বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠভবনে এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে আজ শনিবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে বহিরাগতদের জড়ো হওয়ার অভিযোগ উঠল। বহিরাগত কিছু ছেলেকে বাইক নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যর বাসভবনের বাইরে জড়ো হতে দেখেই তাদের পিছু ধাওয়া করল পুলিশ। কার্যত তাদের বাইকের পিছনে দৌড়ে তাড়া করতে দেখা গেল পুলিশকে।
সূত্রের খবর, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কয়েকজন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী উপাচার্যর বাড়ির বাইরে অবস্থানে রয়েছেন। তাদের দাবি, উপাচার্যকে বেরিয়ে এসে কথা বলতে হবে। এরইমধ্যে আজ বেশ কয়েকজন যুবককে বাইক নিয়ে উপাচার্যর ঠিক বাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। উপাচার্যের নিরাপত্তার জন্য বাসভবনের সামনেই মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা বাইকে করে যুবকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ‘তারা কোথাকার এবং কী কারণে দাঁড়িয়ে আছে?’ তা জানতে চান। বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবককে পুলিশ সেই কথা জিজ্ঞেস করতেই অন্যান্য যুবকরাও তড়িঘড়ি বাইকে চেপে পালাতে শুরু করে। তখন পুলিশও তাদের পিছু ধাওয়া করে। এর মধ্যে একজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। যদিও সে জানায় সে একজন শ্রমিক। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠভবনের একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসীম দাসের মৃত্যুর পরেই খুনের অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। গতকাল ছাত্রের পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনের তালা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেন। তারপরেই উপাচার্যের নিরাপত্তার দাবিতে টুইট করে ফেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। আর আজ উপাচার্যের বাড়ির সামনে বহিরাগতদের দেখতে পাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে উপাচার্যর নিরাপত্তা নিয়ে। তবে কী কারণে বহিরাগতরা উপাচার্যের বাড়ির সামনে ভিড় করেছিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।