গরমের ছুটির পর নতুন পোশাক পেতে চলেছে পড়ুয়ারা, HS-এর পর নেওয়া হতে পারে মাপ

রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের পোশাকের রং নীল-সাদা করার নির্দেশ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। সেই স্কুলের পোশাকে বিশ্ব বাংলা লোগো নিয়ে বিতর্কের অবসান এখনও হয়নি। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। তারইমধ্যে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক তৈরির কাজ শুরু করে দিতে চাইছে রাজ্য। সূত্রের খবর, গরমের ছুটির পরে নতুন পোশাক দেওয়া হতে পারে পড়ুয়াদের। সেজন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই পড়ুয়াদের পোষাক তৈরির জন্য মাপ নেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে স্কুল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

শহরের বিভিন্ন স্কুলের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ এপ্রিল শেষ হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তারপর সমস্ত পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকা হবে। যে সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী পোশাক তৈরির বরাত পেয়েছে তারা স্কুলে এসে মাপ নিয়ে যাবে। শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রাক্‌ প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য একটি হাফ শার্ট, একটি ফুল শার্ট, একটি হাফ প্যান্ট এবং একটি ফুল প্যান্ট দেওয়া হবে। জামা হবে সাদা রংয়ের ও প্যান্টে হবে নেভি ব্লু রংয়ের। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্কার্ট, সালোয়ার কামিজ বা ওড়না পোশাকেরও রং হবে সাদা ও নেভি ব্লু।

যদিও পোশাক এক হয়ে যাওয়া নিয়ে সন্তুষ্ট নন মিত্র ইন্সটিটিউশনের ভবানীপুর শাখার প্রধান শিক্ষক রাজা দে। তাঁর কথায়, আগে স্কুলের ড্রেস আলাদা থাকলে সে ক্ষেত্রে কোনও পড়ুয়া স্কুল শুরু হওয়ার আগে রাস্তায় গড়িমাসি করছে কিনা তা জানা সম্ভব ছিল। কিন্তু, এখন সব স্কুলের পোশাক এক হয়ে যাওয়ায় তা জানা সম্ভব হবে না। তাছাড়া, প্রত্যেকটা স্কুলের পোশাকে নিয়ে নিজস্ব ঐতিহ্য রয়েছে একটা স্বতন্ত্রতা রয়েছে। যদিও নবম থেকে দ্বাদশের পোশাক আগে যা ছিল তাই থাকবে। সে ক্ষেত্রে অনেকটাই নিশ্চিন্ত শিক্ষকরা।

অন্যদিকে, স্কুলের নতুন পোশাক কবে দেওয়া হবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে বহু ছাত্র-ছাত্রী। উত্তর কলকাতার সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানান, অনেক পড়ুয়ার পোশাক ছোট হয়ে গিয়ে, আবার অনেকে আর্থিকভাবে দুর্বল গিয়েছে। যারা পোশাকের জন্য অপেক্ষা করছে নতুন পোশাক দিলে তাদের সুবিধা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.