স্কুলে এক শিক্ষিকার সাধভক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে বাদ পড়েছিলেন কয়েক জন শিক্ষিকা। এই অভিযোগে স্কুলের মধ্যে তুলকালাম বাধল। অশান্তিতে জড়ালেন শিক্ষিকারা। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন প্রধানশিক্ষিকা। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুরে।
গত বুধবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের ভিতরেই এক সহ-শিক্ষিকার সাধভক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীরামপুরের মাহেশের পরমেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে। কিন্তু অন্য এক দল শিক্ষিকার দাবি, তাঁরা ওই সাধভক্ষণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাননি। এ নিয়ে পর দিন আমন্ত্রণ না পাওয়া শিক্ষিকারা স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা মিঠু মৈত্রের কাছে কৈফিয়ত চান। তখন অন্য সহ-শিক্ষিকাদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। চিৎকার চেঁচামেচিতে উত্তেজনা তৈরি হয় স্কুলে। প্রধান শিক্ষিকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান হারান। খবর পেয়ে স্কুলে যান পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলর
তিয়াসা মুখোপাধ্যায়। প্রধান শিক্ষিকাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পর ওই বিদ্যালয়ের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
স্কুলের প্রধানশিক্ষিকার কথায়, ‘‘এর আগেও এক জন শিক্ষিকাকে আইবুড়ো ভাত খওয়ানো নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। তাই আমাকে এ বারের অনুষ্ঠানের কথা বললেও আমি তাতে অংশগ্রহণ করিনি। ২০০২ সাল থেকে স্কুলে আছি আমি। কোনও দিন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বৃহস্পতিবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হল যে স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছি।’’
স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতির বক্তব্য, ‘‘এটা খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। খবর পাওয়ার পর আমি স্কুলে গিয়ে দেখি বড়দির হাত কাঁপছে। তাঁর প্রেসার বেড়ে গিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা কখনই বাঞ্ছনীয় নয়। স্কুলে বৈঠক করে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মাহেশে এত ভাল একটা স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করতে দেওয়া চলবে না।’’ অভিযুক্ত সহ-শিক্ষিকারা অবশ্য এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ।