পড়াশোনার অস্তিত্বের সঙ্গে যে চপশিল্প জড়িয়ে পড়বে, তা হয়তো কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এটাই সত্যি। ঠিক এমনটাই ঘটেছে, ঝাড়গ্রামের এক বেসরকারি নার্সারি স্কুলে। করোনা কালে পড়ুয়ারা স্কুলমুখো হয়নি, যার জেরে বেতনও জমা হয়নি স্কুলের কোষাগারে। ফলস্বরূপ, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন পাননি। এই অবস্থায় তাঁদের বেতন দিতে অভিনব পদক্ষেপ নিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
ঝাড়গ্রামের সেই বেসরকারি স্কুলটির দুটি শাখা যথাক্রমে ইংরেজি মিডিয়াম শাখা ও বাংলা শাখা রয়েছে। এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এই স্কুলটিরই প্রধান শিক্ষক বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর তিমির মল্লিক। ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে ঝাড়গ্রাম ব্লকের বাঁধগোড়া পঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুরেই রয়েছে তিমিরের তিনকাঠা জমি। তিনি সেই জমিতেই করোনার আবহে ২০২০ সালে চপ-মিষ্টির দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেন।
আরো পড়ুন : নমাজ শেষে আল-আকসা মসজিদ থেকে পাথর হামলা, ইজরায়েলি পুলিশের মারে জখম ৬০
‘স্পার্ক ২০২০’ নামক দোকানটি শহরের ১০ নং ওয়ার্ডে জন্ম নেয় এবং এই দোকান থেকে হওয়া আয়েতেই চলে ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৬ জন শিক্ষাকর্মীর ঘর। এই দোকানে আয়ত্তের মধ্যেই পাওয়া যায় চপ, ঘুগনি, রসগোল্লা, পান্তুয়া, মিষ্টি দই, এগ চাউমিন, ডিমের চপ, ভেজিটেবল চপ, চিকেন কাটলেট, চিকেন চাউমিন, হিং-এর কচুরি, ইডলি, ঘুগনি, চা প্রভৃতি। তিমিরের কথায়, তিনি দোকান লাগোয়া জমিতেই পরবর্তীকালে অবৈতনিক স্কুল খোলার স্বপ্ন দেখেন। তবে, আপাতত এখন এই দোকানের দমেই টিকে রয়েছে স্কুলটির ভীত।
2022-04-16