যষ্টিতে মধু, মানে এমন লাঠি যাতে মধুর আস্বাদন। কথাটা কিন্তু জ্যৈষ্ঠী মধু নয়, মানে জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রাপ্ত মধু, এমন অর্থ নয়। ফ্যাবেসী পরিবারের (Family: Fabaceae) এক ধরণের গুল্ম ( Perennial Shrub), যাতে গোলাপী বা খানিক বেগুনি রঙের ফুল (Pink colour flower)। এদের শেকড় অংশটি বেশ মোটাসোটা, গোলাকার, অনেকটা যষ্টি বা লাঠির মত; এই শিকড়-ই এই গাছ থেকে চয়ন করা হয় (Root is harvested for medicinal purpose which is sweet in taste).
এই শেকড়ের টুকরো মুখে দিয়ে চিবিয়ে নিলে মিষ্টি লাগে, তাই মিষ্টি পান তৈরি করতে অনেকে ব্যবহার করেন এর ছোট্ট টুকরো। সচরাচর যে মিষ্টিপান তৈরি হয়, তাতে শর্করার আধিক্য, বারাবার মিষ্টিপান খাওয়া মানেই শরীরে বারবার চিনি নেওয়া, তাই তার বদলে ষষ্টিমধু দেওয়া পান পছন্দ করেন অনেক ডায়াবেটিসের রোগী।
এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Glycyrrhiza glabra, এর আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ইউরোপ এবং এশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে (Native to Middle East, Southern Europe, parts of Asia). পৃথিবীর কয়েকটি দেশ যষ্টিমধু গাছের ছবি দেওয়া ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
এর মধ্যে আলজেরিয়া ২০১২ সালে এবং কিরঘিজিস্থান ২০১৩ সালে বিশেষ ডাকটিকিট প্রকাশ করে (Glycyrrhiza Philately published in Algeria in 2012 and Kyrgyzstan in 2013)। প্রস্তুত পোষ্টে তার ছবি (Postage stamps) এবং প্রথম দিনের খাম (First Day Cover) পরিবেশিত হল। এই দেশ দুটি ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে সম্ভবত তাদের দেশে এই ফসলের আদি বাসভূমি তা প্রচারে আনতে এবং পরবর্তীকালে পেটেন্ট সংক্রান্ত সুবিধা পেতে)
যষ্টিমধু আলসারের মহৌষধ, আলসার প্রতিরোধ ও নিরাময়ে এর শেকড়ের নির্যাস ব্যবহৃত হয়। এছাড়া সর্দি-কফ নিরাময়ে এর ব্যবহার অধিক; সঙ্গীত শিল্পীরা এর শিকড়-চূর্ণ মুখে দিয়ে রাখেন, কারণ তাতে কণ্ঠসঙ্গীত কর্কশতা মুক্ত হয়। শ্বাসযন্ত্রে আক্রান্ত জীবাণু, বিশেষত ভাইরাস বিমুক্তিতে যষ্টিমধুর ব্যবহার বহু প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যষ্টিমধুর জুড়ি মেলা ভার। (Licorice root is used for gastrointestinal ailments, stomach ulcers. It is used as anti-inflammatory medicine. It has immune boosting properties)