রেলের জমি লিজ নিয়ে শুরু হয়েছিল পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ। কিন্তু লিজের টাকা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দিল রেল। কলকাতা পুরনিগমের এই পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্ষার সনয়ে জলযন্ত্রণায় ভুগতে হতে পারে চিৎপুর, টালা, বেসগাছিয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের।
রেল সূত্রে খবর, রেলের কাজ থেকে জমি নিয়ে লালাবাবু নিকাশি খালের ধারে একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ শুরু করেছিল কলকাতা পুরনিগম। কলকাতা পুরনিগমের ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষদের জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতেই এই পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু গত সোমবার পূর্ব রেলের আধিকারিকরা নির্মীয়মাণ ওই পাম্পিং স্টেশনে যান ও কাজ বন্ধ করে দেন। যারা সেখানে কাজ করছিলেন, তাঁদের বের করে দেওয়া হয়। রেলের অভিযোগ, জমির লিজ বাবদ পুরনিগমের রেলকে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু পুরনিগমের তরফে সেই টাকা জমা দেওয়া হয়নি।জনপ্রিয় খবর
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘২০২০ সালে রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে টাকা মকুবের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু দেড় বছর হয়ে গেলেও চিঠির কোনও উত্তর পাইনি।’ উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়। এই পাম্পিং স্টেশন তৈরির জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। বর্ষার সময়ে বাগজোলা খালের জল উপচে পড়ায় বেলগাছিয়া, টালা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের জল যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়ে গেলে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সেই কাজই আটকে গেল।