বাঙালিদের জোর হিন্দি শেখানো নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে যতই বিতর্ক উঠে আসুক, বাঙালিদের হৃদয় ছুঁতে সেই বাংলাকেই হাতিয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাই যে টার্গেট, বুঝিয়ে দিলেন আরও একবার।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই প্রত্যেক বছর স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতিবারই তাঁর বক্তব্য কোনও না কোনও চমক থাকে। দ্বিতীয়বার নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবারই ছিল তাঁর প্রথম ভাষণ। এই নিয়ে একটানা ষষ্ঠবার ভাষণ দিলেন তিনি। ছুঁয়ে ফেললেন বাজপেয়ীর রেকর্ড।
এবারের ভাষণে একাধিক গঠনমূলক বিষয়ে জোর দিয়েছেন তিনি। বলেছেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মত বিষয়ে। তবে, সেই বার্তা এবার পৌঁছে দিচ্ছেন আঞ্চলিক ভাষাতেও। তাই নিজের ভাষণের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদী। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন সেই ভাষণ। অর্থাৎ ১৫ অগস্ট লালকেল্লা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার যে ভাষণ মোদী দিয়েছেন, সেটাই এবার শোনা যাবে বাংলায়। শুধু বাংলা নয়, তামিল, তেলেগু, কন্নড় ভাষাতেও সেই বক্তব্য প্রকাশ করেছেন তিনি।
কিছুদিন আগেই সিলেবাসে হিন্দি যোগ করা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। আঞ্চলিকতা কি মুছে ফেলতে চাইছে বিজেপি? প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গর্জে উঠেছিলেন স্টালিনও। তবে মোদী সেই গুরুত্ব বোঝালেন তাঁর ভাষণের অনুবাদ প্রকাশ করে।
স্বাধীনতা দিবসে একের পর এক ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীর আশা পূরণের পথে হেঁটেছেন প্রধানমন্ত্রী। পরিকাঠামো উন্নয়ন বা নির্মাণকাজের জন্য ১০০ লক্ষ কোটি টাকা আলাদা করা আছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদী বলেন, ৭০ বছরে ভারতের অর্থনীতি ২ ট্রিলিয়নে পৌঁছেছিল। আর গত পাঁচ বছরে ২ থেকে ৩ ট্রিলিয়ন হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ পাঁচ বছরেই বেড়ে ১ ট্রিলিয়ন। এবার খুব শীঘ্রই অর্থনীতি পাঁচ ট্রিলিয়নে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে আশা দেন তিনি।
দেশের সেনাবাহিনীর জন্য নতুন পদ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্স- তিন বাহিনীর জন্য থাকবে একটি পদ ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’। ২০ বছর ধরেই এই দাবি উঠছিল। কার্গিল যুদ্ধের পর থেকেই এমন দাবি উঠেছিল। আর সেই সিদ্ধান্তের কথাই এদিন ঘোষণা করেন মোদী।