প্রতি সন্ধ্যায় অণ্ডালে মুম্বই থেকে বিমান নামে। স্পাইসজেটের মুম্বই-দুর্গাপুরগামী বিমানটি শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মুম্বইয়ের বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ নাগাদ অণ্ডাল পৌঁছয়। কিন্তু রবিবার বিমানটি আগের দিনের তুলনায় মুম্বই থেকে কিছু ক্ষণ আগেই ছাড়ে। বিকেল ৪টে ৫৭ নাগাদ উড়ান শুরু করে বিমানটি। সেই হিসাব মেনে অণ্ডালের বিমানবন্দরে সন্ধ্যা ৭টা ১৭ নাগাদ অবতরণ করার কথা ছিল।
কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির দাপটে বিমান অবতরণের সময় সমস্যার সম্মুখীন হন বিমানচালক। প্রবল ঝাঁকুনিতে আহত হন যাত্রীরা। তথ্য বলছে, সে সময় এক ধাক্কায় ১২ হাজার মিটার উচ্চতা থেকে ৮ হাজার মিটার উচ্চতায় নেমে আসে বিমানটি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সওয়া ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ক্রমাগত তিন বার ঝাঁকুনির পর ধীরে ধীরে নীচে নামতে শুরু করে বিমানটি। শেষ পর্যন্ত অণ্ডাল বিমানবন্দরে সাবধানেই অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে।
ডিজিসিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনায় মোট ১৭ জন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৪ জন যাত্রী এবং তিন জন বিমানকর্মী। স্পাইসজেটের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘অবতরণের পরই ওঁদের চিকিৎসা করানো হয়। আপাতত সকলেই সুস্থ। কয়েক জনের চোট একটু গুরুতর ছিল।’’
এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই মনে করতে পারেন অজয় দেবগণ অভিনীত ছবি ‘রানওয়ে ৩৪’-এর কথা। যেখানে খুবই খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে বিমানটি। কিন্তু বিমানচালকের কুশলী ক্ষমতায় বিমানটিকে ঠিক মতো অবতরণ করানো যায়। এক যাত্রী বলছেন, ‘‘বিমানসেবিকা আমাদের বলেছিলেন সিট বেল্ট পরে নিতে। কিন্তু ঝাঁকুনিতে সেই বেল্ট ছিঁড়ে যায়। মাথায় চোট পেয়েছি।’’
আর এক যাত্রী মহম্মদ ইকবাল বলেন, ‘‘মনে হচ্ছিল, বিমানটা এ দিক থেকে ও দিক পর্যন্ত হেলে যাচ্ছে। সিটে বসে থাকা যাচ্ছিল না। উপরের লাগেজ কেবিন থেকে কারও কারও ব্যাগও পড়ল মাথায়।’’ আর এক যাত্রী বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছিল আকাশেই বোধ হয় বিমানটা উল্টে যাবে।’’
একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি হঠাৎ করে নেমে যাওয়ার সময় অভ্যন্তরে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।