SCI Disinvestment: আরও এক সরকারি সংস্থার বিলগ্নীকরণের পথে কেন্দ্র, শীঘ্রই জানানো হবে বিডের আহ্বান

সরকার এই বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার জন্য আর্থিক বিডের আহ্বান জানাতে পারে৷ পিটিআই সূত্রে খবর, কোম্পানির ‘নন-কোর’ সম্পদ সংস্থা থেকে আলাদা করা হয়৷ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সংস্থার বিলগ্নীকরণ করার জন্য আর্থিক দর আহ্বান করা হবে। কৌশলগত বিক্রয় প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে এই বিডের আহ্বান জানাবে কেন্দ্র। এই প্রক্রিয়ায় সরকার শিপিং হাউস এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট সহ এসসিআই-এর বেশ কিছু নন-কোর অ্যাসেট হস্তান্তর করেছে শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ল্যান্ড লিমিটেডকে৷

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেন, ‘নন-কোর অ্যাসেট ডিমার্জার প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লাগে। আমরা তিন-চার মাসের মধ্যে আর্থিক দরপত্র আহ্বান করার অবস্থানে থাকব।’ এর আগে গত সপ্তাহে শিপিং কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে কোম্পানির নন-কোর সম্পদগুলি শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ল্যান্ড লিমিটেডকে স্থানান্তর করা হয়েছিল। হস্তান্তরিত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মুম্বইয়ের শিপিং হাউস এবং পাওয়াইয়ের মেরিটাইম ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। এসসিআই-এর তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে নন-কোর সম্পদের মূল্য ২৩৯২ কোটি টাকা।

শিপিং কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদ গত বছরের অগস্টে কোম্পানির নন-কোর অ্যাসেট লিকুইডেট করার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিল। এর পরে ২০২১ সালের নভেম্বরে SCILAL (শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ল্যান্ড লিমিটেড) গঠিত হয়েছিল। বন্দর, নৌপরিবহণ এবং জলপথ মন্ত্রক ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে শিপিং কর্পোরেশনকে নন-কোর সম্পদগুলিকে সংস্থা থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছিল। এর আগে গত বছরের মার্চে শিপিং কর্পোরেশনের বেসরকারিকরণের জন্য বেশ কয়েকটি দরপত্র পেয়েছিল সরকার।

এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শিপিং কর্পোরেশনের কৌশলগত বিনিয়োগের জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিনিয়োগ এবং পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ (DIPAM) কোম্পানিতে সরকারের সম্পূর্ণ ৬৩.৭৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে দরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। শেয়ার বিক্রির পাশাপাশি কোম্পানির ব্যবস্থাপনাও হস্তান্তর করতে হবে। এই আবহে শিপিং কর্পোরেশনের বেসরকারীকরণ চলতি অর্থ বছরে শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাবলিক সেক্টরের উদ্যোগের বিনিয়োগ থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.