দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে একটি বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এই বৈঠকের খবর জানা গিয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী আরকে সিং, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং কয়লামন্ত্রী প্রহলাদ যোশীও এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাপপ্রবাহের মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবরের আবহে এই বৈঠক হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই কয়লার ঘাটতি নিয়ে গভীর সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতে। বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে কয়লার প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে দেশে। তবে রাজধানী দিল্লি সহ একাধিক জায়গার বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে কয়লার ঘাটতির কথা উঠে আসছে। এই আবহে ভারতীয় রেল প্রতিদিন প্রায় ১৬টি মেল/এক্সপ্রেস এবং যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে অতিরিক্ত কয়লা বহন করে নিয়ে যেতে পণ্যবাহী ট্রেনগুলিকে অতিরিক্ত প্যাসেজ দিতে এই পদক্ষেপ রেলের।
উত্তর ভারতের বেশ কিছু অংশ গ্রীষ্মের মাসগুলিতে প্রচণ্ড গরমের কারণে, দেশের বিদ্যুতের চাহিদা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। বিগত দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৩.২ শতাংশ বেড়ে ১৩৫.৪ বিলিয়ন কিলোওয়াট প্রতি ঘণ্টা হয়েছে। উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। নজিরবিহীন ভাবে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির জেরে এপ্রিল মাসে ব্যাপক বিদ্যুতের সংকট দেখা দেয়। কারণ বিদ্যুতের ইউটিলিটিগুলিতে কয়লার সরবরাহ কমে যাওয়ায় চাহিদা নিয়ন্ত্রণে সমস্যার মুখে পড়তে হয় সরকারকে। প্রসঙ্গত, বিদ্যুতের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় ২.৪১ বিলিয়ন ইউনিট বা ১.৮ শতাংশ কমেছে, যা অক্টোবর ২০১৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ।