চার্চে আসা নাবালকদের যৌন নির্যাতন করতেন। এই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। অবশেষে কোল্লামের ওই চার্চের পাদ্রীকে ১৮ বছরের জেলের সাজা শোনাল আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত ওই পাদ্রীর নাম ফাদার থমাস পারেক্কুলাম(৩৫)। চেন্নাইয়ের এসডিএম মাইনর সোসাইটির অধীনে থাকা কোল্লামের এক চার্চে কর্মরত ছিলেন তিনি। চার্চে আসা ১৬ বছর বয়সী এক নাবালককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের হয় পুথুর থানায়।
তিরুবন্তপুরমের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার দফতরেও অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি যৌথভাবে তদন্তে নামে। তদন্তে উঠে আসে যে শুধু ওই নাবালক নয়, আরও তিন জন নাবালক ছাত্রের উপরে যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন ওই পাদ্রী।
এরপরই ওঁই পাদ্রীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই মামলায় শুক্রবার ওই পাদ্রীকে ১৮ বছরের জেলের সাজা শোনালো কেরালার কোল্লাম জেলা আদালত। সেই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার ছাত্রকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।