চার ম্যাচে ১০ উইকেট। এবার আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আইপিএলে কুলদীপ যাদবের দুর্দান্ত শুরুর পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন একাংশ। ঘুরিয়ে তোপ দেগেছে দিল্লিও। কিন্তু সত্যিই কি কুলদীপের সঙ্গে অবিচার করেছে কেকেআর? তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি? পরিসংখ্যান অবশ্য অন্য কথা বলছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালের আইপিএল ১২ টি ম্যাচ এবং ২০১৮ সালের আইপিএলে ১৬ টি ম্যাচ খেলেছিলেন কুলদীপ। সেই দুই মরশুমে যথেষ্ট ভালো বোলিং করেছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে কুলদীপের ফর্ম ক্রমশ পড়তে শুরু করেছিল। সেই বছর ন’ম্যাচে মাত্র চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। গড় ছিল ৭১.৫। স্ট্রাইক রেট ৪৯.৫। সেই বছর ইডেনে গার্ডেন্সে একটি ম্যাচে তাঁর ওভারে বেধড়ক মেরেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মইন আলি। ১৬ তম ওভারে ২৭ রান দিয়েছিলেন। তারপর কার্যত কেঁদেও ফেলেছিলেন কুলদীপ। সবমিলিয়ে চার ওভারে দিয়েছিলেন ৫৯ রান।
সেই ম্যাচের পর ২০১৯ সালের আইপিএলে আর সুযোগ পাননি ভারতীয় চায়নাম্যান। পরের বছর অবশ্য প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। খুব একটা খারাপ বোলিং করেননি। কিন্তু সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। কুলদীপের খারাপ সময় রহস্য স্পিনার হিসেবে উঠে এসে ভালো খেলতে থাকেন বরুণ চক্রবর্তী। তার জেরে কেকেআরের দরজা কুলদীপের সামনে কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প হিসেবে বরুণ সাফল্য পেয়ে যাওয়ায় ২০২০ সালে পাঁচটি ম্যাচে খেলেছিলেন কুলদীপ। মাত্র একটি উইকেট নিয়ে ২০২০ সালের আইপিএল শেষ করেন কুলদীপ। লাগাতার দুটি খারাপ মরশুমের পর গত বছর অবশ্য নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাননি। তাঁর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ বরুণ ততদিনে অনেকটাই এগিয়ে যান। যিনি একটা সময় কুলদীপের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন।
সেইসব পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, কুলদীপকে যথেষ্ট সমর্থন করেছে কেকেআর। একটা সময় দলে নিয়মিত থাকতেন। কিন্তু বরাবরই স্পিনারদের উপর জোর দিয়ে আসা কেকেআরের প্রথম একাদশে থাকার জন্য যে পারফরম্যান্স করতে হত, সেটা করতে পারেননি কুলদীপ। তা সত্ত্বেও যথেষ্ট সমর্থন জোগানো হয়েছিল। কিন্তু লাগাতার খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে সেই সুযোগও হারান কুলদীপ। পেশাদারি লিগে সেই পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়। একটা সময় পর ‘কঠিন’ সিদ্ধান্ত নিতেই হয়।