দেশের একাধিক রাজ্যে রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় ইট, পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী গুলিও চলেছে। এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। কারও নাম না করে তিনি বলেন, ‘যে সমাজ হিংসা প্রিয়, তারা শেষের দিন গুনছে’।
মহারাষ্ট্রের অমরাবতীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভাগবত। সেখানে তিনি বলেন, ‘হিংসায় কারও ভাল হয় না। যে সব সমাজের হিংসা প্রিয়, তারা নিজেদের অন্তিম দিন গুনছে। আমাদের সবসময়ই অহিংস ও শান্তিপ্রিয় হতে হবে। এর জন্য সমস্ত সম্প্রদায়কে একসঙ্গে আনা ও মানবতা রক্ষা করা জরুরি। আমাদের সবাইকে এই কাজকে অগ্রাধিকার দিতে হবে’।
কাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বললেন ভাগবত? সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস ও বিরোধীদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, সঙ্ঘচালক কি সংখ্যালঘু সমাজকেই সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য দায়ী করে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন? যদিও ভাগবত কোনও জাতির নাম করেননি। তবে শিবসেনার সঞ্জয় রাউত ভাগবতের মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ভাগবত দু’ সপ্তাহ আগেই বলেছেন, ভারত শান্তির কথা বলবে, কিন্তু হাতে লাঠি ধরা থাকবে। কারণ সবাই ক্ষমতার ভাষাই বোঝে। কংগ্রেস নেতা মানিকম টেগোরের কটাক্ষ, ‘যে সংগঠন লাঠি চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়, ছুরি চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়, তারাই আবার অহিংসার কথা বলে’।