তিব্বতের প্রেসিডেন্ট সেরিং নেহেরুর “হিন্দি চীনি ভাই ভাই’ নীতির সমালোচনা করলেন;

চীনের প্রতি ভারতের বর্তমান অবস্থানের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি সেরিং বলেছেন, “আমি মনে করি তিব্বত পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার অংশ হওয়ার বিষয়ে ভারত নেহেরুর নীতি পরিবর্তন করেছে। কারণ ভারতের বর্তমান অবস্থান হল যে যদি ভারতকে ‘এক চীন’ এর নীতি মেনে নিতে হয় তবে চীনকেও কাশ্মীর ও লাদাখ বিষয়ে অখন্ড ভারত নীতি মেনে নিতে হবে।

একটি প্রকাশ্য বিবৃতিতে তিব্বতের রাষ্ট্রপতি পেনপা সেরিং চীনের প্রতি জওহরলাল নেহরুর কূটনৈতিক নীতির এবং তিব্বতকে চীনের অংশ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সমালোচনা করেছেন। তিনি পন্ডিত নেহরুর চীন নীতির সাথে প্রধানমন্ত্রী মোদির চীন নীতির সাথে তুলনাও করেন।

তিব্বতের রাষ্ট্রপতি পেনপা সেরিং ২৯ শে এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন, বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের সাথে দেখা করতে। সেখানে একটি প্রেস কনফারেন্সে ভাষণ দেওয়ার সময় একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, তিব্বত নিয়ে জওহরলাল নেহরুর সিদ্ধান্তগুলি ছিলো তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির ফলাফল। এবং তার “চীনের প্রতি খুব বেশি বিশ্বাস এবং আস্থা” ছিল।

তিনি আরও বলেন‚ ” এর জন্য আমি শুধুমাত্র পন্ডিত নেহরুকে দোষ দিই না। আমরা বুঝি যে প্রতিটি জাতির কাছেই জাতীয় স্বার্থ সবার আগে এবং তিনি সেই সময়ে ভারতের জন্য যা ভাল মনে করেছিলেন তাই করেছিলেন।” তিনি উল্লেখ করেন যে শুধু ভারত নয়, আরও কয়েকটি দেশও তিব্বত জাতির উপর চীনের দাবি স্বীকার করে নিয়েছে।

তিব্বতের রাষ্ট্রপতি ভারত-চীন সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কেও একটি বিবৃতি দিয়েছেন এবং বলেছেন যে ২০১৪ সাল থেকে ভারতের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি সেরিং বলেছেন, “আমি মনে করি তিব্বত পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার অংশ হওয়ার বিষয়ে ভারত নেহেরুর নীতি পরিবর্তন করেছে। কারণ ভারতের বর্তমান অবস্থান হল যে যদি ভারতকে ‘এক চীন’ এর নীতি মেনে নিতে হয় তবে চীনকেও কাশ্মীর ও লাদাখ বিষয়ে অখন্ড ভারত নীতি মেনে নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.