পশ্চিম ইউক্রেনের শহর লভিভ। যে শহরে কান পাতলেই শোনা যায় বোমারু বিমান উড়ে যাওয়ার শব্দ। থেকে থেকেই বেজে ওঠে সতকর্তামূলক সাইরেন। এই মাসে দু’য়েকে যে শহর দেখে নিয়েছে অনেক কিছু— বিচ্ছেদের যন্ত্রণা, মৃত্যুর হাহাকার, নষ্ট শৈশব। এত কিছুর পরেও সেই শহরে বন্ধ হয়নি সংস্কৃতির চর্চা। বরং সেই চর্চার মধ্যে দিয়েই প্রাণ খুঁজে নিতে চাইছে শহর।
বুধবার লভিভের একটি গুদামঘরে শহরের শিশুরা নাটক পরিবেশন করল। যে নাটকের বিষয়বস্তু হল ‘পবিরার থেকে বিচ্ছেদ’।
গুদামটি মূলত বোমা থেকে বাঁচার আশ্রয়স্থল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সেটাই এখন নাটকের মঞ্চ। বুধবার রাতে যে নাটকটি পরিবেশন করা হয়েছে তা এক ডজন ইউক্রেনীয় লেখকের গল্পের উপর ভিত্তি করে লেখা। নাম ‘মামা পো স্কাইপু’ অর্থাৎ ‘স্কাইপের মাধ্যমে মা’।
নাটকটির পরিচালক ওলেহ ওনেশচাক নামে এক জন সৈনিক। আট জন শিশু ওই নাটকে অভিনয় করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে ওনেশচাকের মেয়ে হান্নাও।
একটা ঘণ্টার এই নাটকটির শেষে একটি দেশাত্মবোধ গান গাওয়া হয়। গানটি গাওয়ার পর হানার প্রতিক্রিয়া, ‘‘যু্দ্ধ খুব ভয়ের। কিন্তু গানটা গাইলে মনে জোর পাই।’’
ওলেহর কথায়, ‘‘নাটকটি করার উদ্দেশ্য ছিল আমার মেয়ে এবং তাঁর বন্ধুদের মনে উৎসাহ যোগানো। দেশের যা পরিস্থিতি তাতে ওরা সারা দিন মনমরা হয়ে বসে আছে। নাটকটির মহড়া দিতে গিয়ে ওরা সব কিছু ভুলে গিয়েছে।’’
মামা পো স্কাইপু’ দেখে দর্শকরাও আনন্দিত। ওলেহর মতে, ‘‘এই সময় এই ছোট আনন্দই অনেকটা আমাদের কাছে।’’
এ দিকে যুদ্ধ যে ভাবে সীমান্ত এলাকাগুলিতে ছড়িয়ে পড়তে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মতে যুদ্ধ আটকে থাক ইউক্রেনের মধ্যেই। কারণ আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ানও মনে করছে, যে ভাবে যুদ্ধ চলছে তাতে প্রতিবেশী দেশগুলিতে দ্রুত তা ছডি়য়ে পড়তে পারে। শুধু তাই নয় যুদ্ধ এই ভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকলে দীর্ঘমেয়াদী সময়ে তা মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিয়ংটনের সরাসরি সংঘর্ষে পরিণত হতে পারে।