খাদ্য সামগ্রী ক্রমশ ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে দেশে। এর কারণে মধ্যবিত্তের নাকাল অবস্থা। এই আবহে দেশের মণ্ডিতে বাড়ছে সবজির দাম। খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে ধীরে ধীরে। দেশের বহু জায়গায় ক্যাপসিকাম, ফুলকপি, মটরশুঁটিসহ অনেক সবজির দাম এখনও কেজি প্রতি ১০০ টাকার ওপরে। অন্যদিকে ভোজ্যতেলের দামও বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে, রিফাইনড থেকে সর্ষের তেলের দাম ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানি নিষিদ্ধ করেছে। ভারত তার চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ পাম তেলে কেনে শুধু ইন্দোনেশিয়া থেকেই। তবে পাম তেল নিষিদ্ধ হওয়ায় ভোজ্য তেলের দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ পাম তেলের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ অন্য তেল ব্যবহার করবে। ইন্দোনেশিয়া থেকে সরবরাহ বন্ধের ফলে ভারতের প্রতি মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ টন পাম তেলের ঘাটতি দেখা যাবে। এখন অন্যান্য তেলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তাদের দামের উপর তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। এদিকে বিস্কুট, মার্জারিন, লন্ড্রি ডিটারজেন্ট, চকোলেট, নুডলস, সাবান, শ্যাম্পু সহ বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উত্পাদনে ব্যবহৃত হয় পাম তেল। এই আবহে এই সব সাগ্রীরও দাম বাড়তে পারে।
বর্তমানে দেশের খুচরা বাজারের গড় সবজির দাম – প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ফুলকপি ১০০ থেকে ১১০, মটরশুটি কেজি প্রতি ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। এদিকে টমেটোর দাম কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কেজি প্রতি ভিন্ডির দাম ৭০ থেকে ৯০ টাকা। লাউ কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৭০ টাকা। এদিকে দেশে ভোজ্য তেলের গড় খুচরা দাম – সর্ষের তেল প্রতি লিটার ১৬০-১৯৫ টাকা, রিফাইনড তেল লিটারে ১১০ থেকে ১৬০ টাকা, ১৫ কিলো বনস্পতি ঘিয়ের দাম ২৬০০ টাকা, লিটার প্রতি তিলের তেলের দাম ২২০ থেকে ২৬০ টাকা।