আদালতের নির্দেশ। গাংনাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে কবর থেকে দেহ তুলে পাঠানো হল ময়নাতদন্তে। শনিবার কবর থেকে দেহ তোলা হয়। এরপর আরজিকর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট বাগচি জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে মৃতার দেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। তারপর ম্যাজিস্ট্রেটের যে সমস্ত নিয়ম আছে সেগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে।পুলিশকে বাকি রিপোর্ট দেওয়া আছে। পরবর্তী পদক্ষেপ আইন অনুসারে হবে।
গত ৬ই মার্চ নদিয়ার গাংনাপুরে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে কীটনাশক খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর ১৪ই মার্চ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে পরিবার অভিযোগ জানিয়েছিল, পুলিশ তাদের অভিযোগ নিতে চাইছে না। পরবর্তীক্ষেত্রে আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার।জনপ্রিয় খবর
এদিন দেহ তোলার সময় যাতে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেকারণে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গোটা এলাকাকে পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। ধীরে ধীরে মাটি খোঁড়া হয়। এরপর কবর থেকে দেহটি তুলে ফেলা হয়। পরে সেটিকে কফিনে ভরে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়।
এদিকে গাংনাপুর ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৬জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে পরবর্তী সময় অপর একজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃতার পরিবার। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে আগেই অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার।