালিউআল্লাহ-আল-হুসাইনি এর দরগা
(ঞ) শাহ জাইনুউইদ্দিন গঞ্জ নিশিন এর দরগা
(ট) মাহবুব সুবহানি র দরগা ও মসজিদ।
(ঠ) অস্তুরে আহমদ শাহ ওয়ালীর মাজার (১৪৩৬)।
(ড) শাহ আব্দুল আজিজের মাজার (১৪৮৪)।
(ঢ) তখত মহল।
(ণ) গগন মহল।
(ত) মাহমুদ গাওয়ানের মাদ্রাসা।
২ . চাঁদপুর, মসজিদ (১৬৭৩-৭৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. চিলের্গি, জামে মসজিদ (১৩৮১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. কল্যাণী, শেষের দিকে চালুক্যদের রাজধানী। তাদের সমস্ত মন্দিরগুলি হয় ধ্বংস বা মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছিল।
(ক) জামে মসজিদ (১৩২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৪০৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মহল্লা শাহপুরে মসজিদ (১৫৮৬-৮৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মওলানা ইয়াকুবের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) সাঈদ পীরপাশের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) ফোর্ট এর দেওয়াল এবং টাওয়ারসমূহ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ছ) নবাবের বাংলো। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. কোহির
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দুই মুসলিম সাধকের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত
৬. শাহপুর, মসজিদ (১৫৮৬-৮৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. উদবল, জামে মসজিদ (১৬৬১-৬২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. বিজাপুর জেলা
১. আফজলপুর, মহল মসজিদ। ত্রিকূট মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. বাদামী, পার্বত্য দুর্গের দ্বিতীয় প্রবেশদ্বার। বিষ্ণু মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. বেককুনাল, গ্রামের বাইরে অবস্থিত দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. বিজাপুর, প্রাচীন হিন্দু শহর মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত হয়েছিল। নিম্নলিখিত স্মৃতিস্তম্ভগুলি মন্দিরের স্থানগুলিতে নির্মিত এবং / অথবা মন্দিরের উপকরণগুলি তাদের নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে:
(ক) জামে মসজিদ (১৪৯৮-৯৯)।
(খ) আর্কে অবস্থিত করিমউদ্দিন-কি-মসজিদ (১৩২০-২১)।
(গ) মঙ্গোলি গেটের পথে ছোটি মসজিদ।
(ঘ) খাজা সম্বল-কি-মসজিদ (১৫২২-১৩)।
(ঙ) মক্কা মসজিদ।
(চ) আন্ডু মসজিদ।
(ছ) জাঙ্গরি মসজিদ।
(জ) বুখারা মসজিদ (১৫৩৬-৩৭)।
(ঝ) দখিনী ঈদগা (১৫৩৮-৩৯)।
(ঞ) ইব্রাহিম দ্বিতীয় আদিল শাহের মসজিদ ও রাউজা (১৬২৬)।
(ট) মুহাম্মদ আদিল শাহের গোল গুমবাজ বা রাউজা।
(ঠ) জোড় -গুম্বাদ।
(ড) নও-গুম্বাদ।
(ঢ) শাহ মুসা কাদিরীর দরগা।
(ণ) গগন মহল।
(ত) মিতার মহল।
(থ) আসর মহল
(দ) আনন্দ মহল এবং মসজিদ (১৪৯৫)।
(ধ) সাত মঞ্জিল।
(ন) আর্ক্ বা দুর্গ।
(প) পীর মাবারী খান্দায়াতের মাজার।
(ফ) পীর জুমনার মাজার।
(ব) শাহপুর পাহাড়ে শাহ মীরঞ্জি শামসু ই হক চিশতি এর দরগা।
৫. হাদগিনহালি, দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৬. হোর্তি, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৭. ঈঙ্গলেশ্বর, মুহিউদ্দীন সাহেব-কি -মসজিদ। মুনিপা সমাধির উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৮. জিরনকালগি, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৯. চাওদি গ্রামের নিকটবর্তী কালেরি মসজিদ। কে অবদেব মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১০. মামদাপুর
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কামাল সাহেবের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মক্কার সাদলে সাহিবের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. নলতবাদ, মসজিদ (১৩১৫)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১২. পীরপুর, দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৩. সালভাদিগি, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৪. সরুর, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৫. সেগাঁও, দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৬. তাকলি, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৭. তালিকোটা
(ক) জামে মসজিদ। জৈন মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) পঞ্চ পীর-কি-মসজিদ এবং গাঞ্জি-ই-শাহাদান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৮. উটাগি, মসজিদ (১৩২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. চিকমাগালুর জেলা।
বাবা বুদান, দাদা হায়াত মীর কালান্দারের মাজার। দত্তাত্রেয় মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. চিতলদুর্গ জেলা
হরিহর, হরিহরেশ্বর মন্দিরের শীর্ষে অবস্থিত মসজিদ।
৮. ধারোয়াড় জেলা।
১. আলনাবর, জামে মসজিদ। জৈন মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. বাঁকপুর
(ক) মসজিদ (১৫৩৮-৩৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ (১৬০২-০৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) একটি মসজিদ সহ কবরস্থান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) ডঙ্গার-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) শাহ আলাঊদ্দিন কাদিরি র দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) দুর্গ (১৫৯০-৯১)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. বালুর, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. দাম্বল, শাহ আবদুল্লাহ ওয়ালীর মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. দণ্ডপুর, জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৬. ধারোয়াড়, ম্যালার্লিং হিলের মসজিদ। রূপান্তরিত জৈন মন্দির।
৭. হাঙ্গাল
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দুর্গে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. হুবলি, ১৬৭৫ সালে আওরঙ্গজেব ১৭টি মসজিদ নির্মাণ মন্দিরের স্থানে।
৯. হুলগুর
(ক) সাঈদ শাহ কাদিরীর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) উপরোক্ত দরগার নিকটে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. লক্ষ্মেশ্বর, কালি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. মিসরিকোট, জামে মসজিদ (১৫৮৫-৮৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. মোগা, জামে মসজিদ। আদিত্যদেব মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৩. রানেবেন্নুর, কালা, মসজিদ (১৭৪২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৪. সাভানুর
(ক) জামে মসজিদ ১৮৪৭-৪৮=এ পুনর্গঠিত হয়। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) খায়রুল্লা শাহ বাদশাহ এর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শাহ কামালের দরগা ও মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. গুলবর্গা জেলা
১. চিনচোলি, দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. দর্নহালি, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. ফিরোজবাদ
(ক) জামে মসজিদ (১৪০৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহ খালাফাতুর রহমান কাদিরির দরগা (১৪২১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. গোবুর, দরগা। রত্নরায়া জিনালয়া মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. গোগি
(ক) আরবা আ মসজিদ (১৩৩৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) পীর চান্দের দরগা, হুসিনী (১৪৫৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শাহ হাবিবুল্লাহের চিল্লা (১৫৩৫-৩৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. গুলবর্গা, প্রাচীন হিন্দু শহর মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত হয়েছিল। নিম্নলিখিত স্মৃতিস্তম্ভগুলি মন্দিরের স্থানগুলিতে নির্মিত এবং / অথবা মন্দিরের উপকরণগুলি তাদের নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে:
(ক) মহল্লা মমিনপুরে কালান মসজিদ (১৩৭৩)।
(খ) শাহবাজারে মসজিদ (১৩৭৯)।
(গ) দুর্গে জামে মসজিদ (১৩৬৭)।
(ঘ) হাজি জায়েদার মাজারে মসজিদ-ই-ল্যাঙ্গার।
(ঙ) ফরমান তালাও এর নিকটে অবস্থিত মসজিদ (১৩৫৩-৫৪)।
(চ) শেখ নাসিরুউদ্দিন মাহমুদ চিরাগ এর শিষ্য, সাইয়্যিদ মুহম্মদ হুসনি বান্দা, নওয়াজ গেসু দরাজ চিশতী র দরগা।
(ছ) শায়খ মুহাম্মদ সিরাজুউদ্দিন জুনাইদি এর মাজার।
(জ) মারাগের হাজী জাইদার মাজার (১৪৩৪)
(ঝ) সাঈদ হুসাঈনুদ্দিন টিগ-ই-বার্না (খোলা তরোয়াল) এর মাজার।
(ঞ) দুর্গের দেওয়াল এবং প্রবেশদ্বার
.
৭. গুলশারাম, শাহ জালাল হুসেনের দরগা ও মসজিদ (১৫৫৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. মালকেদ, দুর্গে সৈয়দ জাফর হুসেনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. সাগর
(ক) দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়ার শিষ্য সূফী সরমাস্ত চিশতীর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মুনাওয়ার বাদশাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) আশুর খানা মসজিদ (১৩৯০-৯১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) দুর্গ (১৪১১-১২)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১০. সেরাম, জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১১. শাহ বাজার, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. শাহপুর
(ক) মুসা কাদিরীর দরগা (১৬৬৭-৬৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মুহাম্মদ কাদিরীর দরগা (১৬২৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ইব্রাহিম কাদিরির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৩. ইয়াদগীর
(ক) আথান মসজিদ (১৫৭৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. কোলার জেলা
১. মুলবাগাল, হায়দার আলীর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. নন্দী, গ্রামের পূর্বে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. মাণ্ড্য জেলা
১. পাণ্ডবপুর, মসজিদ-ই-আলা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. শ্রীরঙ্গপট্টনম, টিপু সুলতান দ্বারা নির্মিত জামে মসজিদ (১৭৮৭)। এটি আঞ্জনেয় মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. মহীশূর জেলা
টন্নুর, কথিত আছে এটি সাঈদ সালার মাসুদের মাজার (১৩৫৮)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৩. উত্তর কানাড়া জেলা।
১. ভাটকল, জামে মসজিদ (১৪৪৭-৪৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. হালিয়াল, দুর্গে অবস্থিত মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৪. রায়চুর জেলা
১. জলদুর্গা, মুহাম্মদ সরওয়ার দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কাল্লুর, দুটি মসজিদ। দুটি মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কোপ্পাল
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) আরবোঁ-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) সাইলানি পাশার দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মানভি, মসজিদ (১৪০৬-০৭)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. মুদ্গল
(ক) দুর্গের কাটি দরওয়াজার মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) নয়ি মসজিদ (১৫৮৩-৮৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) আলি আদিল দ্বারা নির্মিত দুটি আশুর খান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) দুর্গ (১৫৮৮) মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৬. রায়চুর
(ক) দুর্গে নির্মিত ইয়াক মিনার মসজিদ (১৫০৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দুর্গে দফতরি মসজিদ (১৪৯৮-৯৯)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) হাজার বাইগ মসজিদ (১৫১১-১২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) দুর্গে জামে মসজিদ (১৬২২-২৩)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঙ) সরফা বাজারে জামে মসজিদ (১৬২৮-২৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) দুর্গে কালি মসজিদ j মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(জ) নওরঙ্গির ভিতরে অবস্থিত মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঝ) চৌক-কে-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) জাহানিয়া মসজিদ (১৭০০-০১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) শাহ মীর হাসান ও মীর হুসেনের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঠ) সিকান্দারী গেটে সাইয়্যিদ আবদুল হুসেনির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ড) বালা হিসারে পাঁচ বিবির দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঢ) দুর্গে পীর সাইলানি শাহ র মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ণ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৭. সিন্ধানুর, গুম্বাদের নিকটে আলামগিরী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. তাওয়াগেরা, বান্দা নওয়াজের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৪. শিমোগা জেলা
১. আলমেল, গালিব শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বাসবপাটনা, দুর্গের নিকটে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. নগর, মসজিদটি টিপু সুলতান নির্মিত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. সান্তে বেনুর, রন্ধুল্লা খান-কি-মসজিদ (১৬৩৭)। রঙ্গনাথ মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. সিরাজপুর, মসজিদটি নবী মুহাম্মদের চুলের আবাসনের জন্য চিন্নাকেশব মন্দিরের শীর্ষে নির্মিত। চিত্রগুলি বিকৃত করা হয়েছে। মন্দিরের কিছু অংশ টয়লেট হিসাবে মন্দিরের কিছু অংশ ব্যবহৃত হয়েছে।
১৬. টুমকুর জেলা
১. সিরা
(ক) ইব্রাহিম রাউজা অনেক মাজার এবং জামে মসজিদ সহ। রূপান্তরিত মন্দির।
(খ) মালিক রিহানের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. সিরোল, জামে মসজিদ (১৬৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
কাশ্মীর
১. আম্বুড়ের, ফাররুখজাদ সাহেবের জিয়ারত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. বাদগাঁও
(ক) ঘাগরপুরে আব্বান শাহের জিয়ারত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) নারবাইয়ে সাইয়্যিদ সোলিয়া শাহের জিয়ারত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. বিজবেহেরা, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. বুমজু
(ক) বাবা বামদিনের জিয়ারত। রূপান্তরিত ভীমকেশভ মন্দির।
(খ) রুকনুদ্দিন রিশির জিয়ারত। রূপান্তরিত মন্দির।
(গ) উপত্যকার উপরের দিকে জিয়ারত। রূপান্তরিত মন্দির।
৫. গুলমার্গ, বাবা ইমামুদ্দিন রিশির জিয়ারত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৬. গুপকর, জেস্তারে জিয়ারত এবং অন্যান্য স্মৃতিস্তম্ভ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৭. হুতমার, জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৮. খনমুহ, বেশ কয়েকটি জিয়ারতস। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৯. কিটশম, দুটি মসজিদ। মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের মাঝে নির্মিত।
১০. লোডুব, জিয়ারত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১১. লোহার, সাইয়্যেদ চানান গাজীর জিয়ারত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. লোকববন, উদ্যান মণ্ডপ। লোকভাবনা তীরথের মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৩. মার্সাস, শাহ আবদুল্লার জিয়ারত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৪. পাম্পোর
(ক) মীর মুহাম্মদ হামাদানির জিয়ারত। বিষ্ণুস্বামী মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) আরও বেশ কয়েকটি জিয়ারত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৫. পান্দ্রেথান, মসজিদ। মেরুভর্ধনস্বামী মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৬. সাঙ্গার, জিয়ারত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৭. সর, খোয়াজা খিজরের জিয়ারত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৮. শালিমার গার্ডেন, চতুর্থ টেরেসের প্যাভিলিয়ন। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৯. শ্রীনগর, প্রাচীন হিন্দু শহর মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত। নিম্নলিখিত স্মৃতিস্তম্ভগুলি মন্দিরের স্থানগুলিতে দাঁড়িয়ে আছে এবং তাদের বেশিরভাগ মন্দিরের উপকরণ দিয়ে নির্মিত হয়েছে।
(ক) বাহাউদ্দিন সাহিবের জিয়ারত। জয়স্বামিন মন্দির রূপান্তরিত।
(খ) চতুর্থ সেতুর নীচে কবরস্থান এবং এর গেট।
(গ) শাহ-ই-হামদানির দরগা এবং মসজিদ। কালী মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) নুরজাহান নির্মিত নও বা পাথর-কি-মসজিদ।
(ঙ) নও মসজিদের নিকটে কবরস্থান।
(চ) ডিদ্ মারে মালিক সাহিবের জিয়ারত। ডিড্ডা মাথা র স্থানে নির্মিত।
(ছ) বিছাড়াঙ্গ এর কাছে মসজিদ ও মাদ্রাসা এবং কবরস্থান। বিক্রমভরা মন্দিরের স্থানে এবং উপকরণ দিয়ে নির্মিত।
(জ) জাদিবলে মদনী সাহেব-কি-মসজিদ।
(ঝ) মদনী সাহেবের মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত জিয়ারত।
(ঞ) জামে মসজিদটি মূলত সিকান্দার বুটশিকান দ্বারা নির্মিত এবং পরবর্তী সময়ে পুনর্গঠিত হয়েছিল।
(ট) নূর পিরাস্তন নামক জিয়ারত। নরেন্দ্রসামিন মন্দির রূপান্তরিত।
(ঠ) সুলতান জয়ন উল-আবিদীনের মকবরা।
(ড) সিকান্দার বুতশিকানের রানী ও জয়নুল-আবিদিনের মায়ের মকবরা।
(ঢ) জামে মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিমে পীর হাজী মুহাম্মদ সাহেবের জিয়ারত। বিষ্ণু রণস্বামী মন্দিরের রূপান্তর।
(ণ) হরি পর্বতের উপর মখদুম সাহিব ও আখুন মোল্লার জিয়ারত। ভীমস্বামী মন্দিরের রূপান্তর।
(ত) দারা শিকো নির্মিত আখুন মোল্লার মসজিদ।
(থ) খাণ্ডববনে পীর মুহাম্মদ বাসির জিয়ারত। স্কন্দভাবনা বিহারের স্থানে নির্মিত।
(দ) খাণ্ডববনের উত্তর-পূর্ব দিকের কবরস্থান।
(ধ) পীর দস্তগীর দরগা।
(ন) নকশবন্দীর দরগা।
(প) আকবরের নির্মিত দুর্গের প্রাকার এবং কাঠি দরজা।
(ফ) শ্রীনগর দিয়ে যাওয়ার সময় ঝিলাম নদীর দু’পাশে বেশ কয়েক মাইল পথ পাথর বাঁধ।
(ব) মীর শামসুদ্দিন সৈয়দ মুহাম্মদ ইরাকির আস্তানা।
২০. সুদরবাল, হজরতবালের জিয়ারত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২১. টাপার, নায়দখাই থেকে সোপুর পর্যন্ত জয়নু এল-আবিদিন নির্মিত বুন্দ। নরেন্দ্রেশ্বর মন্দিরের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়েছিল।
২২. থেদা, দাম্পোরের নিকটে জিয়ারত। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২৩. বার্নাগ, জাহাঙ্গীর কর্তৃক নির্মিত পাথরের ঘের। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২৪. উলার হ্রদ
(ক) সুনা লঙ্কা, হ্রদের মাঝামাঝি জয়নুল-আবিদিন নির্মিত বিলাসবহুল জায়গা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) পশ্চিম উপকূলে শুকরুদ্দিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২৫. জুকুর, বেশ কয়েকটি জিয়ারত এবং মকবরা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
কেরল
১. কোল্লাম, (কোজিকোড জেলা), জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
২. পালঘাট, টিপু সুলতান নির্মিত দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
লাক্ষাদ্বীপ
১. কালপেনি, মুহিউদ্দীন পল্লী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কাবারত্তি, প্রট-পল্লী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
মধ্যপ্রদেশ
১. বেতুল জেলা
১. পট্টান, সুলায়মান শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. উমরি, রহমন শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ভোপাল জেলা
১. বেরেসিয়া, মসজিদ (১৭১৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ভোপাল, কুদসিয়া বেগম নির্মিত জামে মসজিদ। সব্ভমন্দলা মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. বিলাসপুর জেলা
খিমলাশা
(ক) পঞ্চ পীরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) নাগিনা মহল। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) তিনটি গম্বুজ সহ মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. দামো জেলা
(ক) গাজী মিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. দেওয়াস জেলা
১. দেওয়াস
(ক) মসজিদ (১৫৬২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৭০৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মসজিদ (১৭০৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. গান্ধওয়াল গ্রামের ভিতরে কবরস্থান। জৈন মন্দির উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৩. সারংপুর
(ক) মাদ্রাসা (১৪৯৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ (১৬৪০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) পীর জন-কে-ভট্ট মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. আনচোদ, ঈদগা (১৬৮১)। মন্দিরের সাইট।
৬. ধার জেলা
১. ধর, রাজা ভোজ পারমারের রাজধানীটিকে একটি মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তর করা হয়। নিম্নলিখিত মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভগুলি তাদেরই গল্প বলে:
(ক) কামাল মওলি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) লট মসজিদ (১৪০৫)। জৈন মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) আব্দুল্লা শাহ চাঙ্গালের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মাণ্ডু, একটি প্রাচীন হিন্দু শহর একটি মুসলিম রাজধানীতে রূপান্তরিত হয়েছিল এবং নিম্নলিখিত সৌধগুলি মন্দিরের স্থানে এবং / অথবা মন্দিরের উপকরণ সহ নির্মিত হয়েছে
(ক) জামে মসজিদ (১৪৫৪)।
(খ) দিলোয়ার খান-কি-মসজিদ (১৪০৫)।
(গ) ছোট্ট জামে মসজিদ।
(ঘ) পাহারেদারোঁ-কি-মসজিদ (১৪১৭)।
(ঙ) মালিক মুগিস-কি-মসজিদ।
(চ) হুশাং শাহের মকবরা।
(ছ) জাহাজ মহল।
(জ) তাওল মহল।
(ঝ) নাহার ঝাড়খো।
(ঞ) হিন্দোলা মহল।
(ট) রূপমাতা মণ্ডপ।
(ঠ) আশরাফি মহল।
(ড) দাই-কি-ছোটি-বাহেন-কা-মহল।
(ঢ) বাজ বাহাদুর-কা-মহল।
(ণ) নীলকণ্ঠ মহল।
(ত) ছাপ্পান মহল।
(থ) দুর্গ এবং দুর্গদ্বার।
(দ) গদা-শাহ-কা-মহল।
(ধ) হামাম কমপ্লেক্স।
৭. ঢোলপুর জেলা
বারী, মসজিদ (১৩৪৬ বা ১৩৫১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. পূর্ব নিমার জেলা
১. ভাদগাঁও, জামে মসজিদ (১৩২৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ঝিরি, মসজিদ (১৫৮১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. খান্ডোয়া, মসজিদ (১৬১৯-২০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. গুনা জেলা
১. চান্দেরী, মুসলিম শহরটি পুরাতন বা বুধী চান্দেরীর ধ্বংসাবশেষ থেকে নির্মিত। নিম্নলিখিত স্মৃতিস্তম্ভগুলি মন্দিরগুলির স্থানে এবং / অথবা মন্দিরের উপকরণগুলিতে ব্যবহৃত হয়:
(ক) মসজিদ (১৩৯২)।
(খ) মোতি মসজিদ।
(গ) জামে মসজিদ।
(ঘ) পঞ্চমুণ্ড মসজিদ।
(ঙ) কুরবানী চবুতরা।
(চ) মেওয়া শাহের দরগা।
(ছ) মাজার বড়া মাদ্রাসা নামে পরিচিত।
(জ) মাজার ছোটি মাদ্রাসা নামে পরিচিত।
(ঝ) রাজ-কি-মকবরা।
(ঞ) রানী-কি-মকবরা।
(ট) বটসিয়া বাওদি মসজিদ (১৪৮৮)।
(ঠ) হাতিপুর-কে-মসজিদ (১৬৯১)।
(ড) শেখ বুরহানুদ্দিনের মাজার।
(ঢ) কেল্লা।
(ণ) কুশক মহল।
(ত) ঈদগা (১৪৯৫)।
২. পিপারি, মসজিদ (১৪৫১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. শাদোরাগাওঁ, জামে মসজিদ (১৬২১-২২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. গোয়ালিয়র জেলা
১. গোয়ালিয়র
(ক) মুহাম্মদ গাউসের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) গুজারি মহলের নিকটে জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) গণেশ গেটের কাছে মসজিদ। গওলাপি মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) কেল্লার পূর্ব ও পশ্চিমে কবরস্থান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. জাজাও, লাল পাত্থর-কি-মসজিদ, মন্দির উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে।
৩. মুন্ড্রাইল, বিভিন্ন মসজিদ (১৫০৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. সিপ্রি, বেশ কয়েকটি মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১১. ইন্দোর জেলা
১. দেপালপুর, মসজিদ (১৬৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মহেশ্বর
(ক) শাহী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. মেহদীপুর
(ক) গদার শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. সানোয়ার, মসজিদ (১৬৭৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. মন্দসৌর জেলা।
১. কায়মপুর
(ক)। মসজিদ (১৬৭৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ঈদগা (১৭০১-০২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মন্দসৌর
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিলো।
৩. রামপুরা, পাদশাহী বাওডি। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৩. মোরেনা জেলা
আলাপুর
(ক) মসজিদ (১৫৬১-৬২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৫৮৬-৮৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মসজিদ (১৬৯৭-৯৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৪. পান্না জেলা
১. অজয়গড়, দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. নাচনা, মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
১৫. রাইসেন জেলা
পল্মাইকা মন্দির-মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৬. রাজগড় জেলা
খুজনের, দাওয়াল শাহের মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৭. রতলাম জেলা
বরৌদা, মসজিদ (১৪৫২-৫৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৮. সাগর জেলা
১. ধমনি, বাল জাটি শাহের দরগা (১৬৭১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কানজিয়া
(ক) খান সাহেব-কে-মসজিদ (১৫৯৪-৯৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ঈদগা (১৬৪০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) আলমগরী মসজিদ (১৭০৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) কালা-কি-মসজিদ (১৬৪৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. খিমলাশা, পঞ্চ পীর। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৯. সীহোর জেলা
মসজিদ (১৩৩২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২০. শাজাপুর জেলা
আগরতল, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২১. শিবপুরী জেলা
১. নারোদ, জাঞ্জিরি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. নরওয়ার
(ক) শাহ মাদারের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ (১৫০৯)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) হাবপৌড় গেটের ভিতরে মসজিদ (১৫০৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. পাওয়া
(ক) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) আরও কয়েকটি মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. রানোদ
(ক) মসজিদ (১৩৩১-৩২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৪৪১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মসজিদ (১৬৩৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৬৪০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. শিবপুরী, জামে মসজিদ (১৪৪০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২২. উজ্জয়িনী জেলা
১. বারনগর, মসজিদ (১৪১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. উজ্জয়িনী
(ক) জামে মসজিদ, বিনা-নিব-কি-মসজিদ (১৪০৩-০৪) নামে পরিচিত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) চৌবিস খাম্বা গেটের কাছে মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) মোচি মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
২৩. বিদিশা জেলা।
১. বসোদা, মসজিদ (১৭২০-২১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ভনরাসা,
(ক) কালান্দারি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) জাগিরদার-কি-মসজিদ (১৬৮৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) বাদা বাগের বড়া মসজিদ (১৬৮৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) বান্দিবাগ-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) বরা-খাম্বা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) এক-খাম্বা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) বিনা-নিভ-কে-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) বন্দীবাগের কবরস্থান, মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের মাঝে।
(ঝ) ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) দুর্গ (১৫৯৪)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. পরসারি, মসজিদ (১৬৯৪-৯৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. রেঙ্কলা, মসজিদ (১৬৪৭-৪৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. শামসাবাদ, মসজিদ (১৬৪১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. সিরঞ্জ
(ক) আলমগিরি মসজিদ (১৬৬২-৬৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মহল্লা রাকাবগঞ্জে মসজিদ (১৬৫৭-৫৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শেখ সাহিবের দরগা (১৬৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. তাল, মসজিদ (১৬৪৪-৪৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. উদয়পুর
(ক) মসজিদ (১৩৩৬)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) আওরঙ্গজেব নির্মিত মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) মোতি মসজিদ (১৪৮৮-৮৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৫৪৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) শাহ জাহানের দুটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) জাহাঙ্গীর এর মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. বিদিশা
(ক) আলমগিরি বা বিজয়মণ্ডল মসজিদ (১৬৮২)। রূপান্তরিত মন্দির।
(খ) লোহঙ্গী পাহাড়ে মসজিদ (১৪৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শাহ জাহানী মসজিদ (১৬৫০-৫১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শহরের প্রাচীর, মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৪. পশ্চিম নিমার জেলা।
১. আসিরগড়
(ক) জামে মসজিদ (১৫৮৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহ জাহানের আমলে নির্মিত মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ঈদগা (১৫৮৮-৮৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. ভিকানগাঁও, ঈদগা (১৬৪৩-৪৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. বাইদিয়া, মসজিদ (১৪৫৬-৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. বুরহানপুর
(ক) জামে মসজিদ (১৫৮৮-৮৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) বিবি সাহিব-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শাহ মাসুদ-কি-মসজিদ (১৫৮২-৮৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শাহ বাহাউদ্দিনের দরগা ও মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) সূফী নূর শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
মহারাষ্ট্র
১. আহমেদনগর জেলা।
১. আম্বা জোগি, দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. ভিনগার, মোল্লা মসজিদ (১৩৬৭-৬৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. গোগা
(ক) ঈদগা (১৩৯৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মোরখওয়াদা মসজিদ (১৬৩০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. জাম্বুখেদ, জামে মসজিদ (১৬৮৭-৮৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মাধী, রামজান শাহ মাহী সাওরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. আকোলা জেলা
১. আকোট, জামে মসজিদ (১৬৬৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বালাপুর, মসজিদ (১৭১৭-১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. বাসিম, কাকি শাহ-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. জামোদ
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) পীর পাওলাদ শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. করাঞ্জ
(ক) আস্তান মসজিদ (১৬৫৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৬৬৯-৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মসজিদ (১৬৯৮-৯৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. মঙ্গলুরপির
(ক) কাদিমি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) পীর হায়াত কালান্দারের দরগা (১২৫৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) সানাম সাহিবের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. নারনালা
(ক) জামে মসজিদ (১৫০৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) আলমগিরি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. পাতুর, আবদুল আজিজ ওরফে শেখ বাবু চিশতীর (১৩৮৮) দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. উপরাই, শাহ দয়ালের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. অমরাবতী জেলা
১. আমনের, লাল খানের মসজিদ ও মাজার (১৬৯১-৯২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. এলিচপুর
(ক) জামে মসজিদ ১৬৯৭ সালে পুনর্গঠন করেন। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দারু শিফা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) চৌক-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) শাহ্ গোলাম হুসেনের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) আবদুল উল রাহমান গাজী যিনি দুলা শাহ নামে খ্যাত তাঁর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. রিতপুর, আওরঙ্গজেব এর জামে মসজিদ (১৮৭৮ সালে পুনর্গঠিত)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. ঔরঙ্গবাদ জেলা।
১. আন্তুর দুর্গ, কালা-কি-মসজিদ (১৬১৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ঔরঙ্গাবাদ
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) লাল মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) আওরঙ্গজেবের মকবরা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. দৌলতাবাদ
(ক) জামে মসজিদ (১৩১৫)। রূপান্তরিত লেইন মন্দির।
(খ) দুর্গে ইয়াক মিনার-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কাজীপুরায় মসজিদ-ই-হাউজ (১৪৫৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) ঈদগা (১৩৫৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) পীর কাদু সাহিবের দরগা। রূপান্তরিত মন্দির।
(চ) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. গঙ্গাপুর, মসজিদ (১৬৯০-৯১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. কাগজিপুরা, শাহ নিজামুউদ্দিন এর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. খুলদাবাদ
(ক) হজরত বুরহানুদ্দিন গরিব চিশতীর দরগা (১৩৩৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) পরী-কা-তালাওয়ে দরগা। রূপান্তরিত মন্দির।
(গ) হালিম কাকা সাহিবের মাজার। রূপান্তরিত মন্দির।
(ঘ) জলালুল-হকের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) বারাদারী এবং বানী বেগমের উদ্যান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. পৈঠান
(ক) জামে মসজিদ (১৬৩০)। রূপান্তরিত মন্দির।
(খ) মৌলানা সাহিব-কি-মসজিদ। রূপান্তরিত রেণুকদেবীî মন্দির।
(গ) আলমগিরি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঘ) মকদুম হোসেন আহমদের (১৫০৭) দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. তালটম দুর্গ, দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৯. বৈজাপুর
(ক) নও গাজীতে মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) সৈয়দ রুকনুদ্দিনের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. বিড় জেলা
বিড়
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কাজী সাহেব-কি-মসজিদ (১৬২৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মহল্লা সদরে মসজিদ (১৭০৪-০৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শাহীনশাহ ওয়ালীর মসজিদ ও দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) ঈদগা (১৭০৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. বোম্বে জেলা
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মাহিমে মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মাইনা হাজ্জামের মাজার। রূপান্তরিত মহালক্ষ্মী মন্দির।
৭. বুলডানা জেলা
১. ফটখেলদা, মসজিদ (১৫৮১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মালকাপুর, কাজী বাড়ির কাছে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. ধুলে জেলা
১. ভামের
(ক) মসজিদ (১৪৮১-৮২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৫২৯-৩০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. এরানডল, পাণ্ডব-বদা তে জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. নন্দুরবার
(ক) মান্যর মসজিদ। সিদ্ধেশ্বরদেব মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) সাঈদ আলাউদ্দিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের মাঝে বেশ কয়েকটি মসজিদ।
৪. নসিরাবাদ, বেশ কয়েকটি পুরাতন মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. নিজামাবাদ, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. জলগাঁও জেলা।
১. জলগাঁও। মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ফাসখান্দা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. শেন্দুরনী, মসজিদ-ই-কাবার (১৫৯৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. কোলাপুর জেলা
১. ভাদোল, মসজিদ (১৫৫১-৫২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কাগাল, গাইবি পীরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কাপশি, মসজিদ-এ-হুসাইনি। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. পানহালা
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শেখ সাইদুদ্দিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) দুর্গে বড়া ইমামের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) সাদোবা পীরের মাজার। পরা আরা মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. শিরোল, জামে মসজিদ (১৬৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. বিশালগড়, মালিক রিহান পীরের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. নাগপুর জেলা
রামটেক, আওরঙ্গজেবের শাসনামলে নির্মিত মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
১২. নান্দেদ জেলা
১. ভৈসা
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) তিনটি দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. দেগলুর, শাহজিয়াউদ্দিন রিফাইয়ের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কান্দাহার
(ক) জামে মসজিদ (১৬০৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দুর্গের অভ্যন্তরে মসজিদ এবং দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) দুর্গের জাঙ্গাল। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. নান্দেদ, খাস বাগের ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৩. নাসিক জেলা
১. গালনা
(ক) পীর পুলাদের দরগা (১৫৮১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. গন্ডেনগাঁও, জামে মসজিদ (1703)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মালেগাঁও, খাকী শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. নাসিক, দুর্গে জামে মসজিদ। রূপান্তরিত মহালক্ষ্মী মন্দির।
৫. পিম্প্রি, সাঈদ সাদরুদ্দিন এর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. রাজাপুর, মসজিদ (১৫৫৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৪. ওসমানাবাদ জেলা
১. আউসা, মসজিদ (১৬৮০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. নলদুর্গ, মসজিদ (১৫৬০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. পারেন্দা
(ক) দুর্গের ভিতরে মসজিদ। পুরোপুরি মন্দিরের উপকরণগুলি দ্বারা নির্মিত।
(খ) তালাওয়ের নিকটে নামজগাহ। রূপান্তরিত মানকেশ্বর মন্দির।
১৫. পার্বনী জেলা।
১. খাড়ি, রামজান শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. লাতুর
(ক) মাবসু সাহিবের দরগা। রূপান্তরিত মীনাপুরি মাতা মন্দির।
(খ) সাঈদ কাদিরীর দরগা। রূপান্তরিত সোমেশ্বরা মন্দির।
৩. মালভির, খাদু জামে মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
১৬. পুনে জেলা
১. চকান, মসজিদ (১৬৮২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ঘোদা, জামে মসজিদ। ১৫৮৬ সালে ৩৩ টি মন্দিরের উপকরণে নির্মিত হয়.
৩. জুনার
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দিওয়ান আহমেদ-কি-মসজিদ (১৫৭৮-৭৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) গুন্ডি-কি -মসজিদ (১৫৮১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মদর চিল্লা-কি-মসজিদ। (১৬১১-১২) মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) শিবনারী পাহাড়ে কামানী মসজিদ (১৬২৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. খেদ, দিলওয়ার খানের মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মাঞ্চের, দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে অবস্থিত মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. সাস্বাদ, মসজিদ। সম্পূর্ণরূপে মন্দির হেমদপানতি মন্দিরের উপকরণগুলি দ্বারা নির্মিত।
১৭. রত্নগিরি জেলা
১. চৌল
(ক) পীর সাঈদ আহমদের মাজার। রূপান্তরিত সাম্বা মন্দির।
(খ) হিংলাজ স্পুরের নিকটে মকবরা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কবরস্থান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ডাভোল, পাত্থর-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. রাজপুরি, আইড্রুসিয়া খানকা। মন্দিরের সাইট।
৪. ইয়েশির, জামে মসজিদ (১৫২৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৮. সাঙ্গলি জেলা
১. মঙ্গলবেদ, দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. মিরাজ
(ক) মসজিদ (১৪১৫-১৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ (১৫০৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কালি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) নামাজগা (১৫৮৬-৯৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) বড়া ইমামের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৯. সাতারা জেলা।
১. আপ্তি, মসজিদ (১৬১১-১২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. করাদ
(ক) জামে মসজিদ (১৫৭৫-৭৬)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) আলীর কদমগা (১৩২৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. খানপুর, জামে মসজিদ (১৩২৫)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. রহিমতপুর,
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মকবরা, জাহাঙ্গীরের মায়ের নামে পরিচিত (১৬৪৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২০. শোলাপুর জেলা
১. বেগমপুর, গড়েশ্বরের কাছে মকবরা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. শোলাপুর, দুর্গ, মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২১. ঠাণে জেলা
১. কল্যাণ
(ক) হজরত ইয়াকুবের দরগা, মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মক্কা মসজিদ (১৫৮৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মালাঙ্গগড়, বাবা মালাঙ্গের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২২. ওয়ার্ধা জেলা
১. অষ্টি
(ক) জামে মসজিদ (১৫২১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) লোদী মসজিদ (১৬৭১-৭২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. জিরাদ, শেখ ফরিদের মাজার। রূপান্তরিত মন্দির।
৩. পাওনার, কাদিমি মসজিদ। রূপান্তরিত রামচন্দ্র মন্দির।
ওড়িশা
১. বালেশ্বর জেলা
মহল্লা সুনাহাটে জামে মসজিদ (১৬৩-৭৪)। চণ্ডী মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কটক জেলা
১. আলমগীর হিল, তখত-ই-সুলায়মান মসজিদ (১৭১৯)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. কটক
(ক) শাহি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ওড়িয়া বাজারের মসজিদসমূহ। বিভিন্ন মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কদম রাসূল মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৬৬৮-৬৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) মসজিদ (১৬৯০-৯১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. জাজপুর
(ক) সৈয়দ বুখারীর দরগা। বিভিন্ন মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) নওয়াব আবু নুসির নির্মিত জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. কেন্দ্রপাড়া, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. সালেপুর, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. গঞ্জাম জেলা
লালাপেট, মসজিদ (১৬৯০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
পাঞ্জাব
১. ভাটিন্ডা জেলা
বাবা হাজী রাত্তানের মাজার (১৫৯৩)। রূপান্তরিত মন্দির।
২. গুরুদাসপুর জেলা
বাটালা, জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. জলন্ধর জেলা
সুলতানপুর, বাদশাহী সরাই। বৌদ্ধ বিহারের স্থানে নির্মিত।
৪. লুধিয়ানা জেলা
(ক) আলী সরমস্তের দরগা ও মসজিদ (১৫৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কাজী-কি-মসজিদ (১৫১৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. পাটিয়ালা জেলা
১. বাহাদুরগড়, দুর্গে মসজিদ (১৬৬৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বাওয়াল, মসজিদ (১৫৬০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. সামানা
(ক) সাঈদোঁ-কি-মসজিদ (১৪৯৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ (১৬১৪-১৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ইমামবাড়ার নিকটে মসজিদ (১৬৩৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) পেরজদা-কি-মসজিদ (১৬৪৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. রোপার জেলা
জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. সঙ্গরুর জেলা
সুনাম
(ক) কাদিমী মসজিদ (১৪১৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) গঞ্জ-ই-শাহিদান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
রাজস্থান
১. আজমির জেলা।
এটি একটি হিন্দু রাজধানী ছিল যেটিকে একটি মুসলিম মহানগরে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। নিম্নলিখিত স্মৃতিস্তম্ভগুলি মন্দিরের স্থানে দাঁড়িয়ে এবং / অথবা মন্দিরগুলির উপকরণগুলি দিয়ে নির্মিত।
১. আড়াই-দিন-কা-ঝোঁপড়া (১১৯৯)।
২. তারাগড়ের কালান্দর মসজিদ।
৩. তারাগড়ের গঞ্জ-ই-শাহিদান।
৪. মইনুদ্দিন চিস্তির দরগা (১২৩৬)
৫. অন্নসাগর হ্রদের নিকটে চিলিয়া-ই-চিশতী।
৬. তারাগাহে সাইজিদ হুসেনের দরগা ও মাজার।
৭. পুষ্করে জাহাঙ্গারী মহল।
৮. শাহজাহানী মসজিদ (১৬৩৭)
৯. অন্নসাগর বারাদরি।
২. আলোয়ার জেলা।
১. আলোয়ার, মখদুম শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বাহরোর
(ক) কাদির খানের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দরগার কাছে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. টিজারা
(ক) ভরতারি মাজার। রূপান্তরিত মন্দির।
(খ) দরগাের কাছে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. ভরতপুর জেলা
১. বড়ামবাদ, মসজিদ (১৬৫২-৫৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বারী
(ক) আরব ও পাঠানদের কবরস্থান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৫১০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. বায়না
(ক) উখা বা নোহরা মসজিদ রূপান্তরিত ঊষা মন্দির।
(খ) কাজীপাড়া মসজিদ (১৩০৫)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) ফৌজদারী মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঘ) সাঈদপাড়া মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঙ) মাফোনকি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(চ) ঝালর বাওলিতে স্তম্ভযুক্ত নির্জনস্থান। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ছ) ঝালর বাওলির কাছে ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) বিজয়গড় দুর্গে তালেতি মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
(ঝ) আবু কান্দাহার কবরস্থান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) ভিটারী-বাহারি মহল্লায় মসজিদ। বিষ্ণু মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার হয়েছিল।
৪. এটমদা, পীরস্তান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. কামান
(ক) চৌরাসি খাম্বা মসজিদ। রূপান্তরিত কাম্যকেশ্বর মন্দির।
(খ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৬. চিত্তৌড়গড় জেলা
১. গাইবা পীরের মাজার এবং আশেপাশের কবরস্থান। বেশ কয়েকটিমন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. একই এলাকায় কুনাটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. জয়পুর জেলা।
১. আম্বের, জামে মসজিদ (১৫৬৯-৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. চাতসু
(ক) গুড়গ আলী শাহের ছত্রী (১৫৭১)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) নীলগারো-কি-মসজিদ (1381)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. দৌসা, জামে মসজিদ (১৬৮৮-৮৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. নারাইনা
(ক) জামে মসজিদ (১৪৪৪)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) ত্রিপোলিয়া দরওয়াজা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৫. সম্ভর
(ক) গঞ্জ-ই-শাহিদান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) খাজা হিশামুদ্দিন এর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মহল্লা নাখাসে মসজিদ (১৬৯৫-৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) রামবাগে মসজিদ (১৬৯৬-৯৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. টর্ডি, খাড়ি বাওলি। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৬. জয়সলমীর জেলা।
১. জয়সলমীর, ফকিরোঁ-কে-তাকিয়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. পোকরান, মসজিদ (১৭০৪-০৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. জালোর জেলা
১. জালোর
(ক) শাহী বা তোপখানা মসজিদ (১৩২৩)। পার্শ্বনাথ মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) ঈদগা (১৩১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) বাওলিওয়ালি মসজিদ (১৫২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. সানচোর, জামে মসজিদ (১৫০৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. ঝালাওয়ার জেলা
সুনেল, মসজিদ (১৪৬৬-৬৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. ঝুনঝুনু জেলা
নারহাদ, জামে মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১০. যোধপুর জেলা
১. যোধপুর, ইয়াক-মিনার-কি-মসজিদ (১৬৪৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মান্ডর
(ক) শাহি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) গুলাম খান-কি-মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) তান্না পীরের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৩. পিপার সিটি, জামে মসজিদ (1658)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. কোটা জেলা
১. বারান, মসজিদ (১৬৮০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বুন্দি, শহরের পূর্বে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত মিরান মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. গাগরুন
(ক) জামে মসজিদ (১৬৯৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) হজরত হামিদুদ্দিন, যিনি মিত্তাহ শাহ নামে পরিচিত, তাঁর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. শাহাবাদ
(ক) শের শাহ সুরি-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ (১৬৭১-৭২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) রহিম খান দাতার দরগা (১৫৩৪-৩৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. শেরগড়, শেরশাহ সুরির দুর্গ। ব্রাহ্মণিক্যাল, বৌদ্ধ এবং জৈন মন্দির উপকরণ ব্যবহৃত হয়।
১২. নাগৌর জেলা।
১. আমারপুর, মসজিদ (১৬৫৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বাকালিয়া, মসজিদ (১৬৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. বালাপীর, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. বড়ি খাতু
(ক) শাহি মসজিদ (প্রায় ১২০০)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) কানাতি মসজিদ (১৩০১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) পাহাড়িয়ো-কি-মসজিদ এবং ছেহ শাহিদ মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঘ) জালিয়াবস-কি-মসজিদ (১৩২০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) মহল্লা সৈয়দানে বড়ি এবং ছোটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) খানজাদো-কি-মসজিদ (১৪৮২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) মুহাম্মদ কাত্তাল শাহেদ এর মসজিদ ও দরগা (১৩৩৩)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(জ) ধোবিও-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) মসজিদ-ই-সঙ্গত্রাশন (১৬৩৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) বাবা ইশাক মাগরিবির দরগা (১৩৬০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) সম্মান শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঠ) গঞ্জ-ই-শাহাদান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ড) মোমিনো-কি-মসজিদ (১৬৬৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঢ) কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৪. বাসনি, বড়ি মসজিদ (১৬৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. ছোটি খাতু, শাহ নিজাম বুখারীর দরগা (১৬৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. দিদওয়ানা
(ক) কাজীয়োঁ-কি-মসজিদ (১২৫২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) গুদরী বাজারে মসজিদ (১৩৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ব্যান্ড (বন্ধ) মসজিদ (১৩৮৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শাইকো-কি-মসজিদ (১৩৭৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) কালা-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) হাভালা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) সাঈদোঁ-ক-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) তাকিয়া-কি-মসজিদ (১৫৮২-৮৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) কাছাহরি মসজিদ (১৬৩৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) ধোবিও-কি-মসজিদ (১৬৬২)।
(ঠ) জুলাহো-কি-মসজিদ (১৬৬৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ড) লোহরো-কি-মসজিদ (১৬৬৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঢ) বিসতিয়াও-কি-মসজিদ (১৬৭৫-৭৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ণ) মোচিও-কি-মসজিদ (১৬৮৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত
(ত) শাহ ছাঙ্গী মাদারি মসজিদ (১৭১১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(থ) ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(দ) দিল্লি দরওয়াজার কাছে কবরস্থান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ধ) দীন দরওয়াজা (১৬৮১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ন) রাশিউদ্দিন শাহিদ এর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. কাঠোটি, মসজিদ (১৫৬৯-৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. কুমহারি
(ক) বালা পীরের মসজিদ ও দরগা (১৪৯৬-৯৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কালান্দারি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. লাডনুন
(ক) জামে মসজিদ (১৩৭১)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) হাজিরাওয়ালি বা খলজি মসজিদ (১৩৭৮-৭৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শাহি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ঘ) উমরো শাহিদ গাজীর দরগা (১৩৭১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) উপরের দরগাের কাছে কবরস্থান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) মাজার-ই-মুরাদ-ই-শাহেদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. লোহারপুরা
(ক) পীর জহিরুদ্দিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ছোটি মসজিদ (১৬০২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. মাকরানা
(ক) জামে মসজিদ। (শেরশাহ)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) পাহাড় কুনওয়ার নিকটে মসজিদ (১৬৫৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) গৌড় বাসে মসজিদ (১৬৭৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৬৪৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. মেরটা
(ক) সালাউটানে মসজিদ (১৬২৫-২৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) গাদিটানে মসজিদ (১৬৫৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) জামে মসজিদ। (১৬৬৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মোচিয়ো-কি-মসজিদ (১৬৬৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) ঘোসিয়ো-কি-মসজিদ (১৬৬৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) মোমিনো-কি-মসজিদ (১৬৬৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) মহারাজ-কি-জাগির এ মসজিদ (১৬৬৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত
(জ) চৌক-কি-মসজিদ (১৬৭০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) হাজ্জামো-কি-মসজিদ (১৬৮৬-৮৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) মিয়ান্জি-কি-মসজিদ (১৬৯০-৯১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) সাবুংগারো-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঠ) গাউস পীরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ড) তাকিয়া কমল শাহ্। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৩. নাগৌড়
(ক) পীর জহিরুদ্দিনের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) বাবা বদরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) সূফী হামিউদ্দিন নাগৌড়ি চিশতীর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শেখ আবদুল কাদির জিলানির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) মকদুম হুসেইন নাগৌড়ির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) আহমদ আলি-বাপজির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) সাঈদ ইমাম নূরের দরগা (১৫২৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) শাহ আবদুস-সালামের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) মীরন সাহিবের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) শামসী তালাওয়ের নিকটে শামস খান মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(ট) জামে মসজিদ (১৫৫৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঠ) এক মিনার-কি-মসজিদ (১৫০৫-০৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ড) ধোবিয়োঁ-কি-মসজিদ (১৫৫২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঢ) চৌক-কি-মসজিদ (১৫৫৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ণ) মহাওয়াতো-কি-মসজিদ (১৫৬৭-৬৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ত) হামালোঁ-কি-মসজিদ (১৫৯৯-১৬০০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(থ) সুরজপোলে শাহ জাহানী মসজিদ। রূপান্তরিত মন্দির।
(দ) দুর্গের বাইরে মসজিদ (১৬৬৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ধ) খারাদিওয়োঁ-কি-মসজিদ (১৬৬৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত
(ন) ঘোসিয়োঁ-কি-মসজিদ (১৬৭৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(প) মায়া বাজারের নিকটে মসজিদ (১৬৭৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ফ) কালান্দ্রোঁ-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ব) কানেহরি জুলাহো-কি-মসজিদ (১৬৬৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ভ) সাঈদোঁ-কি-মসজিদ (১৪৩৩-৩৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ম) আখাদেওয়ালি মসজিদ (১৪৭৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৪. পর্বতসর, বদরুউদ্দিন শাহ র মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৫. রেন, মসজিদ (১৬৮৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৬. রোহাল, কাজিয়ো-কি-মসজিদ (১৬৮৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৭. সোজাট, মসজিদ (১৬৮০-৮১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৩. সওয়াই মাধোপুর জেলা।
১. গড়, কালা-কি-মসজিদ (১৫৪৬-৪৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. হিন্দুয়ান
(ক) রানগ্রেজো-কি-মসজিদ (১৪৩৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) খোয়াজা আলীর তাকিয়ায় মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কাছারি মসজিদ (১৬৫৯-৬০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) বড়া খাম্বা মসজিদ (১৬৬৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) তালাও এর পূর্বদিকে কবরস্থান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) রাসূল শাহের মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. রণথম্ভোর, কালা-কে-মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৪. সিকার জেলা
রেভাসা, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৫. টংক জেলা
নগর, ঈশাখান বাওলি। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
১৬. উদয়পুর জেলা
মণ্ডলগড়, আলাই মসজিদ। রূপান্তরিত জৈন মন্দির।
তামিলনাড়ু
১. চিংলেপুট জেলা।
১. আচারবাক, শাহ আহমদ এর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কাঞ্চীপুরম
(ক) বড় মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) অন্য আটটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত গুলি।
(গ) বাবা হামাদ ওয়ালির গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. করকটপালা, মুরাদ শাহ্ মাস্তানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. কোভালাম, মালিক বিন দীনারের দরগা (১৫৯৩-৯৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মুনরোপেট
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহ আলি মাস্তানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. পল্লবরম
(ক) পঞ্চপণ্ডমালাইয়ের পাহাড়টির নতুন নামকরণ করা হয়েছে মৌলা পাহাড় এবং একটি প্রাচীন গুহা মন্দিরের কেন্দ্রীয় হলটি পাঞ্জা (পাম) উপাসনা করার জন্য মসজিদে পরিণত হয়েছে।
(খ) শাইখ হুসেন কাদিরি ওরফে বুডু শাহিদের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) পুনমল্লে, মির জুমলা র মসজিদ (১৬৫৩)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৭. রাজকৈলপেট্টা, হাজি উমরের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. রামপুর, ফকিরগণের তাবকী আদেশের টাকিয়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. রায়পেটা, ওয়ালাজাহি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. ওয়ালাজাহবাদ, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কোয়েম্বাটোর জেলা
১. আন্নামালাই, কেল্লা। মন্দিরের উপকরণ দিয়ে টিপু সুলতান মেরামত করেছিলেন।
২. কোয়েম্বাটোর, টিপু সুলতানের বৃহত্ মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. শিবসমুদ্রম, পীর ওয়ালীর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মাদ্রাজ জেলা
জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মাদুরা জেলা।
১. বন্দুবরপেট্ট, মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
২. দেবীপট্টনম, বড় মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. গোরিপালাইয়াম, খাজা আলাউদ্দিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মাদুরা, খাজা আলাউদ্দিনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. নিমারপাল্লি
(ক) মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়।
(খ) মকদুম জালালুদ্দিনের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
৬. পুলিয়াগুলাম, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. সোরাবন্দম, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. তিরুপারানকুনরাম, পাহাড়ের চূড়ায় সিকান্দার মসজিদ। ব্রাহ্মণ্য, বৌদ্ধ এবং জৈন মন্দির এর ধ্বংসাবশের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
৫. উত্তর আর্কট জেলা
১. আর্কট, মুসলমানেরা দখল করার পূর্বে এটি একটি মন্দিরনগরী ছিল।
(অ) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(আ) সাদাতুল্লা খানের সমাধি। আত্রেয়া মন্দিরের উপকরণ ব্যবহার হয়েছিল।
(ই) টিপু আওলিয়ার মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঈ) সাইয়্যেদ হুসেন শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(উ) কালা-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঊ) শাহ হুসেন চিশতীর মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঋ) পাপা শাহিদ এর মসজিদ ও গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(এ) কবরস্থান সহ শাহ সাদিকের গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঐ) শাহ আজমতুল্লাহ কাদিরীর মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ও) শেখ নত্তরের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঔ) মুরাদ শাহের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ক) মীর আসাদুল্লা খানের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মাওলায়ি জামাল আলীর মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মসজিদ ও সাইয়্যিদ আহমদ ওরফে ইয়ার পীর এর গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) চন্দা সাহিবের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) আমান পীরের গুম্বাদ সহ মিসকিন শাহের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) হজরত উসমান খান সারওয়ারের মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) মুগলানির মকবরায় মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) গুলাম রসুল খানের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) শাহ গোলাম হুসেইন দরগাীর মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) হাফিজ আব্দুল আজিজের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) হাফিজ করিমুল্লার মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঠ) তাজপুরার মসজিদ ও গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত। শহরের বাইরে।
(ড) কাতিল পান্ডু সরগুরোর তাকিয়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঢ) আহমদ তাহির খানের মসজিদ ও গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ন) হাসানপুরার মসজিদ, খানকাহ, কবরস্থান এবং গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ত) ঈদগা সহ হজরত অন্তর জামির গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(থ) সাবিত আলি শাহের টাকিয়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(দ) সাইয়্যেদ করিম মুহাম্মাদ কাদিরি এর মসজিদ ও মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ধ) সাদাতমন্দ খানের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ন) আবুল-হাসান জাকিরের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(প) দাউদ বেগের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ফ) হজরত শাহ নাসিরের মসজিদ ও গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ব) পুঞ্জীর মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ভ) ইয়াদুল্লাহ শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ম) রঙ্গিন মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(য) হাউস অফ রেলিক যাতে মহানবী-এর পায়ের ছাপ রয়েছে। রূপান্তরিত মন্দির।
২. আরনি
(ক) দুটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) সাত শহীদের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কারে, নওলখ গুম্বাদ। রূপান্তরিত গৌতম এবং বিশ্বামিত্র মন্দির।
৪. কাবেরীপাক
(ক) ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) টাকিয়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) তিনটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. নুসরতগড়, ধ্বংসপ্রাপ্ত দুর্গে অনেক মসজিদ এবং মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. পীরমালীপাক, ওয়াজিদ শাহ চম্পার পোশের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. রমনা
(ক) কামতু শাহের মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহ সাদিক তবক্তির টাকিয়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. ভেলোর
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ছোটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) নূর মুহাম্মদ কাদিরীর মাজার যিনি বহু মন্দির নষ্ট করেছিলেন। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শাহ আবুল হাসান কাদিরির মাজার।
(ঙ) আব্দুল লতিফ জাওকির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) আলী হুসেনী চিশতি এর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) হজরত আলী সুলতানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) আমিন পীর এর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) শাহ লুৎফুল্লা কাদিরার মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) সাহেব পাদশা কাদিরীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. ওয়ালাজাহানগর, পাহাড়ের উপরে পীর সাহেবের মসজিদ এবং মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০.ওয়ালী-মুহাম্মদ-পেট্টা, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. রামনাথপুরম জেলা
১. ইরুবাদী
(ক) হজরত ইব্রাহিম শাহিদের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) হজরত ফখরুদ্দিন শাহিদ ওরফে কাটবাবা সাহিবের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কিলাকারী
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মুহাম্মদ কাসিম আপ্পার দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) আপারপল্লি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. পেরিয়াপট্টনাম, সাইয়্যেদ সুলতান ওয়ালির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. ভালিনোক্কাম
(ক) পল্লিভাসাল মসজিদ (১৪১৭-১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কাটুপল্লীর দরগা (১৪২৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. রমানাথপুরম, পুরাতন মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. সালেম জেলা।
শঙ্কারিদুর্গ, দুর্গের নিচের দিকে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. দক্ষিণ আর্কট জেলা
১. আনন্দপুর, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. চিদাম্বরম
(ক) লালখান মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(খ) নওয়াল খান মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল।
(গ) ঈদগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) আমানুদ্দিন চিশতির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) সাঈদ হুসেনের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. জিঞ্জি
(ক) মসজিদ (১৭১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৭৩২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) দুর্গে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. কাওরিপেট, কালান্দার শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মঞ্জকুফাম, শাহ আবদুর-রাহিমের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. মনসুরপেটা, ইতিবার খান-কি-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. নল্লিকুপ্পাম
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শেখ মীরন সাহিবের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. পান্নুটি
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) নূর মুহাম্মদ কাদিরির গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. স্বামীওয়ারাম, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. তারকামবাড়ি
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শেখ ইসমাইল সাহিবের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. তিরুমালারায়ণপট্টনম, আবদুল কাদির ইয়ামিনির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২. বারাচকুরি, শাহ জালাল হুসাইনির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১. আম্মাপেটা
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মইনুদ্দিন হুসেন কাদিরির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শাহ জাফরের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ইলুউর
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ইনায়াতুল্লাহ দরবেশ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মহম্মদ মস্তানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মীরান হুসেনের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. করম্বরি
(ক) আরব সাহিবের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মুবতলা শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. কুরিক্যালপলয়ম
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মকদূম হাজির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মকদূম জাহান শাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. কুরকুটি, হাসান কাদিরি আলিয়াস গিব সাহিবের গুম্বাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. কুশলপলয়ম
(ক) হজরত তাজ ফিরাক বদনশাহীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) হিদায়াত শাহ আরজানির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ইয়ার শাহ হুসেনশাহীর মাজার।মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. নগুর
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কাদির ওয়ালি শাহের দরগা।
৮. উরেনচেরী, পিরোজপুর কুতুবউদ্দিনের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. বিজয়পুরম, সুলতান মকদূমের গুম্বাদ। মন্দির অঞ্চল।
১০. বদয়রকরি, বাওবা সাহিবের শহিদের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০) তিরুচিরাপল্লী জেলা
১. পুত্তুর, মাজার। মন্দিরের উপকরণ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে।
২. তিরুচিরাপল্লী
(ক) নাত্থার শাহ ওয়ালির দরগা। পূর্বে একটি শিব মন্দির ছিল, মন্দিরের শিবলিঙ্গটি পরবর্তীতে ল্যাম্প পোস্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) মসজিদ-ই-মুহম্মদি। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) বাবা মুহিউদ্দিন সরমস্তের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) হজরত ফতুল্লাহ নূরীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) শামস পরানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) সাঈদ আবদুল ওয়াহাবের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) শাহ ফজলুল্লাহ কাদিরির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) শাহ নাসিরউদ্দিনের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঝ) ফরিদউদ্দিন শহীদের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঞ) হজরত চাঁদ মস্তানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) সৈয়দ জইনুল-আবিদিনের মাজার, তিনুর। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঠ) সৈয়দ করিম-উদ্দিন কাদিরির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ড) আলিমুল্লাহ শাহ কাদিরির মাজার, বরহানা শমসীর (নগ্ন অসি) নামে খ্যাত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঢ) শাহ ইমামুদ্দীন কাদিরীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ণ) কাকী শাহর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ত) খোয়াজা আমিনুদ্দীন চিশতীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(থ) খোয়াজা আহমদ শাহ হুসেন চিশতীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(দ) শাহ ভেকার মাজার। এটি একটি রূপান্তরিত মন্দির।
(ধ) শাহ জামালুদ্দীন হুসেইন চিশতীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ন) কায়িম শাহর মাজার যিনি ১২ টি মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(প) মুনসিফ শাহ সোহরাবর্দীয়ার মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ভ) ইতিফ্ফাক শাহর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ব) সৈয়দ জলাল কাদিরীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ভ) মেহতাব শাহ সিরাজী সোহরাবর্দীয়ার মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ম) হাজী ইব্রাহীমের মাজার যেখানে নাত্থার শাহ ওয়ালি (৯.১.ক দেখুন) পৌঁছানোর পর, অবস্থান করেছিলেন। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. বলিকোণ্ডপুরম
(ক) দুর্গের বিপরীতে অবস্থিত মসজিদ। এটি একটি মন্দির থেকে রূপান্তরিত।
(খ) মাজারের নিকটে অবস্থিত মসজিদ। এটিও একটি মন্দির থেকে রূপান্তরিত।
(গ) শের খান-কী-মসজিদ (১৬৯০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) পুরাতন জামা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১১. তিরুনেলবেলী জেলা
১. অম্বাসমুদ্রম, ভগ্ন দুর্গের নিকট অবস্থিত হজরত রহমতুল্লাহের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২ কয়ালপট্টনম
(ক) পেরিয়াপল্লী মসজিদ (১৩৩৬-৩৭)
(খ) সিরুপল্লী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) নয়নার মুহম্মদের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মরুকুদিয়ারাপল্লী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩ তিরুনেলবেলী, জামা মসজিদ। ভগ্ন মন্দিরের উপকরণ দিয়ে তৈরী।
উত্তরপ্রদেশ
১. আগ্রা জেলা
১. আগ্রা
(ক) সবন কাটরায় অবস্থিত কলান মসজিদ (১৫২১)। মন্দিরের উপকরণ দিয়ে তৈরী হয়েছিল এই মসজিদ।
(খ) কছপুরায় অবস্থিত হুমায়ূন-কী-মসজিদ (১৫৩৭-৩৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) জাহানারার জামে মসজিদ (১৬৪৪)। এই মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঘ) ডেরা বাগের কামাল খান শহীদের দরগা। এই মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঙ) আকবরের দুর্গের নদীতীরের অংশটি। জৈন মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) চীনী-কা-রৌজা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বিসৌলি, মসজিদ (১৬৬৭-৬৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. ফতেপুর সিক্রি
(ক) আনবিয়া ওয়ালি মসজিদ এবং নাগরে অবস্থিত অন্যান্য আরও মসজিদ, যেগুলি মন্দির থেকে মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে।
(খ) জামে মসজিদে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(গ) শেখ সেলিম চিশতীর দরগা।
(ঘ) ফতেপুর সিক্রি আবাসন। বিভিন্ন মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. কাদিম মসজিদ, ফিরোজাবাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. জাজৌ, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. মকদূম শাহের মাজার, রসুলপুর। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. সিকান্দ্রা
(ক) আকবরের মকবরা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মিশন প্রাঙ্গণে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২) আলিগড় জেলা
১. আলিগড়
(ক) ঈদগাহ (১৫৬২-৬৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শেখ জালাল-উদ্দিন চিশতী শামসুল-আরিফীনের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) বিভিন্ন মাজার সহ সমাধি। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শেরশাহী মসজিদ (১৫৪২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) মসজিদ (১৬৭৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বাবরি অথবা জামি মসজিদ (১৫২৮-২৯), পিলখানা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে মসজিদ নির্মাণে।
৩. জামি মসজিদ (১৫৮৫), সিকন্দর রাও। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩) এলাহাবাদ জেলা
১. এলাহাবাদ
(ক) আকবরের দুর্গ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) খুসরু বাগ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) সমাধি সহ শাহ আজমল খানের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৬৪১-৪২)
(ঙ) গোলাববাড়ি কবরস্থান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. জামে মসজিদ (১৩৮৪), কো ইনাম। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কাদিম মসজিদ, মৌইমা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মসজিদ (১৬৪৪-৪৫), শাহবাজপুর। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪) আজমগড় জেলা
১. কলান মসজিদ, দোরিঘাট। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মসজিদ (১৬৮৭-৮৮), গানজহর। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. অভিমান বা দৌলতের সমাধিস্তম্ভ, মেহনগর। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. নিজামাবাদ
(ক) জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মিয়াঁ মকবুল ও হুসেন খান শহীদের (১৫৬২) মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. হুমায়ূনের জামে মসজিদ (১৫৩৩-৩৪), কসবা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১. আলমগীরী মসজিদ, আলাপুর। মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
২. বদায়ুঁ
(ক) শামসী বা জামে মসজিদ (১২৩৩)। মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) শামসী ঈদগা (১২০৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) হৌজ- ই- শামসী (১২০৩)। মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঘ) শাহ উইলায়াতের দরগা (১৩৯০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) আরও অন্যান্য মসজিদ এবং মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. জামে মসজিদ (১৩০০), শাহীসওয়ান। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. আবদুল্লাহ-কী-মসজিদ, উঝানি। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬) বাহরাইচ জেলা
সালার মাসুদ গাজীর দরগা। সূর্যদেবের মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭) বালিয়া জেলা
খারিদ
(ক) জামি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) রুকনউদ্দিন শাহ্-এর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮) বান্দা জেলা
১. আগাসি, মসজিদ (১৫৮১-৮২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বদায়ুসা, মসজিদ (১৬৯২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কালিঞ্জর
(ক) পাত্থার মহল্লায় অবস্থিত মসজিদ (১৪১২-১৩)। পূর্বে লক্ষ্মী নারায়ণের মন্দির ছিল।
(খ) মসজিদ (১৬৬০-৬১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) অন্যান্য আরও মসজিদ এবং মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. সরন, শেখ জামালের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯) বারাবাঁকি জেলা
১. ভাদো সরাই, মালামাত শাহ্-এর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. দেওয়া
(ক) হাজী ওয়ারিস আলী শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৬৬৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. ফতেপুর
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ইমামবাড়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. রদৌলি
(ক) মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহ্ আহমেদ ও জোহরা বিবির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. দাউদ শাহ্-এর রৌজা, রৌজা গাঁও। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. মসজিদ (১৫৭৯-৮০), সরাই-আকবারাবাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. সালার সাহু গাজীর দরগা, সাতরিখ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০) বেরিলি জেলা
১. আঁওলা
(ক) বেগম-কী-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) আলি মহম্মদ রহিল্লার মুকবারা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মীর্জাই মসজিদ (১৫৭৯-৮০), বারিলি। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. শেখ ফরিদের নির্মিত দুর্গ, ফরিদপুর। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
১১) বিজনোর জেলা
১. বারমি-কা-খেরা, মসজিদ। মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
২. নবাব সুজাত খানের মকবরা, জাহানাবাদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. দুর্গের ভেতরে মসজিদ অবস্থিত, কিরাতপুর। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৪. জামে মসজিদ, মানদাবার। মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৫. পত্থরগড় দুর্গ, নাজিবাবাদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৬. নিটৌর, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. সেওহারা, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১২) বুলন্দশহর
১. ঔরঙ্গাবাদ সঈদ, এখানকার প্রত্যেকটি মসজিদ মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বুলন্দশহর
(ক) দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দুর্গ। বিভিন্ন মন্দিরেরউপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(গ) ঈদ্গাহ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৩১১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) মসজিদ (১৫৩৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) মসজিদ (১৫৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মকদূম সাহেবের মাজার, খুরজা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. শিকারপুর, সিকান্দার লোদীর শাসনকালে বিভিন্ন মসজিদ নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. সেকেন্দ্রাবাদ, সিকান্দর লোদীর শাসনকালে বিভিন্ন মসজিদ নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৩) এটা জেলা
১. অতরানজিখেরা, হজরত হুসেন (বা হাসান)- এর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. জালেসর
(ক) মীরান সৈয়দ ইব্রাহিমের মাজার (১৫৫৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দুর্গ, নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৩. কাসগঞ্জ, মসজিদ (১৭৩৭-৩৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মারাহরা, মসজিদ এবং মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. সাকিত
(ক) কাদিম মসজিদ (১২৮৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) আকবরী মসজিদ (১৫৬৩)।মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৪) এটোয়া জেলা
১. ঔরাইয়া, দুটি মসজিদ এখানে অবস্থিত। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. এটোয়া, জামে মসজিদ। মন্দির থেকে মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে।
৩. ফাফুন্দ, শাহ্ বুখারির মসজিদ এবং মাজার (১৫৪৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৫) ফারুখাবাদ জেলা
১. ফারুখাবাদ, বিভিন্ন মসজিদ মন্দির অঞ্চলে নির্মিত হয়েছে।
২. কনৌজ
(ক) দিনা অথবা জামি মসজিদ (১৪০৬)। সীতা- কী- রসোঈ। মন্দিরেরউপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) মকদূম জাহানিয়ানের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(গ) বাবা হাজী পীরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৬৬৩-৬৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) বালা পীরের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. রাজগীরহর, শেখ আখী জামশেদের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. শামসাবাদ, এখানকার প্রত্যেকটি মসজিদ এবং মাজার মন্দির অঞ্চলে নির্মিত।
১৬) ফতেপুর জেলা
১. হাওসা, ঈদগা (১৬৫০-৫১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. হাথগাঁও
(ক) জয়চণ্ডী মসজিদ। মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) বুরহান শহীদের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. কোরা (জাহানাবাদ)
(ক) খোয়াজা কারাকের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জামে মসজিদ (১৬৮৮-৮৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. কোট, লাদিন-কী-মসজিদ (১১৯৮-৯৯-এ প্রতিষ্ঠিত হয়, ১২৯৬ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়)।
১৭) ফৈজাবাদ
১. আকবরপুর
(ক) কালা- কী- মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৬৬০-৬১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. অযোধ্যা
(ক) বাবরি মসজিদ। রাম- জন্মভূমি মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ঔরঙ্গজেবের স্থাপিত মসজিদ। স্বর্গদভারা মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ঔরঙ্গজেবের স্থাপিত মসজিদ। ত্রেতা- কা- ঠাকুর মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শাহ্ জুরান ঘোরির মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) মণিপর্বতের নিকট সীর পয়গম্বর এবং আয়ুব পয়গম্বরের মাজার। বৌদ্ধ মন্দিরস্থান, যেখানে গৌতম বুদ্ধের পদচিহ্ন আছে বলে মনে করা হয়।
৩. ফৈজাবাদ, ইমামবাড়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. হাতিলা, গাজীর মাজার। অশোকনাথ মহাদেব। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. কিচৌছা, রসুলপুরের নিকট মকদূম আসরাফের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১৮) গাজীপুর জেলা
১. ভিতরি
(ক) মসজিদ এবং মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) ঈদ্গাহ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ঈদ্গাহের নিম্নবর্তী সেতু নির্মাণে বৌদ্ধ মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
২. গাজীপুর
(ক) মসজিদ এবং মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) চাহেল সিতুন মহল। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. হিঙ্গতর
(ক) কালা- কী- মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৪. খাগরোল, বারা খাম্বা এবং শেখ আম্বারের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. সৈয়দপুরের দুটি দরগা। পূর্বে বৌদ্ধ মন্দির ছিল।
১৯) গোন্দা জেলা
সাহেত-মাহেত (শ্রাবস্তী)
(ক) মুকবরা। শোভনাথ মন্দিরের স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
(খ) মিরান সৈয়দের মাজার। বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে আছে এই মাজার।
(গ) ইমলি দরওয়াজা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঘ) কারবাল দরওয়াজা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
২০) গোরক্ষপুর জেলা
১. গোরক্ষপুর ইমামবাড়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. লার, বিভিন্ন মসজিদ মন্দির অঞ্চলে নির্মিত হয়েছে।
৩. পাবা, কারবালা। বৌদ্ধ স্তূপের ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
২১) হামিরপুর জেলা
১. মাহোবা
(ক) মসজিদ বাইরে, দুর্গের ভৈনসা দরওয়াজা (1322)। পরিবর্তিত মন্দির।
(খ) পাহাড়ের উপর পরমারদিদেবার মহলের একটি অংশে একটি মসজিদ তৈরি করা হয়েছে মন্দিরের উপকরণ দিয়ে।
(গ) দুটি মকবারা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে নির্মাণে।
(ঘ) পীর মহম্মদ শাহ্- এর দরগা। পরিবর্তিত শিব মন্দির।
(ঙ) মুবারক শাহ্- এর দরগা এবং নিকটবর্তী দূরে একটি সমাধিস্থল আছে। সেখানে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের কমপক্ষে ৩১০টি স্তম্ভ রয়েছে।
২. রথ, দুটি মকবারা। নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
২২) হরদই জেলা
১. বিলগ্রাম
(ক) সৈয়দোঁ-কী-মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) জামে মসজিদ (১৪৩৮)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(গ) আরও বিভিন্ন মসজিদ এবং মাজার মন্দিরের উপকরণ দ্বারা নির্মিত।
২. গোপামৌ, বিভিন্ন মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. পিহানী
(ক) আব্দুল গফুর-কী-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) সদর-ই-জাহানের দরগা (১৬৪৭-৪৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২২.৪ সন্দিলা
(ক) কাদিম মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) বড়া খাম্বার মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২৩) জালৌঁ জেলা
১. কল্পি
(ক) চৌরাসি গুম্বাদ সমাধিস্থল। বিভিন্ন মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহ্ আবদুল ফাত আলাই কুরেশির দরগা (১৪৪৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শাহ্ বাবু হাজী সামাদের দরগা (১৫২৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
ঘ. দিওধি বা জামি মসজিদ (১৫৫৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. কাটরা, মসজিদ (১৬৪৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২৪) জৌনপুর জেলা
১. জৌনপুর
(ক) অতালা মসজিদ (১৪০৮)। অতলা দেবী মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে.
(খ) দারিবা মসজিদ। বিজয়চন্দ্র.. মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে.
(গ) ঝাঞ্জরী মসজিদ। জয়াচন্দ্র.. মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে.
(ঘ) লাল দরওয়াজা মসজিদ। বারাণসীর ভি. ভে.. ভারা মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঙ) হাম্মাম দরওয়াজা মসজিদ (১৫৬৭-৮)। মসজিদ নির্মাণে মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে.
(চ) দুর্গের ভিতরে অবস্থিত ইব্রাহিম বর্বক-কী-মসজিদ (১৩৬০)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ছ) জামে মসজিদ। পাতালদেবী মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঝ) গোমতি নদীর উপর নির্মিত আকবরী সেতু। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঞ) খালিস মুখলিস বা চার আঙ্গুলি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ট) খান জাহান-কী-মসজিদ (১৩৬৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঠ) শাহ ফিরুজের রাউজা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মছলিশহর
(ক) জামি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) কারবালা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) আরও ১৬ টি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. শাহগঞ্জ, শাহ হজরত আলীর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. জাফরবাদ
(ক) মকদূম শাহের দরগা এবং মসজিদ (১৩১১ বা ১৩২১)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) ইব্রাহিম বর্বক-কী-মসজিদ। পরিবর্তিত মন্দির।
(গ) জাফর খান-কী-মসজিদ। পরিবর্তিত মন্দির।
(ঘ) গঞ্জ-ই-শহীদোঁ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঙ) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(চ) বহু মকবরা সহ পুরাতন শারকি। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ছ) অসুরুদ্দিনের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
২৫) ঝাঁসি জেলা
১. ইরিচ, জামে মসজিদ (১৪১২)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
২. ললিতপুর, বাসা মসজিদ (১৩৫৮)। ৪ টি মন্দিরের উপকরণ সহযোগে এই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল।
৩. তালভাত
(ক) মসজিদ (১৪০৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) পীর তাজ বাজের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২৬) কানপুর জেলা
১. জাজমৌ
(ক) আলাউদ্দিন মকদূম শাহের দরগা (১৩৬০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ঈদগা (১৩০৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) কালা-কী-মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. মকানপুর, শাহ মাদারের মাজার। পরিবর্তিত মন্দির।
২৭) লখনৌ
১. কাকরি, মকদূম নিজামুদ্দিনের ঝাঁঝারি রৌজা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
২. লখনৌ
(ক) তিলেওয়ালি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) আসাফুদ্দাউলা ইমামবাড়া। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) লক্ষ্মণ টিলার উপর নির্মিত শাহ মোহাম্মদ পীরের দরগা, পরে এই টিলার নাম পরিবর্তন করে পীর মোহাম্মদ পাহাড় করা হয়। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শেখ ইব্রাহিম চিশতী রহমৎতুল্লাহের মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঙ) নদন মহল বা শেখ আব্দুর রহিমের মকবরা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) মাচ্ছি ভবন। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. মুসানগর, মসজিদ (১৬৬২-৬৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. নিমসার দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৫. রসুলপুর, মসজিদ (১৬৯০-৯১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২৮) মৈনপুরী জেলা
রাপড়ি
(ক) জামি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) ঈদগা (১৩১২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) পীর ফাদ্দুর দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২৯) মথুরা জেলা
১. মহাবান, আসি খাম্বা মসজিদ। পরিবর্তিত মন্দির।
২. মথুরা
(ক) কাটরা টিলার উপরে নির্মিত ঈদগা। কেশবদেব মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) আব্দুন-নবীর দ্বারা নির্মিত জামে মসজিদ (১৬৬২)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(গ) শেখ ফরিদের মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঘ) সামি ঘাটের মকদূম শাহ উইলায়াতের মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৩. নৌঝিল, মকদূম শেখ শহীতি সাহিবের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৩০) মেখরুট জেলা
১. বর্নোয়া, হুমায়ূন কর্তৃক নির্মিত মসজিদ (১৫৩৮-৩৯)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. গড় মুক্তেশ্বর, মসজিদ (১২৮৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. হাপুর, জামে মসজিদ (১৬৭০-৭১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. জালালি, জামে মসজিদ (১২৬৬-৬৭)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৫. মীরাট
(ক) জামে মসজিদ। বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষের উপর এই মসজিদ দাঁড়িয়ে রয়েছে।
(খ) নবচণ্ডীর দরগা। নবচণ্ডী দেবীর মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. ফালাউদা, কুতুব শাহের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩১) মির্জাপুর জেলা
১. ভুলি, দাখনি টোলার মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. চুনার
(ক) শাহ কাসিম সুলেমানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৩. মির্জাপুর, অন্যান্য বিভিন্ন মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩২) মোরাদাবাদ জেলা
১. আমরোহা
(ক) জামে মসজিদ। পরিবর্তিত মন্দির।
(খ) শেখ সাদ্দূর মসজিদ এবং দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) শেখ উইলায়াতের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৫৫৭-৫৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) অন্যান্য আরও মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. আজমপুর, মসজিদ (১৫৫৫-৫৬)।
৩. বাচরাওঁ, মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. মুরাদাবাদ, জামি মসজিদ (১৬৩০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মুঘলপুরা- আগবানপুর, মসজিদ (১৬৯৫-৯৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. সিরসি, কাদিমি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. উঝারি, শেখ দাউদের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. সম্ভাল
(ক) জামি মসজিদ। পরিবর্তিত বিষ্ণু মন্দির।
(খ) সরাই তারিমে অবস্থিত মসজিদ (১৫০৩)।
(গ) মিয়াঁ হাতিম সম্ভালীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) শেখ পাঞ্জুর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩৩) মুজাফ্ফরনগর জেলা
১. ডেরা দিন পানাহ্, দিন পানার মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. গৌসঘা, দুর্গ এবং মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩ ঝিনঝানা
(ক) দরগা (১৪৯৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহ আব্দুল রাজাকের মসজিদ এবং মাজার (১৬২৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. কৈরানা
(ক) দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৫৫১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মসজিদ (১৫৫৩-৫৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) মসজিদ (১৬১৭-১৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঙ) মসজিদ (১৬৩০-৩১)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(চ) মসজিদ (১৬৫১-৫২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. মাঝেরা, উমার নূরের মাজার এবং মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. সম্বলহেরা, দুটি মসজিদ (১৬৩১-৩২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. থানা ভবন, মসজিদ (১৭০২-০৩)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩৪) পিলিভিট জেলা
জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩৫) প্রতাপগড় জেলা
মানিকপুর, ভেঙে ফেলা মন্দিরের ধ্বংসবশেষের উপর নির্মিত বিভিন্ন মসজিদ এবং মাজার।
৩৬) রামপুর জেলা
জামে মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩৭) রায়বেরিলি জেলা
১. দাতমৌ
(ক) ঈদগা (১৩৫৭-৫৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) দুর্গ। বৌদ্ধ স্তুপার ধ্বংসবশেষের উপর নির্মিত।
(গ) মসজিদ (১৬১৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. জৈস
(ক) জামি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) মসজিদ (১৬৭৪-৭৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. রায়বেরিলি
(ক) জামি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) জাহান খান মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) মকদূম সাঈদ জাফরির দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) দুর্গ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৩৮) সাহারানপুর জেলা
১. আমবাহাটা
(ক) মসজিদ (১৫১০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৫৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. দিওবান্দ
(ক) মসজিদ (১৫১০)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) মসজিদ (১৫৫৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) জামি মসজিদ (১৬৭৭-৭৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. গঙ্গোহ
(ক) শেখ আব্দুল কুদ্দুসের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) তিনটি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪. জাউরাসি, মসজিদ (১৬৭৫-৭৬)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৫. কালিয়ার, শেখ আলাউদ্দিন আলী বিন আহমেদ সাবরির দরগা, তিনি পাক পত্তন গঞ্জের বাবা ফরিদ সেকারের ছাত্র ছিলেন। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৬. মঙ্গলৌর
(ক) মসজিদ (১২৮৫)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(খ) শাহ উইলায়াতের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৭. রামপুর, শেখ ইব্রাহিমের মাজার. মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৮. সাহারানপুর, জামি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৯. সাকরাদা, শাহ রুকনুদ্দিন বা শাহ নাচছানের দরগা। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
১০. সিরসোয়া, পীর কিলকিলি শাহের মাজার। ধ্বংসকৃত মন্দিরের উপর অবস্থিত।
৩৯) শাহজাহানপুর জেলা
১. কুরসী, মসজিদ (১৬৫২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. শাহজাহানপুর, বাহাদুর খান- কি- মসজিদ (১৬৪৭)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪০) সীতাপুর জেলা
১. বিশ্বান, মসজিদ (১৬৩৭-৩৮)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. খয়রাবাদ, বিভিন্ন মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. লহরপুর, শেখ আব্দুর রহমানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪১) সুলতানপুর
১. আমেথি, শেখ আব্দুল হাসানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. ইসুলি
(ক) জামি মসজিদ (১৬৪৬-৪৭)।
(খ) সৈয়দ আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানীর মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৪২) উন্নাও জেলা
১. বঙ্গরমৌ
(ক) আলাউদ্দিন ঘানৌনের বারি দরগা (১৩২০)। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) জালালউদ্দিনের দরগা (১৩০২)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(গ) ছোটি দরগা (১৩৭৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ঘ) জামি মসজিদ (১৩৮৪)। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. রসুলাবাদ, আলমগীরি মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
৩. সফিপুর
(ক) শাহ সফির দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) কুদ্রাতুল্লাহের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(গ) ফাহিমুল্লাহের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ঘ) হাফিজুল্লাহের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(ছ) আব্দুল্লাহের দরগা। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(চ) আরও ১৪ টি মসজিদ। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
৪৩) বারাণসী জেলা
১. আসলা, শাহজাহানী মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
২. বারাণসী
(ক) জ্ঞানবাপীতে অবস্থিত মসজিদ। বিশ্বেশ্বর মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(খ) পঞ্চগঙ্গা ঘাটে অবস্থিত মসজিদ। কিরীটবিশ্বেশ্বর মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(গ) সৈয়দ ফকরুদ্দিন সাহিব আলভীর মসজিদ এবং মাজার (১৩৭৫)।
(ঘ) বিন্দু মাধব মসজিদ (১৬৬৯)। পরিবর্তিত বিন্দু মাধব মন্দির।
(ঙ) বকড়িয়া কুন্দের মসজিদ এবং মাজার। মন্দিরের উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছে।
(চ) আদমপুরায় অবস্থিত আধাই কাংরা- কি- মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(ছ) দরহারা মসজিদ। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
(জ) রাজঘাটের লাল খানের মাজার। মন্দিরের স্থানে নির্মিত।
পাদটীকা
১। এই প্রসঙ্গে হিন্দু শব্দটি সনাতন ধর্মের প্রতিটি বিভাগ—বৌদ্ধ, জৈন, শৈব, শাক্ত, বৈষ্ণব এবং বাদবাকি সকল বিভাগগুলিকে নির্দেশ করছে।
২। হিস্ট্রি অব ঔরঙ্গজেব, কলিকাতা, ১৯২৫- ৫২।
৩। মুঘল সাম্রাজ্যের ধর্মীয় নীতি, বোম্বে, ১৯৬২।
৪। দিলীপ পাদগাওঁকার, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সম্পাদক, সঠিক ইতিহাস উদ্ধৃত প্রসঙ্গে লেখককে পরামর্শ জ্ঞাপন করেন। স্বভাবতই এই বিখ্যাত দৈনিকটিকে তিনি কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদদের ছদ্মবেশ ধারণকারী ঐতিহাসিকরূপে প্রকাশের একটি মাধ্যমে পরিণত করেন। যদি আপনার প্রয়োজন হয় তবে বলা যাক, জেএনইউ এর বরণীয় ব্যক্তিদের ব্যবহার করে পাঠকবর্গকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে কিছুটা শিক্ষাগত কাজে সময় ব্যয় করতে। কিন্তু তাঁদের পরিচয়, জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য প্রমাণ করে যে তাঁরা স্ট্যালিনবাদী ঐতিহাসিক। তাঁদের আদর্শগত সহোদরেরা কিছু বিশেষ খবর ও প্রকাশনা সংস্থায় আছেন, যেখান থেকে তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলি যথাযথভাবে পেশ করা হয়। টাইমস অফ ইন্ডিয়াও ঠিক একই কাজ করে; এর সম্পাদকীয় প্রবন্ধ, মুখ্য প্রতিবেদন, বিশেষ প্রতিবেদন—শুধুমাত্র রামজন্মভূমিই নয়, হিন্দু মতাদর্শের বিরুদ্ধেও যেন সমস্তটাই বিষ উদ্গীরণ করছে। এই ভাবতত্ত্বের সঙ্গে জড়িত যেকোনো কিছুকেই অত্যন্ত সচেতনভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। (টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ১১ নভেম্বর ১৯৮৯, পত্র)।
৫। ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক পরিদর্শন, বার্ষিক সমীক্ষা ১৯২৫-২৬, পৃষ্ঠা ১২৯-৩০
৬। তদেব, পৃষ্ঠা-১২৯
৭ তদেব, পৃষ্ঠা- ১২৮
৮ তদেব, ১৯০৭-০৮, পৃষ্ঠা- ১১৩
৯ তদেব, পৃষ্ঠা- ১১৪
১০ তদেব, পৃষ্ঠা- ১১৪-১৫। প্রায়োগিক বর্ণনা বাদ দেওয়া হয়েছে এবং বিস্তারিত বিবরণ যুক্ত করা হয়েছে।
১১ তদেব, পৃষ্ঠা- ১১৬
১২ তদেব, পৃষ্ঠা- ১২০
১৩ তদেব, পৃষ্ঠা- ১২৬
১৪ তদেব, পৃষ্ঠা- ৬১
১৫ তদেব, ১৯০৭-০৮, পৃষ্ঠা- ৪৭ থেকে ৭২
১৬ তদেব, ১৯০৩-০৪, পৃষ্ঠা- ৮৬
১৭ তদেব, ১৯০২-০৩, পৃষ্ঠা- ৫২
১৮ তদেব, ১৯২১-২২, পৃষ্ঠা- ৮৩
১৯ তদেব, পৃষ্ঠা- ৮৪
২০ তদেব, ১৯০২-০৩, পৃষ্ঠা- ৫৬
২১ তদেব, ১৯৩৩-৩৪, পৃষ্ঠা ৩৬-৩৭
২২ তদেব, ১৯০২-০৩, পৃষ্ঠা ১৬-১৭
২৩ তদেব, ১৯৯৩-৯৪, পৃষ্ঠা ৩১-৩২
২৪ তদেব, ১৯০২-০৩, পৃষ্ঠা ১৭-১৮
২৫ তদেব, ১৯০৩-০৪, পৃষ্ঠা ৪৩
২৬ তদেব, পৃষ্ঠা-৬৩
২৭ তদেব, ১৯০৪-০৫, পৃষ্ঠা ২৪
২৮ তদেব, ১৯২৯-৩০, পৃষ্ঠা ২৯
২৯ তদেব, ১৯২৮-২৯, পৃষ্ঠা ১৬৭-৬৮
৩০ রবার্ট সিওয়েল, আ ফরগটন এম্পায়ার, নতুন দিল্লী পুনর্মুদ্রণ, ১৯৬২, পৃষ্ঠা ১৯৯-২০০
৩১ ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক নিরীক্ষা, খণ্ড- ১: ১৮৬২-৬৩-৬৪-৬৫ বছরে চারটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়; বারাণসী পুনর্মুদ্রণ ১৯৭২ পৃষ্ঠা ৪৪০-৪১।
৩২ রতন প্রিভদাস হিঙ্গরানী, সূচকের প্রতি নির্দেশ করেন, নতুন দিল্লি, ১৯৭৮, পৃষ্ঠা ১৭-২৬২।
৩৩ স্বাধীনতার পরেই ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক পরিদর্শন বিভাগ এই ফলাফলের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেয়, যার মূলনীতিগুলি আপাতভাবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গৃহীত হয়।
৩৪ এস. এ. এ. রিজবি, ভারতীয় সুফিতত্ত্বের ইতিহাস, খণ্ড-১, নয়া দিল্লী ১৯৭৮, পৃষ্ঠা ১৮৯।
৩৫ গুলাম আব্দুল কাদির নাজির, বাহর-ই-আজম বা আজম শাহ নবাব ওয়ালাজার ভ্রমণকাহিনী ১৮২৩, মাদ্রাজ ১৯৬০, পৃষ্ঠা ১২৮।
৩৬ তদেব, পৃষ্ঠা ৬৪
৩৭ তদেব, পৃষ্ঠা ১২৮।
৩৮ বন্ধনীর মধ্যে দেওয়া তারিখগুলি খ্রিস্টান যুগের কথা নির্দেশ করছে।
পরিশিষ্ট
বাবরি মসজিদ-রামজন্মভূমি বিতর্ককে অজুহাত করে, মুসলিম দাঙ্গাকারী দল সারা বাংলাদেশে দাঙ্গা বাঁধিয়ে দিয়েছিল। তারা বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু ঘরবাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভাঙচুর চালায় ও জ্বালিয়ে দেয়, বহু হিন্দুদের জখম করে এবং হত্যাও করা হয়। একটিও হিন্দু মন্দির বা মঠ তাদের প্রতিহিংসার লেলিহান শিখা থেকে রেহাই পায়নি।
২৯এ অক্টোবর ১৯৮৯-তে শুরু হওয়া এই দাঙ্গাকারীদের উত্তেজনা চরমে পৌঁছোয় নভেম্বরের ৯ এবং ১০ তারিখে অযোধ্যায় শিলান্যাসের অনুষ্ঠানের পর। বহু মন্দির ভেঙ্গে ফেলা হয়, জ্বালিয়ে দেওয়া এবং আরও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। দেব-দেবীদের মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা হয় ও ছুঁড়ে ফেলা হয়। মন্দিরের পুরোহিতদের মারধর করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার দুই সপ্তাহ অবধি এর বিরুদ্ধে কোনোপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তারপর সরকার এই ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করান। এই সকল দাঙ্গা, ভাঙচুরের পিছনে সরকারের কোনো ইন্ধন ছিল না জাহির করতে বাংলাদেশ সরকার বহু মন্দিরের মেরামতের আদেশ জারি করেন।
আহৃত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নীচে একটি প্রতিবেদন পেশ করেছি।
বাংলাদেশে হওয়া সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের কিছু দৃষ্টান্ত
ভারতে বাবরি মসজিদ/রামমন্দির সংক্রান্ত পরিস্থিতি
(হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সংহতি সঙ্ঘ দ্বারা বাংলায় প্রকাশিত অংশের অনুবাদ, ৫৩, তেজতুরি বাজার, ঢাকা, বাংলাদেশ)
জেলা: নরসিংদী
১। ১১ নভেম্বর, ১৯৮৯: চিনিসপুরের ৪০০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক কালী মন্দির লুণ্ঠন করা হয় এবং জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
২। একই দিনে ব্রহ্মণাদির শিব মন্দির লুণ্ঠিত হয় এবং আগুন লাগানো হয়।
৩। একই দিনে ভেলানগরের কালী মন্দির লুণ্ঠিত হয় এবং আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
৪। একই দিনে নরসিংদী শহরের নিকট ভেলানগর বাজারে অনেক দোকানে লুণ্ঠন, ভাঙচুর করা হয় এবং অনেক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
৫। নরসিংদী শহরে ভগবত আশ্রমে ওই একই দিনে আক্রমণ হয়।
৬। নরসিংদী শহরে কালী মন্দিরের ওই একদিনে সশস্ত্র আক্রমণ করা হয় (১১-১১-৮৯)।
৭। ৮ই নভেম্বর ১৯৮৯, রায়পুর উপজেলার অন্তর্গত শ্রীরামপুর বাজারের মধ্যে অবস্থিত মিলন কালী মন্দিরে আক্রমণ করা হয় এবং দেবতার মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়।
৮। একই দিনে রায়পুর বাজারের মন্দিরের আক্রমণ হয় এবং দেবতার মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়।
৯। একই দিনে রায়পুর উপজেলার অন্তর্গত হাসিমপুর গ্রামের বহু বাড়িতে আক্রমণ, লুণ্ঠন চালানো হয় এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
জেলা: টাঙ্গাইল
১০। ১০ এবং ১১ই নভেম্বর ১৯৮৯, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন মন্দিরে আক্রমণ, লুণ্ঠন করা হয় এবং জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
১১। টাঙ্গাইলের বাজিতপুর গ্রামে বহু ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িঘরে লুণ্ঠন চলে, আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং মন্দির ও দেবতার মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়।
১২। দেলদুয়ার উপজেলার অন্তর্গত পাকরাইল গ্রামের মন্দিরে আক্রমণ চলে এবং পরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় মন্দিরে।
১৩। দেলদুয়ার সঙ্ঘের অন্তর্গত আরও অনেক গ্রামের মন্দিরগুলিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
১৪। টাঙ্গাইলের পাকুতিয়া গ্রামের একটি মন্দির আক্রমণ করা হয় এবং পরে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
১৫। বাজিতপুর গ্রামের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তাঁত কারিগরদের ঘরে ঘরে আক্রমণ চালানো হয় এবং তাঁদের এই হস্তশিল্পকে ধ্বংস করা হয়।
১৬। টাঙ্গাইলের আকুয়া গ্রামে একটি মন্দির ধ্বংস করা হয় এবং এর ভিত্তিও নির্মূল করা হয়।
১৭। কালিহাটি গ্রামেও ঠিক একটি ঘটনা ঘটে।
১৮। বাংলাদেশ টেক্সটাইল কর্পোরেশনের অধীনস্থ মেঘনা টেক্সটাইল মিলের সহকারী মুখ্য মেডিক্যাল অফিসার শ্রী দীনেশ বসাকের ১০ই নভেম্বর টঙ্গীতে মৃত্যু হয়। মিল কর্তৃপক্ষ তাঁর দেহটিকে সৎকারের জন্য টাঙ্গাইলে পাঠায় এবং সেখানে একদল আক্রমণকারী তার গাড়িটির উপর আক্রমণ করে এবং তার সৎকারে বাধা দিতে চেষ্টা করেছিল।
জেলা : মৌলবিবাজার
১৯। ১০ই নভেম্বর ১৯৮৯, শ্রীমঙ্গল উপজেলার অন্তর্গত মৌলবী বাজার জেলায় রামকৃষ্ণ মিশন সহ বিভিন্ন মন্দির, মঙ্গলেশ্বরী কালীবাড়ি, দুর্গা-বাড়ি, জগন্নাথের আখড়া এবং কালাচাঁদ মন্দিরে আক্রমণ, ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে শ্রীমঙ্গলে একটি মন্দিরও অবশিষ্ট নেই।
২০। ১০ই নভেম্বর ১৯৮৯, মৌলাবি বাজারের রামকৃষ্ণ মিশনে আক্রমণ হয় ও পরে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
২১। একই দিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন হিন্দু বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও লুঠপাত হয়। আর এই সমস্ত কিছু ঘটেছে আরক্ষকদের সামনেই।
জেলা : নওগাঁ
২২। ১০ই নভেম্বর ১৯৮৯, নওগাঁ জেলার বিভিন্ন মন্দিরে আক্রমণ ও ভাঙচুর হয়।
২৩। নওগাঁও -এর পার্শ্ববর্তী হিন্দু গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ও ভয় ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা প্রাণের ভয়ে লুকিয়ে পড়ে।
জেলা : সিরাজগঞ্জ
২৪। ১১ই নভেম্বর ১৯৮৯, গোধূলি লগ্নে রায়গড় উপজেলার ছায়াইকোনা মসজিদ থেকে একটি বিরাট বড়ো আক্রমণকারীর দল উত্তেজক স্লোগান দিতে দিতে বেরোয় এবং আশেপাশের বাড়িঘর ও দোকানগুলিতে ভাঙচুর ও লুঠতরাজ চালায়।
জেলা : রংপুর
২৫। ১০ই নভেম্বর ১৯৮৯, শুক্রবার বিকেল ৪ টের সময় একটি বিশাল মিছিল উত্তেজনাপূর্ণ স্লোগান দিতে দিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দিরগুলিতে আক্রমণ করতে এগিয়ে যায়।
২৬। একই দিনে স্টেশন রোডের কাছে বিখ্যাত রংপুর ধর্মসভা ভবনে আক্রমণ ও ভাঙচুর চলে।
২৭। রংপুরের একমাত্র কালী মন্দির শ্রী শ্রী করুণাময়ী কালীবাড়িতে আক্রমণ হয়।
২৮। কলেজ রোডের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী আশ্রমে আক্রমণ হয় এবং গুরুত্বরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
জেলা : নেত্রকোনা
২৯। নেত্রকোনা শহরে বড়বাজার কালী মন্দিরে আক্রমণ, ভাঙচুর ও পরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
জেলা : মাগুরা
৩০। মাগুরা সদর উপজেলার বাগিয়া সঙ্ঘের বাগিয়া ঠাকুর বাড়ির জগদ্ধাত্রী মন্দিরে পুজোর অনুষ্ঠানে ৬ই নভেম্বর ১৯৮৯ সালে সশস্ত্র আক্রমণ হয়। রঞ্জিত রায় ও জগজিৎ রায়ের হত্যা হয় এবং মন্দিরের দেবতার মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়। গুরুতরভাবে আহত সমর রায়কে ঢাকা প্রতিবন্ধী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
জেলা : বরিশাল
৩১। ১৫ই নভেম্বর বরিশাল শহরের চন্দনপাড়ার মন্দিরে ভাঙচুর হয় এবং মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
৩২। ২ নভেম্বর ১৯৮৯, উজিরপুর উপজেলার ধামুড়া গ্রামে হাজি মোবাসার উদ্দীনের অধীনস্থ একদল সশস্ত্র আততায়ী সন্ধ্যা ৮ টার সময় কালী মন্দিরের প্রতিমা ছুঁড়ে ভেঙে ফেলে মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
৩৩। ১৭ই নভেম্বর বি. এম. কলেজের হিন্দু হোস্টেলে শিক্ষার্থীদেরকে নির্বিচারে মারধর করে হোস্টেল থেকে বার করে দেওয়া হয়।
৩৪। ১৩ই নভেম্বর সদর বেতাগি উপজেলার মন্দিরে আক্রমণ ও হিন্দু দোকানগুলিতে লুঠপাত হয়। আগৈলঝাড়া কালী মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হয় এবং মন্দিরের প্রতিমা চুরি যায়।
জেলা : চট্টগ্রাম
৩৫। ১০ই নভেম্বর চট্টগ্রাম শহরে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিতে দিতে মিছিল বের হয়।
৩৬। রাউজান উপজেলার জগতপুর আশ্রমে আক্রমণ হয়।
৩৭। চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক কৈবাল্যধাম আশ্রমে আক্রমণ হয়।
৩৮। পটিয়া উপজেলার সাধনপুর ও লঙ্কারছার গ্রামে ২৫ টির মতো মন্দিরে ভাঙচুর, আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানকার মূর্তিগুলিকেও ভেঙে ফেলা হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক বাড়ি ও দোকানেও আক্রমণ ও লুঠপাট হয়।
৩৯। রাজন উপজেলার উত্তর সাত্তা ও ফতেনগর গ্রাম এবং ফটিকচর উপজেলার নানুপুর, বক্তপুর, এস. রসঙ্গীরী ও আজাদী বাজারের বিভিন্ন মন্দিরে আক্রমণ করা হয়।
৪০। ২৯ ও ৩১এ অক্টোবর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রাজপথে উনায়নগর পাটিয়া উপজেলার একটি গ্রামে একটি বাস দাঁড় করিয়ে সেখানকার হিন্দু ও বৌদ্ধ যাত্রীদের মারধর করা হয়। বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরের বৌদ্ধ মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়।
৪১। রাজাউন উপজেলার গুজরা গ্রামে ২৯এ অক্টোবর ও ৯ই নভেম্বর জলকুমারী বাড়ি, রাধা- গোবিন্দের আশ্রম ও অন্যান্য মন্দিরে আক্রমণ হয় ও বারংবার আগুন লাগানো হয়।
৪২। বাঁশখালী উপজেলার কালিমন্দিরে আক্রমণ হয়।
৪৩। ১০ই নভেম্বর পাটিঙ্গা কাঠ-ঘর নামক একটি জায়গায় সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের ভয়ে বহু হিন্দু পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ত্যাগ করে চলে যায়। সানদ্বীপের জগন্নাথ- বাড়ি, কালীবাড়ি ও চার-আনি সিদ্ধেশ্বরী কালীবাড়ির প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়।
জেলা : কক্সবাজার
৪৪। কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার মন্দিরগুলিতে আক্রমণ হয়।
জেলা : নোয়াখালী
৪৫। হাতিয়া শহরের অনেক মন্দিরে আক্রমণ হয়। বেগমগঞ্জ উপজেলার বাজরায় হরি মন্দির ধ্বংস করা হয়।
জেলা : জামালপুর
৪৬। জামালপুর শহরের বসাকপাড়া মন্দিরটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হয়।
জেলা : চাঁদপুর
৪৭। ১০ই নভেম্বর চাঁদপুর অঞ্চলের পুরানবাজারে অনেক দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এবং চাঁদপুরের শহড়তলী এলাকার মন্দিরগুলিতে আক্রমণ চালানো হয়। হাবিগঞ্জের রাজা লক্ষ্মী- নারায়ণের মন্দির পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
জেলা : নীলফামারি
৪৮। সৈদপুর অঞ্চলের অনেক মন্দিরে আক্রমণ ও গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।
জেলা : ঝালকাঠি
৪৯। ৯ই নভেম্বর ঝালাকাটি শহরের সব মন্দির ও হিন্দুদের বাড়ি ও দোকানগুলিতে আক্রমণ করা হয়।
৫০। কিছু আবাসন ও বিখ্যাত লোক কবি (চরণ দাস) মুকুন্দ দাসের বাড়িতে আক্রমণ করে ভেঙে ফেলা হয়।
জেলা : নারায়ণগঞ্জ
৫১। ১০ই নভেম্বর রামকৃষ্ণ মিশন ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন দোকানে আক্রমণ হয়।
জেলা : ঢাকা
৫২। ধামরাই ও সাভারের বহু মন্দিরে আক্রমণ হয়। ১০ই নভেম্বর ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে আক্রমণ হয়। ডেমরার একটি প্রাচীন শ্মশান নষ্ট করে ফেলা হয়। লালবাগ থানার অন্তর্গত নগর-বেল-তালি ঋষি-পাড়ায় বহু দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুঠপাট ও ভাঙচুর চলে।
জেলা : লক্ষ্মীপুর
৫৩। ১৪ই নভেম্বর ১৯৮৯, লক্ষ্মীপুর জেলার রাজঘাটি উপজেলার অন্তর্গত চারবাদাম, চার এলেক্সান্ডার, চার আলগি ও হাজারীঘাট সঙ্ঘের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩৬ টি বাড়ি, দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে লুঠপাট, ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়, মহিলাদের ধর্ষণ করে নগ্ন অবস্থায় ফেলে চলে যায়। এছাড়াও রাম ঠাকুর ও বুড়োকর্তার আশ্রম সহ ১১টি মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
জেলা : সিলেট
৫৪। ছটাকের ঐতিহাসিক মহাপ্রভুর আখড়ায় আক্রমণ হয় এবং মহাপ্রভুর মূর্তি ভাঙ্গন ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়।
জেলা : খুলনা
৫৫। ১৭ই নভেম্বর ১৯৮৯, খুলনা শহরে ধর্ম-সভা মন্দির, কয়লাঘাট কালীবাড়ি, বড়বাজার কালীবাড়ি এবং আরও বিভিন্ন মন্দিরে আক্রমণ ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বড়বাজার ও চিত্র মহলের সমস্ত হিন্দু দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে লুঠপাট হয়। হিন্দুপ্রধান এলাকা যেমন তুতপাড়া, বানিয়াখামার এবং বানরঘাটিতে সশস্ত্র আক্রমণ ও লুঠপাত, ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে থাকে।
জেলা : বাগেরহাট
৫৬। ১৭ই নভেম্বর ১৯৮৯, বাগেরহাট রামকৃষ্ণ মিশনের সমস্ত মন্দির সহ হরি মন্দিরে আক্রমণ হয় এবং রামকৃষ্ণের মূর্তি ভেঙে দেয়। এই ধ্বংসলীলা পৌঁছে যায় ফতেপুর কালীবাড়ি, বেমতা কালীমন্দির, গিলেতলা হরি এবং কালী মন্দির, কারাপাড়া কালীমন্দির, পাতারপাড়া কালীমন্দিরে এবং এক বিখ্যাত কালো শিবলিঙ্গ চুরি হয়ে যায়।
জেলা : ময়মনসিংহ
৫৭। মুক্তগাছি জমিদার-বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকার বাড়িগুলিতে সশস্ত্র আক্রমণ, লুণ্ঠন ও ভাঙচুর চলে।
জেলা : ফেনী
৫৮। ছাগাল-নাইয়া উপজেলার অন্তর্গত ৯ই নভেম্বর রাধানগর সঙ্ঘ ও ১৪ই নভেম্বর ধালিয়া সঙ্ঘের মন্দিরগুলিতে ভাঙচুর চলে।
৫৯। সোনাগাছি উপজেলার ছার সোনারপুর গ্রামে মন্দিরে আক্রমণ হয় এবং ১২ই নভেম্বর পর্যন্ত ভাঙচুর চলে। দেশেরহাট ও সেমেরখিল গ্রামে বহু মন্দিরের মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়।
৬০। দাঙ্গানভূইয়া উপজেলার হিরাপুর গ্রামে মা কালীর প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয়।
৬১। ফেনী থানার অন্তর্গত দৌলতপুর গ্রামে দেবী কালীর প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয়।
৬২। ছাগাল-নাইয়ার অন্তর্গত শুভাপুর বাজারের দক্ষিণেশ্বরী কালী মন্দিরের মায়ের প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয় এবং সেখানে লুঠপাত করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
জেলা : ভোলা
৬৩। ভোলা শহরে ১৭ই নভেম্বর ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দোকানগুলোতে ভাঙচুর চলে এবং পরে জবরদস্তি হুমকি দিয়ে টাকা তোলা হয়।
জেলা : কুমিল্লা
৬৪। সরদ উপজেলার অন্তর্গত মুরাদপুর গ্রামে ১১ই নভেম্বর একটি মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। রামগঞ্জেও ঠিক একই ঘটনা ঘটে।
৬৫। ১১ই নভেম্বর, কুমিল্লা শহরের রাম ঠাকুর উৎসবে ইঁট-পাথরের বর্ষণ হয় এবং এতে অনেক মানুষ আহতও হন।
৬৬। ১২ ই নভেম্বর, বাড়ম্বারা উপজেলার অন্তর্গত গহীন-খালি গ্রামে কালী মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মুরাদনগর উপজেলার অন্তর্গত রামচন্দ্রপুর বাজারে একটি মন্দির নষ্ট করে দেওয়া হয়।
জেলা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া
৬৭। নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ও শ্রীগ্রামে বিভিন্ন মন্দিরে আক্রমণ হয়।
৬৮। ১১ই নভেম্বর, মাদারীপুর শহরে পুরানবাজার হরি মন্দির ভেঙে ফেলা হয় এবং লঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিছিলও বের হয়।
৬৯। কালকিনির ধামুসা আশ্রম ভেঙে ফেলা হয়।
জেলা : মুন্সীগঞ্জ
৭০। বালিগাঁও-এর কালী মন্দিরে ভাঙচুর হয়।
জেলা : মানিকগঞ্জ
৭১। সাদুড়িয়া উপজেলার সাদুড়িয়াতে এবং বুড়িয়ারা গ্রামের মন্দিরে আক্রমণ হয় এবং সাথে ভাঙচুরও চলে।
জেলা : পা
৭২। পাবনার শহরে মন্দির, দোকান এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিতে আক্রমণ এবং প্রকাশ্যে লুঠতরাজ চলে।
জেলা : হবিগঞ্জ
৭৩। হবিগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরের উপর আক্রমণ হয়।