ওয়াংখেড়ের ময়দানে দিল্লি ক্যাপিটালস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচ জিততেই হত দিল্লি ক্যাপিটালসকে। অপরদিকে, এই ম্যাচ জিতলে সাত জয়ের সঙ্গে প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যেত লখনউ।
এমন পরিস্থিতিতে, ডে ম্যাচের চলতি ধারা বজায় রেখে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। কুইন্টন ডি’কক লখনউয়ের হয়ে শুরুটা ভাল করলেও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ১৩ বলে ২৩ রান করে আউট হন তিনি। তবে ডি’ককের আউট হওয়ার পর রাহুল ও দীপক হুডা লখনউয়ে হাল ধরে নেন। দ্বিতীয় উইকেটে রাহুল-হুডা মিলে ৯৫ রান যোগ করেন। আবারও একটি অর্ধশতরান করেন রাহুল। হুডাও ৩৪ বলে ৫২ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেন।
রাহুল ৫১ বলে ৭৭ রানে আউট হন। রাহুল আউট হওয়ার পর লখনউয়ের রানের গতি কমে যায়। সাধারণত বিশাল বড় ছক্কা হাঁকাতে দক্ষ মার্কাস স্টইনিস ১৬ বলে মাত্র ১৭ রান করেন। ক্রুণাল পান্ডিয়া ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অবশ্য লখনউ তা সত্ত্বেও তিন উইকেটের বিনিময়ে ১৯৫ রানের বেশ বড় রান বোর্ডে তোলে। দিল্লির তরফে লখনউয়ের তিনটি উইকেটই নেন শার্দুল ঠাকুর।
১৯৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দিল্লি শুরুটা একেবারেই ভাল করেনি। দলগত ১৩ রানের মধ্যেই পৃথ্বী শ (৫) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৩), দুই ওপেনারকে হারায় দিল্লি। তবে মিচেল মার্শকে এদিন দারুণ ছন্দে দেখাচ্ছিল। ঋষভ পন্তের সঙ্গে মার্শ যখন ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল দিল্লি হয়তো সহজেই ম্যাচ জিতে যাবে। হঠাৎ করেই ছন্দপতন। কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বিরুদ্ধে বড় শট মারতে গিয়ে ২০ বলে ৩৭ রানে ডি’ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্শ। রিপ্লেতে দেখা যায় বল মার্শের ব্যাটেই লাগেনি, কিন্তু অজি তারকা কোনোরকম রিভিউ না নিয়েই সাজঘরে ফিরে যান।
মার্শের পর ললিত যাদবকে তিন রানে ফেরান রবি বিষ্ণোই, ৪৪ রানের ব্যাট করা পন্তের উইকেট ছিটকে দেন মহসিন খান। ২১ বলে ৩৫ করে খতরনাক দেখানো রোভম্যান পাওয়েলকেও ফেরান মহসিনই। ওই ওভারেই সপ্তম উইকেট হিসাবে দিল্লি শার্দুল ঠাকুরকে হারালে, দেওয়াল লিখন সাফ হয়ে উঠে। শেষের দিকে অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব ব্যাট ঘোরালেও, ছয় রানে পরাজিত হয় দিল্লি। অক্ষর ২৪ বলে ৪২ রান করেন, কুলদীপ ৮ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। লখনউয়ের হয়ে নির্ধারিত চার ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে চার উইকেট নিয়ে আবারও প্রভাবিত করলেন মহসিন।