আমরা তো ট্যাক্স দিচ্ছি, তাহলে এত লোডশেডিং কেন

হাঁসফাঁস গরমে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ। তারওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কারেন্ট নেই। দুয়ে মিলিয়ে তিতিবিরক্ত জনজীবন। এবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ধোনি পত্নী সাক্ষী। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সরকারের কাছে জানতে চাইলেন, ‘আমরা তো ট্যাক্স দিচ্ছি, তাহলে এত লোডশেডিং কেন’?

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের গিরিডি, পূর্ব ও পশ্চিম সিংভূম, রাঁচি, বোকারো, কোদারমা, পালামৌ, গাড়ওয়া, ছাত্রায় তাপপ্রবাহ চলবে৷ এদিকে এই তাপপ্রবাহের দোসর হয়েছে বিদ্যুৎ সঙ্কট৷ এতেই ক্ষুব্ধ ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়কের স্ত্রী৷ বিদ্যুতের অভাবে চল্লিশ ডিগ্রির বেশি গরমে ফ্যান বা এসি ছাড়া থাকতে হচ্ছে আম জনতাকে৷ সাধারণ মানুষের বেহাল দশার সাক্ষী ধোনি পত্নী নিজে৷

টুইটারে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে সাক্ষী লিখেছেন, ‘ঝাড়খণ্ডের একজন করদাতা হিসাবে আমি জানতে চাই, এত বছর ধরে ঝাড়খণ্ডে এত বিদ্যুৎ সংকট কেন? আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি যতটা সম্ভত বিদ্যুৎ সঞ্চয় করার। তাও কেন এই সমস্যা’? সরাসরি কারও নাম না করলেও, সাক্ষীর নিশানায় যে হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সরকার, তাতে সংশয় নেই।

ঝাড়খণ্ডের এই বিদ্যুৎ সংকট নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর ধরে সমস্যা চলে আসছে। গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেই শুরু হয় লোডশেডিং। দিন দুই আগেই ঝাড়খণ্ডের শক্তিমন্ত্রী আর কে সিং কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনি বৈষ্ণবের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ মন্ত্রী কেন্দ্র এবং রাজ্য দু’তরফকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.