ফের রাজ্যকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার তাঁর নিশানায় বাংলার বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থা। শুভেন্দু বলেন, ‘বার্ন ইউনিট না থাকা গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত্যু হয় সংখ্যালঘু মহিলার। আর সুস্থ নেতা ভর্তি থাকেন উডবার্ন ওয়ার্ডে’। বগটুই গ্রামে অগ্নিদগ্ধদের রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসা প্রসঙ্গে এই ভাষাতে সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
রবিবারই বীরভূমের বাগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। রামপুরহাট হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘উডবার্ন ওয়ার্ডে সুস্থ নেতারা থাকেন। আর যেখানে বার্ন ইউনিটের ব্যবস্থা নেই, সেই হাসপাতালে বগটুই সংখ্যালঘু অগ্নিদগ্ধ মহিলারা রেখেছেন’।
তিনি জানান, যেদিন হাসপাতালে বগটুইকাণ্ডে আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন, সেদিনই দেখেছিলেন অগ্নিদগ্ধ মহিলাদের শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটজনক। রামপুরহাট হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের পরিষেবা নেই। ফলে বগটুই গ্রামে অগ্নিদগ্ধদের ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি এবং চিকিৎসার অভাবে রোগীরা মারা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এপ্রসঙ্গেই নাম না করে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শাসকদলের নেতাদের একহাত নেন শুভেন্দু।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দফায়-দফায় দু-বার তিনি উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, সিবিআই হাজিরা এড়াতেই অসুস্থতার ‘নাটক’ করে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এর আগেও বর্তমান শাসকদলের অনেক নেতাকে সিবিআই তলব হতেই অসুস্থ হয়ে উডবার্ন ভর্তি হতে দেখা গিয়েছিল। যার জন্য সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই তলব করলে কলকাতা হাইকোর্ট কড়া নির্দেশ দেয়, অসুস্থ হলেও উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া যাবে না। অর্থাৎ বিরোধীদের অভিযোগকেই পরোক্ষে সমর্থন করে আদালত।