কাটোয়া পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বাহিনীর তৎপরতায় প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করা সম্ভব হল। জানা গিয়েছে, বিহার থেকে ওই প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক আনা হচ্ছিল বীরভূম হয়ে। রবিবার বোমা তৈরির ছয় কেজি মশলা কাটোয়া থেকে গড়াগাছা গামী একটি বাসে করে নিয়ে আসা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফ অভিযান চালায় কাটোয়া পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে।
দাঁইহাট মোড়ে বাসটি আসা মাত্রই তাকে দাঁড় করানো হয়। এরপর বাস থেকে নামিয়ে আনা হয় দুটি প্যাকেট। সেই প্যাকেটের মধ্যেই পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। এই রাসায়নিক বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ গ্রেফতার হয়েছে এজবুল ও রবিউল নামে দুই যুবক। অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, রবিউল শেখ কাটোয়ার কেশিয়ামাঠ এলাকার বাসিন্দা। রবিউলের বাড়ির কাছেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত এজবুল। এই দু’জনই নিজেদের রাজমিস্ত্রি বলে পরিচয় দিত। জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছে, বারুদের মশলা আসত বিহার থেকে।
বারুদের অর্ডার এলে রবিউলের কাছে থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় সেই মশলা পৌঁছে দিত এজবুল। এর বিনিময় প্রতি কেজিতে এক হাজার টাকা করে পেত। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই বিস্ফোরক বিহার থেকে ঝাড়খন্ড হয়ে এই রাজ্যে আসত। এই বিস্ফোরক আর পাঁচটা বিস্ফোরকের থেকে আলাদা। কারণ, এই বিস্ফোরণের তীব্রতা অনেক বেশি। এই বিস্ফোরকের চাহিদাও রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এই চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে, সেই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। কাটোয়া আদালত অভিযুক্তদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
2022-04-26