ভারতীয় নৌসেনার গর্বের সাবমেরিন আইএনএস কালভারি। মেক ইন ইন্ডিয়া’র উদাহরণও বটে। মুম্বইয়ের ম্যাজাগন ডক লিমিটেড তৈরি করেছে এটি। ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে বারবার যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে ইসলামাবাদ। এই অবস্থায় ভারতীয় নৌবাহিনীকেও হাই-অ্যালার্টে রেখেছে ভারত। তবে হঠাত যে কোনও ধরনের পাকিস্তানের আগ্রাসন রুখে দিতে আইএনএস কালভারিই যথেষ্ট। কারণ ভারতের গর্বের এই সাবমেরিনটি শত্রুপক্ষের আড়ালে থেকে মুহূর্তে ধ্বংস করে দিতে পারে টার্গেট-
এই সাবমেরিন সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন:
১. এটি ভারতীয় নৌসেনার প্রথম সাবমেরিন, যাতে থাকছে এয়ার ইনডিপেন্ডেন্ট প্রপালসান। অর্থাৎ, এটি চালানোর জন্য পরিবেশ থেকে কোনও অক্সিজেন নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। ফলে আরও বেশি সময় ধরে এটি জলের তলায় থাকতে পারবে আর শত্রুরা কোনোভাবেই এটিকে চিহ্নিত করতে পারবে না।
২. এটি একটি অ্যাটাক সাবমেরিন। এতে ১৮টি টর্পেডো বহনের ক্ষমতা রয়েছে। ডিআরডিও-এর জন্য বিশেষ ধরনের টর্পেডো তৈরি করেছে, যার নাম ‘বরুণাস্ত্র’। এর ওজন হবে ১৫০০ কেজি। আট মিটার লম্বা টর্পেডোগুলির রেঞ্জ ৪০ কিলোমিটার। এটি এয়ারক্রাফট কেরিয়ার ধ্বংস করতেও সক্ষম।
৩. কালভারিতে থাকছে ১৮টি অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, যা ১৮০ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে থাকা যে কোনও শত্রু জাহাজকে ধ্বংস করতে সক্ষম। এই মিসাইল গুলি ফাইনাল টার্গেটে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত শত্রুপক্ষের নজরে আসবে না।
৪. নিউক্লিয়ার সাবমেরিনেও একটা বিশেষ শব্দ হয়। কিন্তু আইএনএস কালভারির এয়ার ইনডিপেন্ডেন্ট প্রপালসান সিস্টেম থাকায় ২১ দিন পর্যন্ত এটি নিঃশব্দে বিচরণ করতে পারবে সমুদ্রের তলায়।
৫. জলের উপর ভেসে থাকা অবস্থায় এই সাবমেরিনের রেঞ্জ ১২০০০ কিলোমিটার আর জলের তলায় ১০০০ কিলোমিটার। সুতরাং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নজরদারি চালাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
৬. পুরোপুরিভাবে ডুবে থাকা অবস্থায় এই সাবমেরিনের রেঞ্জ ৩৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
৭. এটি ৩৫০ মিটার পর্যন্ত গভীরে যেতে পারে।