Coal Crisis: কয়লার জোগানে টান, দাবদাহে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল দেশ, পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা

কয়লা সঙ্কটের মধ্যে দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে চরম ভোগান্তিতে দেশের বেশ কিছু অংশ। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে টানা ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছোট শহর এবং গ্রামীণ এলাকায় এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৬৫টি চালু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ১০০টিতে মজুত করা কয়লার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। সূত্র অনুযায়ী, এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় করছে কেন্দ্র। অনেক সংস্থা অর্থের অভাবে সঠিক সময়ে কয়লা কিনতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার অনেক সংস্থা সঠিক সময়ে চাহিদার কথা না জানানোয় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও দেশ জুড়ে অতিরিক্ত গরম বাড়ায় বেড়েছে বিদ্যুতের ব্যবহার। কোভিড পরবর্তী আবহে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতেও বিদ্যুতের চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশপাশি, খনি থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা বহনের জন্য ব্যবহৃত মালগাড়ির অভাবের কারণেও এই জটিলতা বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক করতে যাত্রিবাহী দূরপাল্লার ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে মালগাড়ির সংখ্যা বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। তাই ৭৫৩টি যাত্রিবাহী ট্রেন সাময়িক ভাবে বাতিল করতে চাইছেন রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে একটি বিভাগীয় বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে বলে রেল মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার এই ট্রেনগুলি ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে।


ভারতীয় রেল সূত্রে খবর, আগামী ২৪ মে পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ১৬টি করে মেল, এক্সপ্রেস এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হচ্ছে। কয়লা সরবরাহকারী মালগাড়ি চলাচলকে অগ্রাধিকার দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।প্রসঙ্গত দিল্লির কেজরীবাল সরকার আগেই জানিয়েছিল যে, এই ভাবে কয়লার ঘাটতি দেখা দিলে রাজধানীর হাসপাতাল এবং মেট্রোতে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.