একেবারে নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার মতো টেনশন। শেষ ওভারে প্রতিটা বলেই যেন বয়ে চলল উত্তেজনার চোরাস্ত্রোত। ডেভিড মিলার একা দায়িত্ব নিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে জেতালেন গুজরাট টাইটানসকে। তাঁকে মাঝে সঙ্গত করলেন রশিদ খানও।
একদিকে যেমন দলকে জিতিয়ে ম্যাচের নায়ক হলেন টাইটানসের মিলার, তেমনই খলনায়ক হয়ে থাকলেন চেন্নাইয়ের ক্রিস জর্ডন। তাঁর ২টি ওভারেই শেষ হয়ে গেল চেন্নাইয়ের জয়ের স্বপ্ন। ১৮তম ওভারে জর্ডন ২৫ রান দেন। যেটা ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আর শেষ ওভারে ফের জর্ডনকে আনলে, সিএসকে-র বাকি স্বপ্নটুকুও শেষ হয়ে যায়। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। একটি ছয়, একটি চার, নো-বল এবং ২ রান নিয়ে টাইটানস জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
টসে জিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল গুজরাট টাইটানস। সাধারণত টসে জিতে আইপিএলের প্রতিটা টিমই প্রথমে ব্যাটিং নিচ্ছে। টাইটানসের রশিদ খানও রবিবার এর ব্যতিক্রম ঘটালেন না। প্রসঙ্গত, চোটের কারণেহার্দিক খেলতে না পারায় রবিবার টাইটানসকে নেতৃত্ব দেন রশিদ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই অবশ্য রবিন উত্থাপ্পা এবং মইন আলির পরপর ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সিএসকে। ৩২ রানের মধ্যেই ২ উইকেট পড়ে যায় চেন্নাইয়ের। এর পরেই দলের হাল ধরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং অম্বাতি রায়ডু। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা ৯২ রান যোগ করেন।
রায়ডু ৩১ বলে ৪৬ করে আউট হওয়ার পরেই ৪৮ বলে ৭৩ করে আউট হয়ে যান রুতুরাজও। শিবম দুবে এবং রবীন্দ্র জাদেজা এর পর হাল ধরার চেষ্টা করেন। ১২ বলে ২২ করে অপরাজিত থাকেন জাদেজা। শিবম দুবে করেন ১৭ বলে ১৯ রান। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস।
টাইটানসের আলজারি জোসেফ নিয়েছেন ২ উইকেট। এ ছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি এবং যশ দয়াল।
এখন আইপিএলের ম্যাচগুলিতে যে ভাবে রান উঠছে, তাতে ১৬৯-এর পুঁজি কিন্তু খুব বিশাল মাপের স্কোর, এমনটা বলা যায় না। তবে এই পুঁজি নিয়েই গুজরাট টাইটানসকে শুরুতে বেকায়দায় ফেলে দেন সিএসকে-এর বোলাররা। ব্যাট করতে নামলে শুরুতেই কিন্তু বড় ছটকা খায় টাইটানস। দলের ১, ২, ১৬, ৪৮ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় টাইটানসের। কিন্তু দলের হাল ধরেন ডেভিড মিলার। রাহুল তেওয়াটিয়াও আউট হয়ে গেলে নামেন রাশিদ খান। মিলার এবং রশিদ খানই টাইটানসকে লড়াইয়ের মঞ্চে ফিরিয়ে আনেন। দুই তারকা মিলে টাইটানসকে জয় এনে দেওয়ার তীব্র লড়াই শুরু করেন। কিন্তু ২১ বলে ৪০ করে রশিদ আউট হওয়ার পরের বলেই ডোয়েন ব্র্যাভো ফেরান আলজারি জোসেফকেও। একটু ধাক্কা খেলেও সামলে নেন ডেভিড মিলার। শেষ ওভারে ম্যাচ একেবারে জমে ওঠে।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ বলে ১৩ রান। কিন্তু জর্ডন এসে টাইটানসের হাতে যেন ম্যাচ একেবারে তুলে দেন। মিলার ৫১ বলে ৯৪ করে অপরাজিত থাকেন। ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে আইপিএলে মজবুত জায়গায় পৌঁছে গেল গুজরাট টাইটানস।
চেন্নাইয়ের ডোয়েন ব্র্যাভো ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। মহেশ থিকসানা নেন ২ উইকেট। আর মুকেশ চৌধুরী এবং রবীন্দ্র জাদেজা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে বোলারদের সব লড়াই জর্ডনের করা শেষ ২ ওভারেই